Home » শুরু হয়ে গেলো আনন্দের দিন, ঈদের দিন

শুরু হয়ে গেলো আনন্দের দিন, ঈদের দিন

দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনার পর পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিনটি আনন্দের মধ্যেই পার করেন মুসলমানরা। তবে করোনা ভাইরাসের মহামারিতে আনন্দ আয়োজনে আছে নানা বিধি-নিষেধ। আর এই মহামারি অনেকেই ফেলেছে সংকটে, যার কারণে ঈদের দিনেও নেই চিরচেনা রূপ। ঈদের নামাজের পর যে কোলাকুলি ছিল বন্ধনের অন্যতম বিষয়, মহামারির কারণে তা বন্ধ।

ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। এক শুভেচ্ছা বার্তায়, রাষ্ট্রপতি করোনা পরিস্থিতিতে সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদ উৎসব উদযাপনের আহবান জানান। মহামারির কারণে গতবারের মতো এবারও ঈদে পরিবারের সদস্যদের সময় কাটাবেন রাষ্ট্রপতি।

বৃহস্পতিবার (১৩ মে) সন্ধ্যায় ঈদুল ফিতর উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি সবাইকে করোনার ভয়াবহতার বিষয়ে আবারও সতর্ক করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদ উদযাপনের অনুরোধ জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ঈদ উদযাপন করবো, তবে অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মেনে। কোনওভাবেই এই ঈদ উদযাপন যাতে করোনাভাইরাস সংক্রমণ বৃদ্ধির উপলক্ষ হয়ে না ওঠে, সেদিকে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে।

এবার বাড়ি ফেরার চিত্রও বদলে গেছে। যেখানে ঈদকে কেন্দ্র করে বাড়ি ফেরা মানুষের জন্য থাকতো যানবাহনগুলোর বাড়তি আয়োজন। এবার সংক্রমণ রোধে বন্ধ ছিল যোগযোগ। তারপরও বাধা উপেক্ষা করেই অনেকেই ছুটেছেন গ্রামের পথে। কখনও পণ্যবাহী ট্রাকে করে, কখনও শিমুলিয়া ঘাটের নিষেধাজ্ঞা ভেঙে মানুষ খালি ছুটছে। ফেরি-নৌকা যেদিকে দু চোখ যায় মানুষ আর মানুষ। অতিরিক্ত ভিড়, দুর্ঘটনায় ঘটেছে প্রাণহানি।

শহরের মানুষকে গ্রামে যেতে বিধি নিষেধ দিয়েও আটকানো যায়নি। ফলে ব্যস্ততম নগরীতে সুনসান নীরবতা বিরাজ করছে। ঢাকা এখন ফাঁকা। রাজধানীতে নেই যানজট, যান্ত্রিক শব্দ, রাস্তাঘাটে মানুষের উপচে পড়া ভিড়।

ঈদের দিন বৃষ্টির হওয়ার আভাষ জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। তারা জানিয়েছে, ঈদের দিন সকালে দেশের বেশিরভাগ এলাকায় বৃষ্টি থাকতে পারে। রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, সিলেট বরিশাল, ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। একইসঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী বৃষ্টি হতে পারে। বিক্ষিপ্তভাবে কোথাও কোথাও হতে পারে শিলাবৃষ্টিও।

ঈদে শিশুদের নিয়ে বাবা মায়ের গন্তব্য বিনোদন কেন্দ্র । কিন্তু মহামারির কারণে গতবারের মতো এবারও বিনোদন কেন্দ্রগুলো বন্ধ রয়েছে। পরিবার পরিজনের সঙ্গে বাসায় ঈদের আনন্দ পালনের আহ্বান জানিয়েছে সরকার। ফলে বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে মানুষের আনন্দঘন মুহুর্ত দেখা যাবে না বিগত দিনের মতো।

Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *