Main Menu

ধর্ষণের শিকার বোনকে অপহরণ করে মিথ্যা কথা প্রচার করা হচ্ছে,বোনকে উদ্ধার চাই

পেকুয়া প্রতিনিধি : কক্সবাজারের পেকুয়ায় ধর্ষণের শিকার এক কিশোরীকে অপহরণের অভিযোগ ওঠেছে। অপহরণ পূর্বক জিম্মি করে মিথ্যা কথা বলে বিভ্রান্ত করছে ধর্ষক নুর হোসেন আবিদের চাচা জিয়াউর রহমান ও তার পরিবার।

বুধবার (২১ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে রিপোর্টার্স ইউনিটি কার্যালয়ে এমন অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছে ধর্ষণের শিকার কিশোরীর বড় বোন রেহেনা আক্তার।

সংবাদ সম্মেলনে মগনামা ইউপির সাবেক সদস্য কোদাইল্যাদিয়া এলাকার মৃত আবদুল খালেকের মেয়ে রেহেনা আক্তার বলেন, পিতা মারা গেছেন অনেক আগে। মা অসুস্থ হয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। পরিবারের লোকজনের অবর্তমানে গত ১৮ এপ্রিল রাতে মগনামার সাতঘর পাড়া এলাকার নুর মুহাম্মদের ছেলে নুর হোসেন আবিদ আমার অপ্রাপ্ত বয়স্ক বোনের বাড়িতে জোরপূর্বক বাড়িতে ঢুকে ধর্ষণ করে। ওই সময় বোন চিৎকার করলে স্থানীয়রা হাতে নাতে ধর্ষক  বিদকে ধরে পেলেন। একই সাথে আমার বোন নিজে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করে সরকারি সেবা প্রতিষ্ঠান ৯৯৯ এ ফোন দিলে পুলিশ গিয়ে ধর্ষককে আটক করার পর বোনকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। এ ঘটনার পর আমার ভিকটিম বোনের পক্ষে আমি মামলার বাদি হওয়ার চেষ্টা করলে ধর্ষকের চাচা জিয়াউর রহমান বিভিন্ন মাধ্যমে আমাকে হুমকি দেয় মামলা বাদী না হওয়ার জন্য। আমাদের অপর আত্মীয় হাবিব মামলার বাদী হতে চাইলে তাকেও প্রাণে হত্যা করবে বলে হুমকি দেয়। যার অডিও রেকর্ড আমার কাছে আছে। সর্বশেষ আমার সামনে আমার ভিকটিম বোন পেকুয়া থানার ওসি সাহেবকে বলেন, আমার ইজ্জত নষ্টকারীর বিরুদ্ধে আমি নিজেই বাদী হয়ে মামলা করবো। থানায় ধর্ষণ মামলা রুজু হওয়ার পর ধর্ষককে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমাকে অভিভাবক করে বোনকে নিয়ে স্বাস্থ্য পরিক্ষা করাতে কক্সবাজার মেডিকেলে পাঠিয়ে দেন। ওখানে পরিক্ষা শেষে পেকুয়া থানার এসআই ছিদ্দিক বোনকে আমার জিম্মায় দেন।

এদিকে বোনকে নিয়ে আমি মগনামার কোদাইল্যাদিয়ার নিজ বাড়িতে চলে যাওয়ার সময় সাতঘর পাড়া স্টেশনে ধর্ষকের চাচা ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি জিয়াউর রহমানসহ আরো বেশ কয়েকজন লোক গতিরোধ করে ভিকটিম বোনকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। আমাকে মারধর করে বাড়াবাড়ি না করতে হুমকি দেন। এ ঘটনার সাথে সাথে পেকুয়া থানার এসআই ছিদ্দিককে বোনকে অপহরণের বিষয়টি মুঠোফোনে অবগত করি। তিনি দেখবেন বলে আর কিছু বলেননি।

আমার বোনকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়ার পর হুমকি ধমকি দিয়ে ওই দিন রাতেই জোরপূর্বক সংবাদ সম্মেলন করিয়েছে। এই সংবাদ সম্মেলনে আসামি নুর হোসেন আবিদের অভিভাবকেরা আমার বোনের দু’পাশে বসে সংবাদ সম্মেলন করেছে। সেখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে কিছু কথা বলানো হয়েছে। যা মোটেও সত্য নয়। মামলা রুজু হওয়ার সময় থানায় আমি উপস্থিত ছিলাম। আমার বোন স্বেচ্ছায় এজাহার দিয়েছে। সবকিছুর স্বাক্ষি আমি নিজে।

তিনি আরো বলেন, আমি ছাড়া বোনের আর কোন অভিভাবক নাই। বোনকে অপহরণ করার পর জিম্মি করে মিডিয়ার সামনে নিয়ে আসেন। সংবাদ সম্মেলনের নাম করে ধর্ষকের পিতাসহ আরো কয়েকজন তাকে জোরপূর্বক কথা শিখিয়ে দিয়ে মিডিয়ায় মিথ্যা কথা প্রচার করিয়েছে বলে আমি মনে করি। এছাড়াও উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে আমার ধর্ষণের শিকার বোনকে ক্যামরার সামনে মুখ খুলে কথা বলতে বাধ্য করে। আমি মনে করছি বোনকে তারা যেকোন মূহর্তে হত্যা করে লাশ গুম করবে বলে আশঙ্খা করছি। জিয়া সন্ত্রাসী লোক। ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদের বিরুদ্ধে যেকোন খারাপ কাজ করতে পারে।

পেকুয়া থানা প্রশাসনের প্রতি আকুল আবেদন ভিকটিম বোনকে সন্ত্রাসী জিয়ার কবল থেকে উদ্ধার করে আমার কাছে ফিরিয়ে দেয়া হউক।

Leave a comment






এই বিভাগের আরো সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

shuddhobarta24
Privacy Overview

This website uses cookies so that we can provide you with the best user experience possible. Cookie information is stored in your browser and performs functions such as recognising you when you return to our website and helping our team to understand which sections of the website you find most interesting and useful.