Main Menu

এর কামড়ে মৃত্যুও হতে পারে, করোনা আতঙ্কের মাঝেই হাজির প্রাণঘাতী ভীমরুল

করোনা সংক্রমণে সাংঘাতিক অবস্থা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। গোটা দেশ যেন মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে। এই অবস্থা থেকে নিস্তার কবে, তা কারোর জানা নেই। এরই মধ্যে নতুন এক আতঙ্কের আবির্ভাব হল ওয়াশিংটনে। তার নাম মার্ডার হর্নেট, যাকে বাংলায় বলা যায় প্রাণঘাতী ভীমরূল।

সম্প্রতি এই জায়ান্ট হর্নেট পাওয়া গিয়েছে ওয়াশিংটনে। ২ ইঞ্চি লম্বা এই এশিয়ান পোকা পাওয়ার পর থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নতুন করে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। কারণ এর একাধিক ধারালো হুল রয়েছে যা মানুষকে কামড়ালে সাংঘাতিক পরিণতি হতে পারে। ছোট অবস্থায় এদের খাদ্য হল মৌমাছি।

বিজ্ঞানীরা এই মুহূর্তে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এই প্রাণঘাতী বিষাক্ত ভীমরুল খুঁজছেন। এই প্রাণঘাতী পোকা ছড়িয়ে পড়ার আগেই তাদের ধ্বংস করতে চাইছেন বিজ্ঞানীরা। নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মানব সমাজ থেকে দূরে থাকলেও এশিয়া প্রতি বছর ৫০ জন করে মানুষের মৃত্যু হয় এই মার্ডার হর্নেটের কামড়ে। এটি সাধারণত এশিয়ার দেশগুলিতেই দেখা যায়।

উত্তর আমেরিকায় প্রথম এই পোকার খোঁজ পাওয়া যায় ২০১৯ এর অগাস্টে। এর পরে ব্রিটিশ কলাম্বিয়া, কানাডায় ছড়ায়। কয়েক মাস পরে ওয়াশিংটনে এই পোকার খোঁজ মেলে। ওয়াশিংটন স্টেট ইউনিভার্সিটি এখনও ধরতে পারেনি, ঠিক কোথা থেকে এবং কী ভাবে এই মার্ডার হর্নেট উত্তর আমেরিকায় এল। তবে এই মাসে বেশ কয়েকজন মৌমাছি খামারের কর্মীদের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তাই এখন থেকেই এই প্রজাতির ভীমরুলকে ধ্বংস করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বিজ্ঞানীরা।

বিজ্ঞানী টোড মুরে বলছেন, এই পোকাগুলি আকারে বেশ বড়। প্রায় দেশলাই বাক্সের মতো সাইজ এই প্রাণঘাতী ভীমরুলের। এদের বিরাট মাথা হলুদ ও কমলার মিশেলে। চোখের রং কালো। পেটের কাছে কালো ও হলুদের ডোরাকাটা। এশিয়ায়ে এপ্রিলে এই পোকাগুলি বিস্তার শুরু করে। স্ত্রী ভীমরুল হাইবারনেশন থেকে ফিরে নিজের বংশ বিস্তার করে।

এরপরে শ্রমিক ভীমরুলগুলি খাবারের সন্ধানে বেরিয়ে পড়ে। এই শ্রমিক ভীমরুলগুলি মৌমাছি মেরে নিয়ে আসে এবং তার পরে বাচ্চা ভীমরুলগুলিকে খাওয়ায়। কয়েকঘণ্টায় এই মার্ডার হর্নেট মৌমাছির একটি বাসা নষ্ট করে ফেলতে পারে।

বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, একাধিক বিষাক্ত হুল দিয়ে মানুষকে যদি এরা কামড়ায় তাহলে তার মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। যাঁরা অ্যালার্জিক নয় তাঁদেরও মৃত্যু হতে পারে এর কামড়ে। জাপানে এই পোকাগুলি সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। প্রতি বছর ৩০ থেকে ৪০ জন মানুষ মারা যান। তাই এখন থেকেই স্ত্রী ভীমরুলগুলিকে ধ্বংস করার চেষ্টা করছেন বিজ্ঞানীরা যাতে সেগুলি আর বংশবিস্তার না করতে পারে।

Leave a comment






এই বিভাগের আরো সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

shuddhobarta24
Privacy Overview

This website uses cookies so that we can provide you with the best user experience possible. Cookie information is stored in your browser and performs functions such as recognising you when you return to our website and helping our team to understand which sections of the website you find most interesting and useful.