একসময় যেকোনো মোবাইল অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য মানুষকে অনেক পরিশ্রম ও অর্থ খরচ করতে হতো; সেই সঙ্গে কয়েক দিন, এমনকি সপ্তাহ পর্যন্ত অপেক্ষা করত হতো। এই অচলায়তন ভাঙতে ডাক বিভাগের ‘নগদ’ দেশে প্রথম ডিজিটাল কেওয়াইসির প্রচলন করে। এরপর বাংলাদেশ সরকারের পরিচয় অ্যাপের মাধ্যমে এক মিনিটে ‘নগদ’ অ্যাকাউন্ট খোলার পদ্ধতি চালু করে। সর্বশেষ *১৬৭# ডায়াল করে পিন সেট করলেই একজন ‘নগদ’ গ্রাহক হয়ে যেতে পারছেন মুহূর্তেই।

গত ১৭ ফেব্রুয়ারি ‘নগদ’–এর প্ল্যাটফর্মে যুক্ত হয়েছে ১ লাখ ৮৫ হাজার গ্রাহক। তার আগের দিন এবং পরদিনও যথাক্রমে ১ লাখ ৭৬ হাজার এবং ১ লাখ ৭৭ হাজার নতুন গ্রাহক ‘নগদ’–এ যুক্ত হয়েছে। ১৫ ফেব্রুয়ারিতেও ১ লাখ ৮০ হাজারের ওপর নতুন গ্রাহক পেয়েছে দেশের অন্যতম অপারেটরটি। তার আগের বা পরের দিনগুলোতেও প্রায় একই হারে গ্রাহক বৃদ্ধি পেয়েছে। সরকারি ছুটির দিনগুলোয় সংখ্যা একটু কম হলেও সাম্প্রতিক সময়ে গড়ে প্রতিদিন দেড় লাখ নতুন গ্রাহক পেয়েছে ‘নগদ’। ফলে, ‘নগদ’–এর কার্যকর গ্রাহকসংখ্যা এখন তিন কোটি ছাড়িয়ে গেছে, যা দেশের আর্থিক অন্তর্ভুক্তি বৃদ্ধিতে বড় ধরনের অগ্রগতি। প্রযুক্তি ব্যবহার করে আর্থিক অন্তর্ভুক্তি বৃদ্ধি করায় এরই মধ্যে ‘নগদ’–কে একাধিক আন্তর্জাতিক সংস্থা থেকেও পুরস্কৃত করা হয়েছে।

প্রযুক্তিগত উৎকর্ষের মাধ্যমে ‘নগদ’-এর অভাবনীয় সাফল্য সম্পর্কে ‘নগদ’–এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর এ মিশুক জানান, শুরু থেকেই তাঁরা সহজেই সারা দেশের মানুষের কাছে নগদকে পৌঁছে দিতে সচেষ্ট ছিলেন। এ ক্ষেত্রে একদিকে যেমন তাঁরা খরচ কমিয়েছেন, অন্যদিকে আবার প্রযুক্তির মাধ্যমে অ্যাকাউন্ট খোলার প্রক্রিয়াকে সহজীকরণ করেছেন, যা ‘নগদ’–কে সাফল্য এনে দিয়েছ বলে মনে করেন মিশুক। ‘আমাদের মূল চাওয়া আর্থিক অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে নগদ দেশের মানুষকে এমন একটি প্ল্যাটফর্ম দেবে, যার মাধ্যমে তারা আর্থিক লেনদেনের স্বাধীনতা পাবে। ইতিমধ্যে আমরা আমাদের চেষ্টার ফল দেখতে শুরু করেছি। আশা করি, অল্প সময়ের মধ্যে নগদ দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় এমএফএস অপারেটর হয়ে উঠবে,’ বলছিলেন মিশুক।

গ্রাহকসংখ্যার বিবেচনায় বর্তমানে ‘নগদ’–এর মার্কেট শেয়ার ৩০ শতাংশ, যা চলতি বছরের মধ্যেই ৫০ শতাংশে উন্নীত করার পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে অপারেটরটি।

প্রযুক্তিগত সুবিধার পাশাপাশি ‘নগদ’-এ এখন চলছে দারুণ মোবাইল রিচার্জ অফার। ‘নগদ’ ওয়ালেট থেকে যেকোনো মোবাইল অপারেটরে ২০ টাকা রিচার্জ করলেই পাচ্ছেন ২০ টাকা বোনাস। এ ছাড়াও দেশের সর্বনিম্ন ক্যাশ আউট চার্জ, সেন্ড মানি ফ্রি, বিল পে ফ্রি এবং জমানো টাকার ওপর সবচেয়ে বেশি মুনাফা, ঝামেলাহীন পেমেন্ট অফারসহ আরও অনেক কিছু পাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে সরকারি এই মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস অপারেটরটি। বিজ্ঞপ্তি