Main Menu

করোনা ভাইরাসে ২ লাখ ১১ হাজার প্রাণহানি

মহামারি করোনাভাইরাসের ছোবলে মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এখন পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২ লাখ ১১ হাজার ৬০৩ জন। এছাড়া এ ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে ৩০ লাখ ৬৪ হাজার ৮১৪ জনের শরীরে। 

মঙ্গলবার (২৮ এপ্রিল) সকাল ৯টা পর্যন্ত এ সংখ্যা নিশ্চিত করেছে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তদের সংখ্যা ও প্রাণহানির পরিসংখ্যান রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার। এরইমধ্যে ২১০টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়েছে করোনা ভাইরাস।

আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ৯ লাখ ২২ হাজার ৩৮৯ জন। বর্তমানে চিকিৎসাধীন ১৯ লাখ ৩০ হাজার ৮২২ জন। এদের মধ্যে ১৮ লাখ ৭৪ হাজার ৫২২ জনের শরীরে মৃদু সংক্রমণ থাকলেও ৫৬ হাজার ৩০০ জনের অবস্থা গুরুতর।

ভাইরাসটির আক্রমণে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা প্রভাবশালী দেশ যুক্তরাষ্ট্রের। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৫৬ হাজার ৮০৩ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছেন ১০ লাখ ১০ হাজার ৫০৭ জন।

মৃতের সংখ্যায় যুক্তরাষ্ট্রের পরে অবস্থানে রয়েছে ইউরোপের দেশ ইতালি। দেশটিতে এ পর্যন্ত ২৬ হাজার ৯৭৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ২৯ হাজার ৪২২ জন।

ইতালির পরের অবস্থানেই রয়েছে স্পেন। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২৩ হাজার ৫২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যার দিক থেকে অবশ্য ২য় অবস্থানে রয়েছে এ দেশটি। এখানে ২ লাখ ২৯ হাজার ৪২২ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।

মৃত্যুর তালিকার চার নম্বরে রয়েছে ফ্রান্স। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২৩ হাজার ২৯৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ৬৫ হাজার ৪৪২ জন।

ফ্রান্সের পরের অবস্থানে রয়েছে যুক্তরাজ্য। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২১ হাজার ০৯২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ৫৭ হাজার ১৪৯ জন।

এদিকে জার্মানিতে ১ লাখ ৫৮ হাজার ৭৫৮ জন মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে ৬ হাজার ১২৬ জনের।

ভাইরাসটি প্রথম শনাক্ত হয় চীনে। সেখানে এ ভাইরাসে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৮২ হাজার ৮৩৬ জন এবং মারা গেছেন ৪ হাজার ৬৩৩ জন।

এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে ইরানে। এখানে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৯১ হাজার ৪৭২ জন। মৃত্যু হয়েছে ৫ হাজার ৮০৬ জনের।

বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত ভাইরাসটি শনাক্ত হয়েছে ৫ হাজার ৯১৩ জনের শরীরে। এদের মধ্যে মারা গেছেন ১৫২ জন এবং সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ১৩১ জন। বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৫ হাজার ৬৩০ জন।

ডিসেম্বরে চীনে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ নিশ্চিত হওয়া গেলেও বাংলাদেশে ভাইরাসটি শনাক্ত হয় ৮ মার্চ। ওইদিন তিন জন করোনা ভাইরাসের রোগী শনাক্ত হওয়ার কথা জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এরপর থেকে এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত শনাক্তকৃত রোগীর সংখ্যা অনেকটাই সমান্তরাল ছিল। 

কিন্তু এরপর থেকে হুট করেই বাড়তে থাকে রোগীর সংখ্যা।

তবে ভাইরাসটি যেন ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেজন্য মার্চেই ব্যবস্থা নেয় সরকার। বন্ধ ঘোষণা করা হয় সব সরকারি-বেসরকারি অফিস। পঞ্চম দফায় বাড়িয়ে সেই ছুটি করা হয়েছে আগামী ৫ মে পর্যন্ত।

শুধু বাংলাদেশেই নয়, বিশ্বের বেশিরভাগ দেশের পদক্ষেপ অনেকটা এ রকমই। তবে এর মাঝেও কিছু কিছু দেশ তাদের দেয়া লকডাউন কিছুটা শিথিল করছে। স্পেন, জার্মানি ও ভারত সেই পথে হেঁটেছে। যুক্তরাষ্ট্র ও ইতালিও তেমনটাই ভাবছে।

Leave a comment






এই বিভাগের আরো সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

shuddhobarta24
Privacy Overview

This website uses cookies so that we can provide you with the best user experience possible. Cookie information is stored in your browser and performs functions such as recognising you when you return to our website and helping our team to understand which sections of the website you find most interesting and useful.