Home » খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়ছে

খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়ছে

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়ানোর জন্য মত দিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়। সরকারের নির্বাহী আদেশে ছয় মাসের জন্য মুক্তি পেয়েছিলেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী। যার মেয়াদ ২৪ সেপ্টেম্বর শেষ হবে।

বৃহস্পতিবার আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে নিজ বাসা থেকে চিকিৎসা নেয়ার আগের শর্তেই তার (খালেদা জিয়া) সাজা আরও ছয় মাসের জন্য স্থগিত করার পক্ষে আইন মন্ত্রণালয় থেকে মত দেয়া হয়েছে।

আইন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, খালেদা জিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে সরকারের কাছে যে আবেদন করা হয় সেটিতে স্থায়ীভাবে তার মুক্তি চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু আইন মন্ত্রণালয় সেটি বিবেচনা করেনি।

এ ছাড়া বিএনপিপ্রধানকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসা করানোর বিষয়ও তার পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল। তবে আইনমন্ত্রী জানিয়েছেন, বিদেশে নিয়ে চিকিৎসার ব্যাপারে পরিষ্কারভাবে তারা আবেদনে জানাননি। এ ছাড়া তারা স্থায়ী মুক্তির আবেদন করেছিলেন। সেখানে আমরা আইনগত দিক থেকে সাজা ছয় মাস স্থগিত করে এই সময় পর্যন্ত তার মুক্ত থাকার মেয়াদ বাড়ানোর পক্ষে মতামত দিয়েছি।

মন্ত্রী বলেন, আমাদের মতামত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। এখন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হবে।

উল্লেখ্য, গত মার্চ মাসে তার পরিবার থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে আবেদন করা হয়েছিল যেন চিকিৎসার জন্য তাকে নির্বাহী আদেশে জেল থেকে মুক্তি দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১(১) ধারায় তার (খালেদা জিয়া) দণ্ডাদেশ স্থগিত করে তাকে ছয় মাসের জন্য মুক্তি দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। গত ২৫ মার্চ সেই আদেশে তিনি (খালেদা জিয়া) মুক্তি পান।

দুর্নীতির দুই মামলায় ১৭ বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে সাময়িক মুক্তি দেয়ার সময় আইন মন্ত্রণালয়ের সুপারিশ বিবেচনায় নিয়েছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ছয় মাসের ওই মুক্তির মেয়াদ আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর শেষ হচ্ছে। তার আগেই গত ২৫ আগস্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে সাময়িক মুক্তির মেয়াদ বৃদ্ধির আবেদন করা হয়।

খালেদা জিয়া বর্তমানে গুলশানে তার ভাড়া বাসা ‘ফিরোজায়’ রয়েছেন। তিনি আর্থারাইটিস, ডায়াবেটিস, চোখের সমস্যাসহ বার্ধক্যজনিত নানা সমস্যায় ভুগছেন।

২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলার সাজায় কারাজীবন শুরু হয় খালেদা জিয়ার। পরে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায়ও তার সাজা হয়। এছাড়া তার বিরুদ্ধে আরও ৩৪টি মামলা রয়েছে।

সূত্র: যুগান্তর

Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *