1. abusufian7389@gmail.com : .com : sk .com
  2. ashfakur85@gmail.com : আশফাকুর রহমান : Ashfakur Rahman
  3. b.c.s.bipro@gmail.com : বিপ্র দাস বিশু বিত্রম : Bipro Das
  4. zihad0292@gmail.com : Zihad Ul Islam Mahdi : Zihad Ul Islam Mahdi
  5. ahmedmdmahfuz@gmail.com : মোঃ মাহফুজ আহমদ : মোঃ মাহফুজ আহমদ
  6. nazimahmed2042@gmail.com : Najim Ahmed : Najim Ahmed
  7. shahadotchadni@gmail.com : Md Sh : Md Sh
  8. ashfakur86@gmail.com : শুদ্ধবার্তা ডেস্ক : SB 24
  9. shuddhobarta24@gmail.com : shuddhobarta24@ : আবু সুফিয়ান
  10. surveyor.rasid@gmail.com : Abdur Rasid : Abdur Rasid
প্রাণ রক্ষার লড়াই এখন হাসপাতাল থেকে বাড়িতে        
শনিবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৫, ০৭:৪৫ পূর্বাহ্ন

প্রাণ রক্ষার লড়াই এখন হাসপাতাল থেকে বাড়িতে

  • সংবাদ প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২১

ভারতের রাজধানী দিল্লি এবং আরো বহু শহরে হাসপাতালে কোনো শয্যা আর খালি নেই। খালি থাকলেও বহু হাসপাতাল রোগী নিচ্ছে না অক্সিজেনের অভাবের কারণে। ফলে গুরুতর অসুস্থ কোভিড রোগীদের বাড়িতেই যতটুকু সম্ভব চিকিৎসা দিয়ে বাঁচানোর চেষ্টা করছেন স্বজনরা।

প্রাণ বাঁচানোর জন্য বহু মানুষকে কালো বাজারের দ্বারস্থ হতে হচ্ছে। সেখানে জরুরী ওষুধ এবং অক্সিজেন সিলিন্ডারের দাম এখন আকাশচুম্বী। কোভিড চিকিৎসার নামে এমন সব ওষুধ গোপনে বিক্রি হচ্ছে, যেগুলো আসল না নকল এবং আদৌ সেগুলো ব্যবহার করা উচিৎ কিনা – তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। অংশু প্রিয়া তার কোভিড আক্রান্ত শ্বশুরের চিকিৎসার জন্য দিল্লি বা শহরতলী নয়ডার কোনো হাসপাতালেই জায়গা পাননি। শ্বশুরের অবস্থা ক্রমেই সঙ্গীন হয়ে পড়ছে, কিন্তু এক সিলিন্ডার অক্সিজেনের খোঁজে সারাদিন ঘুরেও ব্যর্থ হয়েছেন। ফলে বাধ্য হয়ে কালোবাজার থেকে ৫০ হাজার রুপি দিয়ে এক সিলিন্ডার অক্সিজেন কিনেছেন। স্বাভাবিক সময়ে এই সিলিন্ডারের দাম বড়জোর ছয় হাজার রুপি। তার শাশুড়িরও শ্বাসকষ্ট শুরু হয়েছে। কিন্তু অংশু প্রিয়া জানেন যে এত দামে কালোবাজার থেকে আরেকটি সিলিন্ডার কেনা তার পক্ষে সম্ভব নয়। শুধু দিল্লি বা নয়ডা নয়- লাখনৌ, এলাহাবাদ, ইন্দোর বা এমন বহু শহরের এখন এই একই কাহিনি। হাসাপাতালে জায়গা না পেয়ে মানুষজন ঘরের ভেতরেই প্রাণে বাঁচার চেষ্টা করছেন। কিন্তু ভারতের সিংহভাগ মানুষেরই কালোবাজার থেকে ওষুধ বা অক্সিজেন কেনার সামর্থ্য নেই। অনেক খবর এবং ছবি বেরিয়েছে যে কালোবাজার থেকে ওষুধ বা অক্সিজেন কিনতে না পেরে অনেক রোগী হাসপাতালের গেটে বা সিঁড়িতে প্রাণ হারিয়েছেন।

দিল্লির পরিস্থিতি খুবই ভয়াবহ। শহরে একটি হাসপাতালেও কোনা আইসিইউ বেড খালি নেই। অনেক সম্পন্ন পরিবার বহু টাকা দিয়ে বাড়িতে নার্স রেখে এবং ডাক্তার দিয়ে প্রিয়জনের শ্বাস-প্রশ্বাস অব্যাহত রাখার চেষ্টা করছে। রক্ত পরীক্ষা, এক্সরে বা সিটি স্ক্যান করা এখন অত্যন্ত দুরূহ হয়ে পড়েছে। ল্যাবগুলোর ওপর অস্বাভাবিক চাপ, ফলে রিপোর্ট পেতে কয়েক দিন লাগছে। সিটি স্ক্যান করার সময় পেতেই কয়েকদিন লাগছে। ফলে ডাক্তারদের পক্ষেও রোগীর হাল বোঝা কষ্টকর হয়ে পড়ছে।

ডাক্তাররা বলছেন – বিভিন্ন জরুরী পরীক্ষার এই দেরিতে রোগীর জীবন হুমকির মুখে পড়েছে। কোভিডের টেস্ট করতেও (আরটি-পিসিআর) কয়েকদিন লাগছে। আমি এমন কয়েকজন কোভিড রোগীর কথা জানি যাদের কাছে কোভিড পজিটিভ পরীক্ষার রিপোর্ট নেই বলে হাসপাতালে ভর্তি হতে পারেননি। দিল্লির বাসিন্দা অনুজ তিওয়ারি জানালেন, তার ভাইকে কোনো হাসপাতাল ভর্তি করতে রাজী না হওয়ার পর বাড়িতে একজন নার্স জোগাড় করেছেন তিনি। অনেক হাসপাতাল বলে দিচ্ছে তাদের কোনো খালি বেড নেই। আবার অনেক হাসপাতাল রোগী নিচ্ছেনা কারণ অক্সিজেন নেই বা ফুরিয়ে আসছে। শুধু অক্সিজেনের অভাবে দিল্লিতে বেশ কজন কোভিড রোগী গত কদিনে মারা গেছেন।

অনেক হাসপাতাল প্রতিদিন অক্সিজেনের জন্য এসওএস নোটিস পাঠাচ্ছে। এমন বার্তার পর সরকারের পক্ষ থেকে অক্সিজেন ট্যাংকার হয়ত পাঠানো হচ্ছে, কিন্তু একদিনের ভেতরেই তা শেষ হয়ে যাচ্ছে। দিল্লির একজন ডাক্তার বলছেন হাসপাতালগুলো এভাবেই এখন চলছে, এবং “সত্যিকারের আশঙ্কা রয়েছে যে কোনো সময় বড় কোনো ট্রাজেডি ঘটতে পারে।“

হাসপাতালগুলোর এই পরিস্থিতি দেখে অনুজ তিওয়ারি ভাইকে বাঁচাতে অনেক টাকা দিয়ে একটি কনসেনট্রেটর কিনেছেন – যা দিয়ে বাতাস থেকে অক্সিজেন শুষে নেওয়া যায়। ডাক্তার তাকে রেমডিসিভির ওষুধ জোগাড় করতে বলেছেন। দোকানে না পেয়ে কালোবাজারের দ্বারস্থ হতে হয়েছে মি. তিওয়ারিকে।

এই বিভাগের আরো সংবাদ
shuddhobarta24
Privacy Overview

This website uses cookies so that we can provide you with the best user experience possible. Cookie information is stored in your browser and performs functions such as recognising you when you return to our website and helping our team to understand which sections of the website you find most interesting and useful.