Home » অফিসে না গিয়েও উপস্থিত খাতায়, সাবরিনার ওপর ডা. মিলনের ছায়া

অফিসে না গিয়েও উপস্থিত খাতায়, সাবরিনার ওপর ডা. মিলনের ছায়া

দীর্ঘদিন ধরে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের কার্ডিয়াক সার্জারি বিভাগকে অনিয়মের স্বর্গরাজ্য করে রেখেছেন ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরী। আর ছায়া হয়ে পাশে থেকেছেন ‘ইউনিট প্রধান’ ডা. কামরুল হাসান মিলন। তাদের অনিয়মে অতিষ্ঠ হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও।

এখন কেঁচো খুঁড়তে বেরিয়ে আসছে সাপ। পদে না থেকেও কার্ডিয়াক সার্জারির বিভাগীয় প্রধানের কক্ষটি দীর্ঘদিন ধরে দখলে রেখেছেন ‘ইউনিট প্রধান’ কামরুল হাসান মিলন। নিজের নামের পাশেও লিখে রেখেছেন বিভাগীয় প্রধান। বাধ্য হয়ে বর্তমান বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক রামাপদ সরকার ছোট একটি কক্ষে নেমপ্লেট লাগিয়ে কোনোমতে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।

জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের কার্ডিয়াক সার্জারি বিভাগের একটি ইউনিটের প্রধানের দায়িত্বে আছেন ডা. কামরুল হাসান মিলন। তার অধীনেই রেজিস্ট্রার চিকিৎসক হিসেবে কাজ করতেন ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরী। অভিযোগ রয়েছে, মিলনের ছত্রছায়াতেই অনিয়মের চূড়ায় উঠেছিলেন সাবরিনা। সাবরিনা দিনের পর দিন কাজ না করেই নিতেন বেতন। ডা. মিলনের সুনজরে থাকায় অনুপস্থিত থাকার পরও নাম উঠে যেত হাজিরা খাতায়। একজন স্টাফ জানান, ওনাকে একদিনও আমি দেখিনি।

এ বিষয়ে মুখ খুলতে রাজিন হননি ডা. কামরুল হাসান মিলন। মিলন বলেন, পরিচালক সাহেব বলেছেন, মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলার আগে তাকে জানাতে।

এদিকে সাবরিনা-মিলনের ঘনিষ্ঠতায় চটে গিয়েছিলেন সাবরিনার স্বামী আরিফ চৌধুরীও। এ নিয়ে হাসপাতালের ভেতরেই মিলনের সঙ্গে বিবাদেও জড়ায় জেকেজি কর্নধার আরিফ। এ ঘটনায় জিডিও হয় থানায়।

এ প্রসঙ্গে সাবরিনা বলেন, যদি এরকম কোনো সম্পর্ক হত, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমার বিরুদ্ধে মামলাই করত।

সূত্র: বিডি প্রতিদিন

Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *