Home » করোনা: গৃহে বসে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজনে চারুকলা

করোনা: গৃহে বসে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজনে চারুকলা

করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সাধারণ মানুষ সরকারের নির্দেশনা মেনে নিজ ঘরে অবস্থান করছে। প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে তেমন কেউ যাচ্ছেন না। নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী ও ওষুধ ছাড়া সব ধরনের দোকানপাটসহ ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান বন্ধ, যানবাহনও নেই সড়কে।
আর এই সময়টাতে বাড়িতে অলস সময় না কাটিয়ে বইপড়া, চিত্রাঙ্কন, ছড়া, কবিতা, গান ও নৃত্য করার আহ্বান জানিয়েছেন বরিশাল চারুকলা।
বিশেষ করে শিশুদের ছবি আঁকার প্রতি জোর দিয়েছেন তারা। এরইমধ্যে তারা ‘আসুন সৃজনে মেতে উঠি’ নামে একটি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম বা গ্রুপ তৈরি করেছেন। যেখানে বাড়িতে থাকার এই সময়ে শিশুদের আঁকা ছবিগুলো তুলে ধরা হচ্ছে।
চারুকলার সংগঠকদের মতে, ‘করোনা ভাইরাসের কারণে স্বাভাবিক জীবনযাপন ব্যাহত হচ্ছে। কেউ বাইরে যেতে পারছে না। নিজ পরিবার নিয়ে সবাই গৃহাঙ্গনে স্বেচ্ছাবন্দী। এই বন্দীদশার সময়টুকু হেলায় না কাটানোর জন্যই এসব উদ্যোগ। আমাদের বিশেষ করে শিশু ও শিক্ষার্থীদের হাতে এখন অফুরন্ত সময়। সৃজনের এক অবারিত দ্বার। এখন সময় তো বইপড়া, ছবি আঁকা, ছড়া, কবিতা, গান ও নৃত্যকলার। তাই চারুকলার সংগঠকদের আহ্বান ‘যে যেভাবে পারি সৃজনে উম্মাদনায় ভরিয়ে দেই না এই সময়টুকু।’ শুধু তাই নয় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে তা ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য বলছেন তারা, যাতে স্বজন, বন্ধু ও শুভার্থীরাও তা দেখতে পারেন।’

বরিশাল চারুকলার সাধারণ সম্পাদক রনি দাস বলেন, ‘এই প্ল্যাটফর্মটির মাধ্যমে আমরা যেমন শিশুদের বসে না থেকে ছবি আঁকার প্রতি আগ্রহী করে তুলছি। তেমনি গৃহজীবন যাপনের এই সময়টাতে যে যতো ছবি জমা দেবে, তার ওপর ভিত্তি করে পুরস্কারের ব্যবস্থাও করেছি। এখন পর্যন্ত অনেকেই তাদের আঁকা ছবিগুলো জমা দিচ্ছে। আমরা আশা করি, শিশুরা উৎসাহী হয়ে এতে অংশ নেবে।’

তিনি বলেন, ‘সবার প্রতি আহ্বান থাকবে আনন্দে আর সৃজনের ধারায় প্রত্যাখান করি করোনার কড়াল গ্রাস। বেঁচে রই সৃষ্টি আনন্দে, জীবনের জয়গানে কাটুক আঁধার। তাই বর্ণময় সৃজনধারায় আসুন না জেগে উঠি।’

চারুকলার সাবেক সভাপতি সুশান্ত ঘোষ বলেন, ‘এসব কাজ বিশেষ করে ছবি আঁকার মধ্য দিয়ে আমরা শিশুদের ভাবনাগুলো দেখতে পারবো। তাই ভাবনা বিনিময়ের এই অফুরন্ত সময়টুকুকে সম্ভবনা হিসেবে ধরে আমরা নিজ সন্তানদের মধ্যে ছড়িয়ে দেই সৃজনের এই ঝরনাধারা। যার আলোকে ধারায় ধুয়ে-মুছে যাক না আমাদের বন্দীত্বের গ্লানিময় একঘেঁয়ে এক যাপিত জীবন। বাংলানিউজ

Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *