1. abusufian7389@gmail.com : .com : sk .com
  2. ashfakur85@gmail.com : আশফাকুর রহমান : Ashfakur Rahman
  3. b.c.s.bipro@gmail.com : বিপ্র দাস বিশু বিত্রম : Bipro Das
  4. zihad0292@gmail.com : Zihad Ul Islam Mahdi : Zihad Ul Islam Mahdi
  5. ahmedmdmahfuz@gmail.com : মোঃ মাহফুজ আহমদ : মোঃ মাহফুজ আহমদ
  6. nazimahmed2042@gmail.com : Najim Ahmed : Najim Ahmed
  7. shahadotchadni@gmail.com : Md Sh : Md Sh
  8. ashfakur86@gmail.com : শুদ্ধবার্তা ডেস্ক : SB 24
  9. shuddhobarta24@gmail.com : shuddhobarta24@ : আবু সুফিয়ান
  10. surveyor.rasid@gmail.com : Abdur Rasid : Abdur Rasid
যুক্তরাজ্যের করোনাযুদ্ধে মন কেড়েছে মুসলিম দম্পতি        
সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫, ০৪:১২ পূর্বাহ্ন

যুক্তরাজ্যের করোনাযুদ্ধে মন কেড়েছে মুসলিম দম্পতি

  • সংবাদ প্রকাশের সময় : শনিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২০

সকাল ৯টা বাজেনি, তার আগেই আসিয়াহ জাভেদের মুদি দোকানের বাইরে লম্বা লাইন লেগে গেছে। তাদের বেশিরভাগই শ্রমিক ও ন্যাশনাল হেলথ কেয়ার সার্ভিসের (এনএইচএস) কর্মী। সবাই অপেক্ষায় আছেন, কখন তাদের হাতে বিনামূল্যে হ্যান্ডস্যানিটাইজার-গ্লাভস তুলে দেয়া হবে।

করোনাভাইরাস মহামারিতে যুক্তরাজ্যে কয়েক ডজন মেডিকেল কর্মী প্রাণ হারিয়েছেন। পারসোনাল প্রটেকটিভ ইক্যুয়িপমেন্টসহ (পিপিই) অন্যান্য সুরক্ষা উপকরণের অভাবে করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকেই। পরিস্থিতি সামলাতে গিয়ে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছে দেশটির সরকার। এমন পরিস্থিতিতে ব্যবসা নয়, বরং মহানুভবতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন আসিয়াহ ও তার স্বামী জাওয়াদ।

৩৪ বছর বয়সী আসিয়াহ বলেন, ‘আমরা ভাবলাম মাস্ক বিক্রির বদলে সেগুলো এনএইচএসে দান করাই ভালো। কারণ তাদেরই সেগুলো বেশি দরকার, তারা মানুষের প্রাণ বাঁচাচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘মাস্কের অভাব থাকায় মেডিকেল কর্মীরা টাকা দিতে চাচ্ছিল, কিন্তু আমি তাদের বললাম, কোনো দরকার নেই। তারা খুবই ভালো কাজ করছে। আমরা তাদের কাছ থেকে টাকা নিতে পারি না।’

মার্চে লকডাউন আরও জোরদার হলে আসিয়াহ একদিন দেখেন, এক বৃদ্ধা একটি সুপারমার্কেটের বাইরে কাঁদছেন। কারণ প্রয়োজনীয় উপকরণ সংগ্রহের সামর্থ্য ছিল না তার। সেই সময়ই এ স্কটিশ দম্পতি সিদ্ধান্ত নেন, তারা নিজেদের সঞ্চয় থেকে পাঁচ হাজার পাউন্ড দিয়ে মাস্ক, হ্যান্ডওয়াশসহ প্রয়োজনীয় উপকরণ কিনে যাদের সেগুলো দরকার তাদের মধ্যে বিতরণ করবেন।

সেই থেকে গত চার সপ্তাহে স্কটল্যান্ডের ফলকির্ক শহরের এ দুই মহানুভব মানুষ অন্তত তিন হাজার পিস মাস্ক, এক হাজারেরও বেশি খাবারের পাকেট বিতরণ করেছেন।

করোনা মহামারির কারণে চাকরি হারিয়েছেন যুক্তরাজ্যের অসংখ্য মানুষ। আসিয়াহদের অনেক ক্রেতাই পরিবারের জন্য ঠিকমতো খাবার জোগাড় করতে পারছেন না।

জাওয়াদ বলেন, ‘‘আমরা যখন খাচ্ছি, তখন তারা কেন অভুক্ত ঘুমাবে? এ কারণে আমরা ফেসবুকে ঘোষণা দেই, বিনামূল্যে খাবার বিতরণ করব। এরপর থেকে অন্তত দুই-তিনশ’ কল পেয়েছি আমরা।’’

ফলকির্ক শহরে ৫৪ বছর ধরে রয়েছেন উইলিয়াম ওয়েলশ। এ বৃদ্ধ জানান, একদিন তার কাছে হ্যান্ডস্যানিটাইজারসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিস দিতে এসেছিলেন জাওয়াদ। সেদিন তাকে ‘আসসালামু ওয়ালাইকুম’ বলে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন তিনি।

উইলিয়াম বলেন, ‘জাওয়াদের বিষয়ে যা-ই বলি তা যথেষ্ট হবে না। সে কয়েক সপ্তাহ ধরে এই কাজ করছে। সে যা করছে তা মানুষ কখনোই ভুলবে না, বিশেষ করে বয়স্করা।’

গ্লাসগো কেন্দ্রীয় মসজিদের মহাসচিব ইরফান রাজ্জাক বলেন, ‘যেকোনও সময়ে চেয়ে এখন দুর্দশাগ্রস্তদের আরও বেশি সহযোগিতা দরকার। মসজিদের পক্ষ থেকে আশ্রয়প্রার্থী, শরণার্থীসহ অন্যদেরও সাহায্য করা হচ্ছে। আমরা কারও ব্যকগ্রাউন্ড দেখে নয়, বরং যার যা সাহায্য দরকার, তা পূরণের চেষ্টা করছি, কাউকেই ফিরিয়ে দেয়া হচ্ছে না। অমুসলিমদের কাছ থেকেও অনেক কল পাচ্ছি, বিশেষ করে বয়স্কদের। এই সংকট মোকাবিলায় আমাদের সবাইকে এক হয়েই একে অপরের সহযোগিতা করতে হবে।’

এই বিভাগের আরো সংবাদ
shuddhobarta24
Privacy Overview

This website uses cookies so that we can provide you with the best user experience possible. Cookie information is stored in your browser and performs functions such as recognising you when you return to our website and helping our team to understand which sections of the website you find most interesting and useful.