ডেস্ক নিউজ: পহেলা বৈশাখে এক বা একাধিক স্টেজ শো করি আমি। তুমুল ব্যস্ততায় কাটে আনন্দের এ দিনটি। স্টেজে উঠেও আনন্দের কথা বলি, উৎসবের গানগুলোই গাই। তাই এমন দিনে শ্রোতা-দর্শকদের সঙ্গে দুঃখের কথা বলারও সুযোগ নেই।
অথচ এবারের বৈশাখ উৎসবটি আমার কাছে অনেক বেদনার এবং সাদামাটা।
এবারই প্রথম আমি এক বুক বেদনা নিয়ে আনন্দের গান করছি। বাবাকে ছাড়া এবার প্রথম বৈশাখ আমার। বাবা থাকলে প্রত্যেক বৈশাখে আমার সঙ্গে কনসার্টে যেতেন। আমি যখন মঞ্চে গাইতাম- তখন তিনি হতেন সবচেয়ে মনযোগী শ্রোতা-দর্শক।
গান গাওয়ার সময় ভিড়ে হয়তো কখনও বাবাকে দেখতাম, কখনও দেখতে পেতাম না। কিন্তু আমার মাথায়, মনে তিনি ঠিকই থাকতেন। তার বেলাতেও নিশ্চয়ই তাই ছিল।
এই বৈশাখেও আমি বড় একটি বৈশাখী কনসার্টে অংশ নিয়েছি। বেনাপোলে শো ছিল আমাদের। দারুণ শো হয়েছে, অথচ একটিবারের জন্যও বাবাকে দেখতে পেলাম না মঞ্চের আশেপাশে। এ দুঃখ আমাকে খুব কাঁদিয়েছে আজ। বুকে চাপা কান্না নিয়ে আমি আনন্দের গানগুলোই করেছি হাসিমুখে।
আজ (১৪ এপ্রিল) সারাদিন আমি কেবল একজন দর্শক-শ্রোতাকে খুব মিস করেছি। বাবা, এই উৎসবের দিনে বড় বেশি মনে পড়ছে তোমাকে।
বার্তা বিভাগ প্রধান