Main Menu

জঙ্গি ছিনিয়ে নেওয়ার হুমকি, কারাগারে সর্বোচ্চ সতর্কতা

দেশের উত্তরের জেলা লালমনিরহাট কারাগারে থাকা জঙ্গিদের ছিনিয়ে নেওয়ার হুমকি পাওয়ার পর সারা দেশের ৬৮ কারাগারের নিরাপত্তা জোরদার করেছে কারা অধিদফতর। এরই ধারাবাহিকতায় সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারেও গ্রহণ করা হয়েছে কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা ।

সিলেট কারাসূত্র জানায়, সম্প্রতি কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোস্তফা কামাল পাশা স্বাক্ষরিত একটি চিঠি সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এই চিঠিতে রয়েছে সুনির্দিষ্ট বেশ কিছু নির্দেশনা। সেই নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে শহরতলির বাধাঘাটে অবস্থিত সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে নিরাপত্তাব্যবস্থা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে কারারক্ষী ও কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গঠন করা হয়েছে একটি স্ট্রাইকিং ফোর্স। স্ট্রাইকিং ফোর্সের সদস্য ও কারারক্ষীেদের পরানো হয় বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট এবং তাদের কাছে দেয়া হয়েছে আগ্নেয়াস্ত্র। যা এর আগে ছিলো না।

এছাড়াও কারা অধিদফতরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা প্রতিদিনই সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সমন্বয় করে নিরাপত্তাব্যবস্থার খোঁজ-খবর রাখছেন।

জানা গেছে, সম্প্রতি লালমনিরহাটের জেলা প্রশাসক ও জেল সুপারের কাছে একটি উড়োচিঠি আসে। ওই চিঠিতে কারাগারে আটকে থাকা জঙ্গিদের ছিনিয়ে নেওয়ার হুমকি দেয় তাদের সহযোগী জঙ্গিরা। চিঠির পরে অজ্ঞাত এক ব্যক্তি ফোন করেও একই হুমকি দেয়। পরে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানোর পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকেও জানানো হয়। কারা অধিদফতর বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে সিলেটসহ সারা দেশে কারাগারের নিরাপত্তা জোরদার করে।

সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের বাড়তি নিরাপত্তার বিষয়ে সিনিয়র জেল সুপার আব্দুল জলিল আজ মঙ্গলবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বলেন, আমাদের কাছে কারা অধিদফতরের চিঠি আসার পরপরই আমরা তড়িত গতিতে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদারের পদক্ষেপ গ্রহণ করি। বর্তমানে প্রধান ফটকসহ কারাগারের ভেতরে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে আগের চাইতে দ্বিগুণ কারারক্ষী রাখা হয়েছে এবং কারারক্ষী ও কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গঠন করা হয় আলাদা একটি স্ট্রাইকিং ফোর্স।

তিনি বলেন, আগে করারক্ষীদের কাছে আগ্নেয়াস্ত্র থাকতো না। এখন তাদেরকে আগ্নেয়াস্ত্র রাখার অনুমতি দেয়া হয়েছে। এছাড়াও ডিউটির সময় স্ট্রাইকিং ফোর্সের সদস্য এবং কারারক্ষীরা বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট পরে দায়িত্ব পালন করেন। আগে এমনটি করা হতো না।

সিনিয়র এই জেল সুপার আরো জানান, করোনা পরিস্থিতির কারণে তো এমনিতেই কয়েক মাস থেকে কয়েদিদের সঙ্গে দর্শনার্থীদের দেখা-সাক্ষাৎ বন্ধ। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে যদি কোনো কয়েদির স্বজন টাকা বা জামা-কাপড় দিতে আসেন তবে সেই টাকা, মালামাল এবং নিয়ে আসা লোককে তীক্ষ্ণভাবে তল্লাশি করে সবকিছু গ্রহণ করা হয়।

Leave a comment






এই বিভাগের আরো সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

shuddhobarta24
Privacy Overview

This website uses cookies so that we can provide you with the best user experience possible. Cookie information is stored in your browser and performs functions such as recognising you when you return to our website and helping our team to understand which sections of the website you find most interesting and useful.