1. abusufian7389@gmail.com : .com : sk .com
  2. ashfakur85@gmail.com : আশফাকুর রহমান : Ashfakur Rahman
  3. b.c.s.bipro@gmail.com : বিপ্র দাস বিশু বিত্রম : Bipro Das
  4. zihad0292@gmail.com : Zihad Ul Islam Mahdi : Zihad Ul Islam Mahdi
  5. ahmedmdmahfuz@gmail.com : মোঃ মাহফুজ আহমদ : মোঃ মাহফুজ আহমদ
  6. nazimahmed2042@gmail.com : Najim Ahmed : Najim Ahmed
  7. shahadotchadni@gmail.com : Md Sh : Md Sh
  8. ashfakur86@gmail.com : শুদ্ধবার্তা ডেস্ক : SB 24
  9. shuddhobarta24@gmail.com : shuddhobarta24@ : আবু সুফিয়ান
  10. surveyor.rasid@gmail.com : Abdur Rasid : Abdur Rasid
মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে ভারতের দিল্লি, জ্বলছে সারি সারি চিতা        
শনিবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৫, ০৬:৫৬ অপরাহ্ন

মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে ভারতের দিল্লি, জ্বলছে সারি সারি চিতা

  • সংবাদ প্রকাশের সময় : শনিবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২১

করোনা মহামারিকালে সম্প্রতি ড্রোন থেকে তোলা ভারতের রাজধানী দিল্লির ছবি দেখে কিছুদিন আগে এই মহামারির ছোবলে নাজেহাল নিউইয়র্কের স্মৃতি মনে পড়ছে অনেকের।

দিল্লির ছবিটিতে দেখা যায়, মাঝখানে সরু দেয়াল। তার এক পাশে নিঝুম জনবসতি। আর এক পাশে জ্বলছে সারি সারি চিতা। গত বছর এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে করোনায় মারা যাওয়াদের এমন সৎকারের দৃশ্য ধরা পড়েছিল নিউইয়র্কে। জায়গা কম পড়ায় থরে থরে কফিন সাজিয়ে ঠিক এ ভাবেই করোনায় মৃতদের গণকবর দেওয়া হয়েছিল সেখানে। যদিও নিউইয়র্কে সে সময় কভিডে মৃতের সংখ্যা ছিল ৮ হাজার। দিল্লিতে ইতিমধ্যেই কভিডে মৃত্যু ১৩ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। দেশটির গণমাধ্যমগুলো জানায়, শুক্রবার দৈনিক সংক্রমণে ফের রেকর্ড গড়েছে ভারত। এক দিনে নতুন করে দেশে ৩ লাখ ৩২ হাজার ৭৩০ জন করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন। এর মধ্যে দিল্লিতেই নতুন করে আক্রান্ত ২৬ হাজার ১৬৯ জন। বৃহস্পতিবার রাতে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, দিল্লিতে এক দিনে সেখানে ৩০৬ জন করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে।

এ পরিস্থিতিতে জনবসতিপূর্ণ এলাকার পাশে জ্বলন্ত গণ চিতার ছবিটি প্রকাশ করেছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। তারা জানিয়েছে, শুধু শ্মশানই নয়, রাজধানীর কবরস্থানগুলির অবস্থাও এক। মরদেহ সমাহিত করার জায়গা পেতে হিমশিম খেতে হচ্ছে করোনায় মৃতদের পরিবারকে। এর আগে ভারদের গুজরাত, মধ্যপ্রদেশের মতো রাজ্যে শ্মশানের বাইরে দেহ নিয়ে সারি সারি অ্যাম্বুলেন্স দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গিয়েছিল। তবে দিল্লিতে পরিস্থিতি এমন যে, শ্মশানের বাইরে লাইনেও জায়গা পাচ্ছেন না অনেকে। বাধ্য হয়ে বাড়িতেই প্রিয়জনের মৃতদেহ রেখে দিতে হচ্ছে। চিতা নির্গত ধোঁয়ায় ঝাপসা হয়ে আসা চোখ মুছতে মুছতে সে কথাই বলছিলেন সীমাপুরীর বাসিন্দা নিতীশ কুমার। তিনি জানান, কভিডে আক্রান্ত হয়ে দু’দিন আগে তার মা মারা গিয়েছেন। কিন্তু কোনও শ্মশানে মায়ের দেহ দাহ করার জায়গা পাননি তিনি। বাধ্য হয়ে দু’দিন বাড়িতেই মায়ের দেহ রেখে দিয়েছিলেন নিতীশ। নিজে এ দিক ও দিক চষে বেড়াচ্ছিলেন- কোথায় দাহ করা যায়, জায়গা খুঁজছিলেন। শেষমেশ একটি পার্কিং লটে গড়ে ওঠা অস্থায়ী শ্মশানে মা-কে চিতায় তোলার জায়গা মেলে। বৃহস্পতিবার সেখানেই মা-কে দাহ করেন তিনি।

নিতীশ বলেন, কোথায় না গিয়েছি। কিন্তু কিছু না কিছু কারণে খালি হাতে ফিরতে হয়েছে। চিতা জ্বালানোর জন্য কাঠ পাওয়া যাচ্ছে না বলেও শুনতে হয়েছে। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘শহীদ ভগৎ সিংহ সেবা দল’-এর প্রধান জিতেন্দ্র সিংহ শান্টি বলেন, দিল্লিতে এমন দৃশ্য দেখতে হবে কেউ ভাবেনি। বাচ্চা বাচ্চা ছেলেমেয়ে, কারও বয়স ৫, কারও ১৫, কারও ২৫। তাদের দাহ করতে হচ্ছে। সদ্য বিবাহিত অনেকের দেহও শ্মশানে আসছে। চোখে দেখা যাচ্ছে না।

তিনি জানিয়েছেন, সীমাপুরীর পার্কিং লটে গড়ে ওঠা অস্থায়ী শ্মশানে বৃহস্পতিবার বিকেলে ৬০টি দেহ দাহ করা হয়েছে। জায়গা না পেয়ে পড়েছিল আরও ১৫টি দেহ। কিন্তু গত বছর পরিস্থিতি এতটা ভয়ংকর ছিল না। সংক্রমণ যখন সর্বোচ্চে গিয়ে ঠেকে, সেই সময়ও একদিনে সর্বাধিক ১৮টি দেহ দাহ করতে হাত লাগিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

জিতেন্দ্র জানিয়েছেন, গত মঙ্গলবার একটি শ্মশানে ৭৮টি দেহ দাহ করা হয়েছে। জিতেন্দ্রর মা নিজে একজন সরকারি স্বাস্থ্যকর্মী। ১০ দিন আগে কভিডে সংক্রমিত হন তিনি। কিন্তু তা সত্ত্বেও কোনও হাসপাতালে জায়গা হয়নি বলে জানিয়েছেন জিতেন্দ্র। তার অভিযোগ, সরকার কিছু করছে না। নিজের পরিবারকে নিজেকেই বাঁচাতে হবে। লড়াইটা যার যার একার।

এই বিভাগের আরো সংবাদ
shuddhobarta24
Privacy Overview

This website uses cookies so that we can provide you with the best user experience possible. Cookie information is stored in your browser and performs functions such as recognising you when you return to our website and helping our team to understand which sections of the website you find most interesting and useful.