1. abusufian7389@gmail.com : .com : sk .com
  2. ashfakur85@gmail.com : আশফাকুর রহমান : Ashfakur Rahman
  3. b.c.s.bipro@gmail.com : বিপ্র দাস বিশু বিত্রম : Bipro Das
  4. zihad0292@gmail.com : Zihad Ul Islam Mahdi : Zihad Ul Islam Mahdi
  5. ahmedmdmahfuz@gmail.com : মোঃ মাহফুজ আহমদ : মোঃ মাহফুজ আহমদ
  6. nazimahmed2042@gmail.com : Najim Ahmed : Najim Ahmed
  7. shahadotchadni@gmail.com : Md Sh : Md Sh
  8. ashfakur86@gmail.com : শুদ্ধবার্তা ডেস্ক : SB 24
  9. shuddhobarta24@gmail.com : shuddhobarta24@ : আবু সুফিয়ান
  10. surveyor.rasid@gmail.com : Abdur Rasid : Abdur Rasid
চাকরি ছাড়তে চাইলে আরও বেশি মাইর দিতো
       
শনিবার, ২১ জুন ২০২৫, ১২:১৪ অপরাহ্ন

চাকরি ছাড়তে চাইলে আরও বেশি মাইর দিতো

  • সংবাদ প্রকাশের সময় : রবিবার, ২০ মে, ২০১৮

শুদ্ধবার্তাটোয়েন্টিফোর:

ভাগ্য ফেরাতে সৌদি আরবে যাওয়া নারীদের ভাগ্যই যেন কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। শনিবার (১৯ মে) রাত ৯টায় আরও ৬৬ নারী শ্রমিক দেশে ফেরত এসেছেন। এদেরই একজন লাবনী (ছদ্মনাম)। দুই বছর আগে কাজের সন্ধানে সৌদি আরব যান। এই সময়টায় তাকে মোকাবিলা করতে হয়েছে বিরূপ পরিস্থিতি। তিনি বলেন, ‘যে বাড়িতে আমি ছিলাম সেখানে ১০টি রুম ঝাড়ু দিতে হতো। ঠিকমতো খাবার দিতো না। মালিক আমারে অত্যাচার করতো। চাকরি ছাড়তে চাইলেও আমারে ছাড়তে চায় নাই মালিক। ছাড়ার কথা বললে আরও বেশি মাইর দিতো।’ লাবনীর মতো প্রায় প্রতিদিনই নারী শ্রমিকরা দেশে ফিরছেন বলে জানিয়েছেন শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তা কর্মীরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নিরাপত্তা কর্মী জানান, তারা দেশে ফিরে এসেই কান্নাকাটি করেন। কেউ কেউ নিজ উদ্যোগে খাবার কিংবা আর্থিক সহায়তা দিয়ে তাদের বাড়ি ফেরার ব্যবস্থা করেন। অনেকের শরীরে জখমের চিহ্নও দেখেছেন তারা। লাবনী জানান, দুই বছর আগে রিয়াদ যান তিনি। সৌদি আরবে আসার পর তাকে প্রথমে ১৫ দিন একটি কারাগারের মতো জায়গায় রাখা হয়। এরপর তাকে ৭৭ কিলোমিটার দূরে আল খারজ শহরে নিয়ে যাওয়া হয়। বেতন বলা হয়েছিল এক হাজার রিয়াল। ৪ মাস সেখানে কাজ করেন। এই সময় তাকে পরিবারের সঙ্গে কোনও কথা বলতে দেওয়া হয়নি। তিনি বলেন, ‘সৌদি আরব যাওয়ার জন্য মিরাজ নামের এক দালালকে ৬০ হাজার টাকা দিছিলাম। সে আমাকে বলছিল অনেক ভালো জায়গা। যাওয়ার পর প্রথমে আমাকে এক মালিকের কাছে বিক্রি করা হয়। মালিকের অত্যাচারে ওই বাড়ি থেকে পালিয়ে যাই। তখন আমারে ধরে একটা কোম্পানির মাধ্যমে ছয় লাখ টাকায় বিক্রি করে দেয়। আমার মতো আরও কয়েকশ’ মেয়ে আছে সেখানে। তাদের দিয়ে জোর করে দেহব্যবসা করানো হয়। আমি একবার সুযোগ বুঝে আমার স্বামীকে ফোন দিয়া সব বলি। তারপর আমাকে সৌদি আরবে বাংলাদেশি দূতাবাসের মাধ্যমে উদ্ধার করা হয়। আমার আগের মালিকের কাছে বেতন পাওনা ছিল। দূতাবাসের মাধ্যমে চাপ দিয়ে সেই টাকা পাইছি।’ ফেরত আসা আরেক নারী নাসিমা খাতুন। মাত্র দুই মাস আগেই তিনি সৌদি আরব গিয়েছিলেন। এত অল্প সময়ের মধ্যে ফিরে আসার কারণ জানতে চাইলে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। বলেন, ‘যাওয়ার পর আমারে ১৫ দিন আটকায় রাখছে। এক দালালের মাধ্যমে ১০ হাজার ট্যাকা দিয়া সৌদি আরব গেছিলাম। ১০০০ রিয়াল বেতন দেওয়ার কথা আছিল। বাসাবাড়ির কাম। প্রথম বাড়িতে মালিকের বউ অনেক মারতো। তাদের ভাষা বুঝতাম না। কাজের দেরি হইলেই লাঠি দিয়া মারতো। এরপর আমারে সেখান থেকে নিয়া আরেক জায়গায় দিছে। সেখানেও ঘরের কাজ। ছোট ফ্যামিলি বইলা আমারে পাঠায়ছিল, কিন্তু গিয়া দেখি অনেক মানুষ পরিবারে। পরে সেখান থেকে পালায় যাই দূতাবাসে। এরপর আমারে দেশে পাঠায় দিছে। আমার পাসপোর্ট পর্যন্ত দেয় নাই, কোন ট্যাকাও দেয় নাই। আমি খালি হাতে ফিরছি।’ সৌদি আরবে বর্তমানে কতজন বাংলাদেশি নারী শ্রমিক আছেন তা জানা মুশকিল। ফেরত আসা নারীরা জানিয়েছেন, একই ফ্লাইটে তারা দেশে ফিরেছেন অন্তত ৮০ জন। এছাড়া ইমিগ্রেশন ক্যাম্পে রয়েছেন ৪০-৫০ জন। আর দূতাবাসে অপেক্ষমাণ আছে আরও কয়েকশ’। তবে মধ্যপ্রাচ্যে নারীরা যে একেবারেই নিরাপদ নয়, এ বিষয়টি ঠিক নয় বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নমিতা হালদার বলেন, ‘আমরা যে নির্যাতনের অভিযোগগুলো পাই সেগুলোর ভিত্তিতে সৌদি সরকারকে বিষয়টি জানিয়েছি। তারা আমাদের জানিয়েছে, ৪৫ শতাংশ নারী চুক্তি ভেঙে দেশে ফেরে এবং সেটা তিন মাসের ভেতরে। যারা ফিরছে তাদের পক্ষ থেকে করা শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ সবসময় সত্য নয়, আমি নিজে সেটা জানি।’ শনিবার রাতে ফেরা ৬৬ নারী শ্রমিকের মধ্যে ১২ জনকে ব্র্যাকের মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের পক্ষ থেকে নিয়ে আসা হয়। এ বিষয়ে ব্র্যাকের মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের প্রধান শরিফুল হাসান বলেন, ‘প্রতিদিনই মেয়েরা ফিরছে। যারা নিজেদের শেষ সম্পদ বিক্রি করে ভালো ভবিষ্যতের আশায় বিদেশে যান তারা এমনিতেই ফিরে আসবেন এটা বিশ্বাসযোগ্য নয়। কেন ফিরছেন, তারা যেমন বলছেন তেমনই তাদের শরীরে ক্ষত আমরা দেখতে পাচ্ছি। আমরা যেখানে আমাদের নিজেদের মেয়ে পাঠাবো না, সেখানে কেন দেশের মেয়েদের পাঠানোর সাহস করি।’

 

Leave a comment

এই বিভাগের আরো সংবাদ
shuddhobarta24
Privacy Overview

This website uses cookies so that we can provide you with the best user experience possible. Cookie information is stored in your browser and performs functions such as recognising you when you return to our website and helping our team to understand which sections of the website you find most interesting and useful.