Home » করোনা ভাইরাস জেমস বন্ডের পর হলিউডের ছবিগুলোর ভবিষ্যৎ কী

করোনা ভাইরাস জেমস বন্ডের পর হলিউডের ছবিগুলোর ভবিষ্যৎ কী

জেমস বন্ড হিসেবে ব্রিটিশ তারকা ড্যানিয়েল ক্রেগের শেষ অভিযান করোনা ভাইরাসের শিকার হলো। তার অভিনীত ‘নো টাইম টু ডাই’ আগামী মাসে প্রেক্ষাগৃহে আসার কথা থাকলেও সাত মাস পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। সব ‍ঠিক থাকলে এ বছরের নভেম্বরে মুক্তি পাবে ছবিটি। করোনা আতঙ্কে স্থগিত হওয়া প্রথম বড় ক্যানভাসের ছবি এটাই। এ কারণে লোকসান গুনতে হচ্ছে প্রায় ৩ কোটি ডলার (আড়াইশো কোটি টাকারও বেশি)।

কেন এই সিদ্ধান্ত
যদিও ছবি পিছিয়ে দেওয়ার বক্তব্যে প্রযোজকদ্বয় বারবারা ব্রকোলি ও মাইকেল জি. উইলসন সরাসরি করোনা ভাইরাসের কথা উল্লেখ করেননি। তাদের সহযোগী আমেরিকান প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান মেট্রো-গোল্ডয়েন-মেয়ার (এমজিএম) জানিয়েছে, বিশ্বব্যাপী সিনেমা বাজারের বিশদ মূল্যায়ন করে ও সতর্কতার কথা ভেবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বিবিসি আর্টস প্রতিনিধি ডেভিড সিলিটো মনে করেন, ২০২০ সালের প্রথম বৈশ্বিক ব্লকবাস্টার হতে যাচ্ছিল ‘নো টাইম টু ডাই’। প্রতি ছবির ক্ষেত্রে মোট আয়ের দুই-তৃতীয়াংশ যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে থেকে আনে জেমস বন্ড। নিঃসন্দেহে এটি বিপুল অঙ্কের ব্যবসা।
চলচ্চিত্র সমালোচক সিভন সিনট বিবিসি ব্রেকফাস্টকে বলেন, ‘নো টাইম টু ডাই পিছিয়ে যাওয়া অবশ্যই অর্থনীতির জন্য বড় ধাক্কা। প্রচারণা ভালোই চলছিল, গ্র্যামিতে ইতিহাস গড়া বিলি আইলিশের গাওয়া জেমস বন্ডের নতুন থিম সং প্রকাশিত হয়েছে ফেব্রুয়ারিতে। কিন্তু এখন সবই থমকে গেলো।’
হলিউডের অন্যান্য বড় প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান সারাবছর ছবি মুক্তি দিয়ে থাকে। কিন্তু জেমস বন্ডের ওপর প্রচণ্ড নির্ভরশীল এমজিএম। সিরিজটির আর্থিক সাফল্যের ওপর নির্ভর করে থাকে প্রতিষ্ঠানটি। যদি বন্ডের ছবি ব্যবসা না করে তাহলে তারা মাথা তুলে দাঁড়ানোর শক্তি হারিয়ে ফেলে।

Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *