Main Menu

করোনাভাইরাস নিয়ে প্রথম সতর্ক করা সেই চিকিৎসকও বাঁচলেন না

অনলাইন ডেস্ক

: করোনাভাইরাস সম্পর্কে আগেই সতর্ক করে দেওয়া সেই চিকিৎসক লি ওয়েনলিয়াং নিজেই এবার প্রাণ হারালেন। গতকাল বৃহস্পতিবার ভাইরাসের কেন্দ্রস্থল উহানে ওই চিকিৎসক মারা যান।

বিবিসি জানায়, ১২ জানুয়ারি থেকে লি ওয়েনলিয়াং হাসপাতালে ভর্তি থাকলেও তার শরীরে করোনাভাইরাসের বিষয়টি ধরা পড়ে গত ১ ফেব্রুয়ারি। রোগীর দেহ থেকে লির শরীরে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে বলে জানা যায়।

২৭ বছর বয়সী এ চিকিৎসকের মৃত্যুর খবর নিয়ে চীনা গণমাধ্যম বিভ্রান্তি ছড়িয়ে পড়ে। পরে উহান সেন্ট্রাল হসপিটাল কর্তৃপক্ষ জানায়, বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় রাত ২টা ৫৮ মিনিটে তার মৃত্যু হয়েছে।

চীনের গ্লোবাল টাইমস প্রথমে লির মৃত্যুর খবর দেয়। পরে তা প্রত্যাহার করে ওই চিকিৎসক সঙ্কটাপন্ন অবস্থায় রয়েছেন বলে জানায় ওই সংবাদমাধ্যম। চীনের পিপলস ডেইলিও লির মৃত্যুর খবর জানিয়ে টুইট করেছিল।

এর আগে গত ৩০ ডিসেম্বর লি এক বার্তায় তার সহকর্মীদের বলেছিলেন, নতুন এ করোনাভাইরাস নিয়ে সতর্ক হওয়া জরুরি। আর সেজন্য চীনা কর্তৃপক্ষ তার মুখ বন্ধ করে দিয়েছিল মুচলেকা আদায় করে। সেই ডাক্তারকেই এখন ‘হিরো’র আসনে বসাচ্ছে পুরো চীন।

বিবিসি আরও জানিয়েছে, চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহানে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের খবর সংগ্রহ করা হচ্ছিল। করোনার প্রাদুর্ভাবের সময় চিকিৎসক লি ওয়েনলিয়াং সহকর্মী ডাক্তারদের সতর্ক করার চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু সে সময় তাকে কেউ গুরুত্ব দেয়নি। এমনকি পুলিশ তাকে শাসিয়ে চুপ করিয়ে দেয়।

হাসপাতালের বিছানা থেকে চিকিৎসক লি চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ওয়েবোতে জানিয়েছেন সেসব কথা। ওয়েবোর পোস্টে ওই চিকিৎসক বলেন, ‘আমি লি ওয়েনলিয়াং। উহান সেন্ট্রাল হাসপাতালের একজন চক্ষুবিশেষজ্ঞ।’

ভাইরাসে আক্রান্তদের তার হাসপাতালের কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়। ৩০ ডিসেম্বর লি তার ফেলো চিকিৎসকদের একটি চ্যাট গ্রুপে বার্তা দেন। সেখানে তিনি ফেলো চিকিৎসকদের করোনাভাইরাস নিয়ে সতর্ক করেন।

ডিসেম্বর মাসে করোনাভাইরাস নিয়ে কাজ করার সময় চিকিৎসক লি পাবলিক সিকিউরিটি ব্যুরোর কর্মকর্তার সঙ্গে সফর করেন।

তারা তাকে একটি চিঠিতে সই করতে বলেন। ওই চিঠিতে লির বিরুদ্ধে মিথ্যা মন্তব্য করার অভিযোগ ওঠে। বলা হয়, এ ধরনের ভাইরাসের সংক্রমণের কথা বলে তিনি সমাজের ক্ষতি করছেন।

পুলিশ বলছে, গুজব ছড়ানোর কারণে যে আটজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল চিকিৎসক লি ছিলেন তাদের মধ্যে একজন। যদিও স্থানীয় কর্তৃপক্ষ তার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। তবে সে ঘটনাটিও দেরিতে ঘটে।

চীনের প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলছে। এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ৬৩০ জনে। এর মধ্যে হুবেই প্রদেশে নতুন করে ৬৯ জন মারা গেছেন।

Leave a comment






এই বিভাগের আরো সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

shuddhobarta24
Privacy Overview

This website uses cookies so that we can provide you with the best user experience possible. Cookie information is stored in your browser and performs functions such as recognising you when you return to our website and helping our team to understand which sections of the website you find most interesting and useful.