1. [email protected] : .com : sk .com
  2. [email protected] : আশফাকুর রহমান : Ashfakur Rahman
  3. [email protected] : বিপ্র দাস বিশু বিত্রম : Bipro Das
  4. [email protected] : Zihad Ul Islam Mahdi : Zihad Ul Islam Mahdi
  5. [email protected] : মোঃ মাহফুজ আহমদ : মোঃ মাহফুজ আহমদ
  6. [email protected] : Najim Ahmed : Najim Ahmed
  7. [email protected] : Md Sh : Md Sh
  8. [email protected] : শুদ্ধবার্তা ডেস্ক : SB 24
  9. [email protected] : shuddhobarta24@ : আবু সুফিয়ান
  10. [email protected] : Abdur Rasid : Abdur Rasid
পুলিশ ফাঁড়ি রায়হান হত্যা : বাঁচাতে আলমত নষ্ট করে পালায় আকবর
       
বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫, ০৯:১১ পূর্বাহ্ন

পুলিশ ফাঁড়ি রায়হান হত্যা : বাঁচাতে আলমত নষ্ট করে পালায় আকবর

  • সংবাদ প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ১৬ অক্টোবর, ২০২০

রায়হান হত্যার ঘটনায় বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ি থেকে বরখাস্ত ও প্রত্যাহার হওয়া অনেকেই পুলিশ লাইনে থাকলেও ঘটনার মূল হোতা এসআই আকবর হোসেন (বরখাস্তকৃত) লাপাত্তা রয়েছে। তার হদিস মিলছে না। পুলিশ কর্মকর্তাদের সাথে প্রতারণা করে পালিয়ে যায়। সবার প্রশ্ন- আকবর ভূঁইয়া কোথায়? পুলিশও জানে না আকবর কোথায়? সিলেট মহানগর পুলিশের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সিলেটের বন্দরবাজার ফাঁড়িতে নির্যাতনে যুবক রায়হানের মৃত্যুর ঘটনার পর পরই গা-ঢাকা দেয় আকবর। তার আগে সে খুনের সব আলামত নষ্ট করে দেয়।

এমনকি সিসিটিভির ফুটেজও মুছে দেয়া হয়। এ কারণে ‘গণপিটুনির’ কথা পুলিশের ঊর্ধ্বতনরা বিশ্বাস করেছিলেন। কিন্তু যখন পার্শ্ববর্তী এসপি অফিসের সিসিটিভির ফুটেজে ঘটনা ধরা পড়ে তখন আকবরের সহযোগী এক পুলিশ সদস্য ঘটনা স্বীকার করে। ওই সিসিটিভির ফুটেজে দেখা গেছে, রাত ৩টার পর সিএনজি অটোরিকশা যোগে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে আসা হয় যুবক রায়হান উদ্দিনকে। রায়হান সিএনজি থেকে নেমে নিজেই হেঁটে হেঁটে পুলিশের সঙ্গে ফাঁড়িতে ঢোকেন। এ সময় তার হাতে হাতকড়া লাগানো ছিল।

ভোর সাড়ে ৬টার দিকে যখন রায়হানকে ফাঁড়ি থেকে বের করা হয় তখন তার দুই হাত ছিল দুই কনস্টেবলের কাঁধে। পা ছেঁচড়ে সিএনজি অটোরিকশাতে তোলা হয় রায়হানকে। এ সময় বন্দরবাজার ফাঁড়ির ইনচার্জ আকবর ভূঁইয়াও সেখানে ছিলেন। পুলিশের ওই কর্মকর্তা জানান, ঘটনার দিন সকাল থেকেই লাপাত্তা ফাঁড়ির ইনচার্জ আকবর ভূঁইয়া। তাকে আর ফাঁড়ি এলাকায় দেখা যায়নি। তার মোবাইল ফোনও বন্ধ ছিল।

লাপাত্তা হওয়ার আগে সে ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের জানিয়েছিল, গণপিটুুনিতে গুরুতর আহত হলে রায়হানকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়া হয়। তখন সে ফাঁড়িতে নিয়ে আসার কথা অস্বীকার করে। কিন্তু ঘটনা ছিল তার উল্টো। এ কারণে সিসিটিভির ফুটেজে সত্যতা পাওয়ার পর ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আকবরসহ ৪ পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতনে যুবক রায়হানের মৃত্যুর ঘটনায় মামলা হলে মহানগর পুলিশ পিবিআইয়ের কাছে হস্তান্তর করে। পিবিআই ফাঁড়ি পরিদর্শন করে নিহত রায়হানের মৃতদেহ আরেক দফা ময়নাতদন্ত করে দাফন করে বৃহস্পতিবার (১৫ অক্টোবর)।

তার আগে তিনদিন আলোচিত এ মামলার তদন্তে ছিলেন কোতোয়ালি থানায় এসআই আব্দুল বাতেন। আকবর ‘হাওয়া’ হয়ে যাওয়ার পর পুলিশ তার সন্ধানে নামে। গত সোমবার রাতে আকবরের আশুগঞ্জের বেড়তলা গ্রামের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। কিন্তু সেখানেও তাকে পাওয়া যায়নি। এখন আকবর কোথায় আছে সেটি জানেন না পুলিশের কর্মকর্তারা। আকবর যাতে দেশ ছেড়ে পালাতে না পারে দেশের সব ইমিগ্রেশন পুলিশকে বার্তা দেয়া হয়েছে। বিশেষ করে সিলেটের সীমান্ত এলাকায় নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। ইতিমধ্যে আকবর সম্পর্কিত অনেক তথ্য পুলিশের কাছে রয়েছে। আকবর ঘটনার দিন দুপুর পর্যন্ত সাদা পোশাকে ফাঁড়িতেই ছিল বলে জানিয়েছেন কেউ কেউ। ওই সময়ের মধ্যে সে ঘটনার সব আলামত নষ্ট করে ফেলে। বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে রয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা। আকবরের এক বন্ধু ফাঁড়ির সিসিটিভির ওই ফুটেজ নষ্ট করে ফেলে। এমনকি হার্ডডিস্কও সরিয়ে নতুন হার্ডডিস্ক বসানো হয়। এ কারণে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সিসিটিভির ফুটেজে কিছুই পাননি।

ইতিমধ্যে তদন্ত কমিটির কাছে ঘটনার সময় উপস্থিত থাকা পুলিশ কর্মকর্তা স্বীকার করেছেন, আকবরের নেতৃত্বেই ধরে আনা যুবক রায়হানকে নির্যাতন করা হয়। সে সময় সাদা পোশাকে আকবর সেখানে ছিল। যখন রায়হানকে নির্যাতন করছিল পুলিশ সদস্যরা তখন আকবর নির্যাতনকারী পুলিশ সদস্যকে ‘বাহবা’ দেয়। ঘটনার দিন রাতে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ রায়হানকে আটক করেছিল কাস্টঘরের সুইপার কলোনির একটি ঘর থেকে। এরপর লোকজনের সামনেই তাকে হাতকড়া পরিয়ে নিয়ে আসা হয় থানায়। থানায় নিয়ে আসার পর ১০ হাজার টাকার জন্য তার পায়ের নখ উপড়ে ফেলাসহ নানা নির্যাতন চালানো হয়। নির্যাতনের সময় ফাঁড়ির ভেতর থেকে চিৎকারের শব্দ শুনতে পান প্রতিবেশীরা। রায়হানের চিৎকারে পার্শ্ববর্তী কুদরত উল্লাহ রেস্ট হাউজের বাসিন্দারা সেই চিৎকার শুনেছেন।

রায়হানের মৃত্যুর ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সিলেটের সভাপতি ফারুক মাহমুদ চৌধুরী বলেন, তিনি টাকার জন্য একজন মানুষকে মেরে ফেলেছেন। সন্তানকে পিতাহারা করেছেন। তার শাস্তি নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত সিলেটবাসী রায়হান পরিবারের সঙ্গেই থাকবে।

Leave a comment

এই বিভাগের আরো সংবাদ
shuddhobarta24
Privacy Overview

This website uses cookies so that we can provide you with the best user experience possible. Cookie information is stored in your browser and performs functions such as recognising you when you return to our website and helping our team to understand which sections of the website you find most interesting and useful.