1. [email protected] : .com : sk .com
  2. [email protected] : আশফাকুর রহমান : Ashfakur Rahman
  3. [email protected] : বিপ্র দাস বিশু বিত্রম : Bipro Das
  4. [email protected] : Zihad Ul Islam Mahdi : Zihad Ul Islam Mahdi
  5. [email protected] : মোঃ মাহফুজ আহমদ : মোঃ মাহফুজ আহমদ
  6. [email protected] : Najim Ahmed : Najim Ahmed
  7. [email protected] : Md Sh : Md Sh
  8. [email protected] : শুদ্ধবার্তা ডেস্ক : SB 24
  9. [email protected] : shuddhobarta24@ : আবু সুফিয়ান
  10. [email protected] : Abdur Rasid : Abdur Rasid
১০০ ফুট সড়ক নিয়ে হচ্ছেটা কী 
       
মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫, ১২:৪০ অপরাহ্ন

১০০ ফুট সড়ক নিয়ে হচ্ছেটা কী 

  • সংবাদ প্রকাশের সময় : সোমবার, ১৬ এপ্রিল, ২০১৮

অনলাইন ডেস্ক : দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে পরিত্যক্ত অবস্থায় ফেলে রাখা  ‘তিনশ’ ফুট সড়ক সংযুক্ত ১০০ ফুট চওড়া সার্ভিস রোডটি আরও বেহাল হয়ে পড়েছে। কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ১০০ ফুট চওড়া সড়কটি উদ্বোধনের আগেই ‘ব্যবহার অনুপযোগী’ ঘোষণা দেওয়ার উপক্রম হয়েছে।

স্থানীয়দের যোগাযোগের ক্ষেত্রে অতি প্রয়োজনীয় বিবেচনায় তিনশ ফুট রোডের উভয় পাশে ১০০ ফুট চওড়া দুটি সার্ভিস রোড নির্মাণের উদ্যোগ নেয় রাজউক। কিন্তু কর্তৃপক্ষের দায়িত্বহীনতায় দীর্ঘদিনেও নির্মাণ শেষ না হওয়ায় সার্ভিস রোড দুটি এখন ভাঙাচোরা গাড়িসহ বেসরকারি বাড়িঘরের নির্মাণসামগ্রী রাখার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। প্রায় পরিত্যক্ত এ রাস্তাজুড়েই গড়ে উঠছে অবৈধ হাটবাজার। তাছাড়া লেক খননের কাদামাটি তুলে এ সার্ভিস রোডের ওপরই স্তূপ আকারে ফেলে রাখা হয়েছে। ফলে রাস্তা কাদাপানিতে একাকার হয়ে গেছে। এ ছাড়া স্থানে স্থানে ভাঙাচোরা গর্ত সৃষ্টি হওয়ায় বিপজ্জনক সড়কে পরিণত হয়েছে। প্রায়ই এসব গর্তে গাড়ি ও মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় পতিত হচ্ছে। পূর্বাচল এলাকায় অবৈধভাবে গজিয়ে ওঠা নীলা মার্কেটের অদূরে সার্ভিস রোডটি রীতিমতো রেন্ট-এ কারের টার্মিনাল হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। সেখানেই গড়ে উঠেছে খোলা গ্যারেজ-ওয়ার্কশপ।
গাড়ি ধোয়ামোছা থেকে শুরু করে গাড়ির বডি মেরামতসহ যাবতীয় ঝালাইয়ের কাজও করা হচ্ছে সার্ভিস রোডের উপরেই। পূর্বাচল নতুন শহরের সঙ্গে রাজধানীর সংযোগ সৃষ্টির জন্য রাজউক এক যুগেরও বেশি সময় আগে ‘তিনশ’ ফুট সড়ক প্রকল্পটি হাতে নেয়। এর সঙ্গেই সংযুক্ত করা হয় উভয়পাশের ‘একশ’ ফুট চওড়া সার্ভিস রোডটিও। কিন্তু বিগত ১৩ বছরেও প্রকল্পটি সমাপ্ত না হওয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ওই সড়কে  নিরবচ্ছিন্ন যানবাহন চলাচলের ব্যবস্থা আজও করতে পারেনি রাজউক। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের গাফিলতি, ঠিকাদারের দায়সারা কাজ, দফায় দফায় পরিকল্পনা পরিবর্তনসহ বিভিন্ন টালবাহানায় রাস্তাটি নানা ত্রুটি-বিচ্যুতিতেই আটকে থাকছে। ইদানীং আবার রাস্তাটির দুই পাশে ১০০ ফুট প্রশস্ত খাল নির্মাণ শুরু হওয়ায় আরেক দফা দখলের মুখে পড়েছে সড়কটি। এসব কারণে বছরের পর বছর ধরে নির্মাণাধীন সড়ক জুড়ে অসংখ্য খানাখন্দ, ধুলাবালি, বর্ষায় কাদাপানির মাখামাখি পথচারীসহ আশপাশ এলাকার বাসিন্দাদের চরম বিপাকে ফেলছে। এ সড়কে যাতায়াতকারী মানুষেরও দুর্ভোগের অন্ত থাকছে না। অন্যদিকে কুড়িল-কাঞ্চন ব্রিজ-গাউছিয়া বাইপাস সড়কের মাধ্যমে রাজধানীর যানজট নিরসনের শুভ উদ্যোগটি রীতিমতো অনিশ্চিত হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এ ব্যাপারে রাজউকের অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালক (এপিডি) উজ্জ্বল মল্লিক বলেন, ‘আমরা কুড়িল থেকে বালু নদ পর্যন্ত সার্ভিস রোডের কাজ করছি না। সেখানে খালের সঙ্গে সমন্বয় করে সেনাবাহিনী তা করবে। আর বালু নদের পর থেকে কাঞ্চন ব্রিজ পর্যন্ত ৭ কিলোমিটার সার্ভিস রোডের কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। সেখানে কিছু র‌্যাম্প আর রাস্তার ফিনিশিং বাকি আছে। শিগগিরই তা সম্পন্ন হবে। রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) সূত্রে জানা যায়, ২০০৪ সালে ৩৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে কুড়িল-কাঞ্চন ব্রিজ পর্যন্ত সড়ক নির্মাণের কাজ হাতে নেয় রাজউক। এ প্রকল্পের আওতায় ৭ কিলোমিটার সার্ভিস রোডও নির্মাণ শুরু করে তারা। গত ১৩ বছরে মধ্যবর্তী দুই এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ শেষে যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হলেও সার্ভিস রোড দুটি পাঁচ বছর ধরেই ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। এ ব্যাপারে রাজউক চেয়ারম্যান আবদুর রহমান বলেন, ‘সার্ভিস রোড আমরা যতটুকু করেছি নতুন করে আর কোনো কাজে হাত দেব না। যা অবশিষ্ট আছে তা এই মুহূর্তে শেষ করার পরিকল্পনা নেই। পুরো এলাকা নিয়ে বিশদ পরিকল্পনার পর কাজে হাত দেওয়া হবে। ’ গতকাল সরেজমিন দেখা যায়, কুড়িল-পূর্বাচল তিনশ ফুট সড়কের দুই পাশের সার্ভিস রোডটির বেহাল দশা। কোথাও রোড নির্মাণ শেষ হয়েছে, আবার কোথাও কোথাও এখনো কাঁচা সড়কেই শুধু ইট নিয়ে ফেলে রাখা আছে। ফলে নির্মিত সার্ভিস রোডে সিএনজি, প্রাইভেটকার, টেম্পো চলাচল করলেও কিছুদূর পর পরই আবার মূল এক্সপ্রেসওয়ে উঠে যেতে হয়। কুড়িল থেকে সার্ভিস রোড ধরে পূর্বাচলের ৪৫ নম্বর বালু ব্রিজের ঢালে ইট, বালুর স্তূপ করে বন্ধ করে রাখা হয়েছে রাস্তা। এ রাস্তা ধরে কোনো গাড়ি গেলে তাদের আবার উল্টো দিকে ঘুরে এসে মূল রাস্তায় উঠতে হবে। অথবা উল্টো পাশ দিয়ে গাড়ি চালিয়ে আসতে হবে। ব্রিজে পৌঁছানোর আধা কিলোমিটার আগে থেকেই শেষ হয়ে গেছে সার্ভিস রোড। ফলে ওই পর্যন্ত গিয়েই ঢালু ঠেলে আবার মূল সড়কে (তিনশ ফুট সড়কে) গাড়ি উঠিয়ে তবেই চলাচল করা সম্ভব হয়। এভাবে একবার মূল রাস্তা আরেকবার সার্ভিস রোডে  বিপজ্জনকভাবে ওঠানামা করে গাড়ি। ৪৬ নম্বর বালু ব্রিজের নিচে আন্ডারপাস দিয়ে এক পাশের রাস্তা অন্য পাশে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু পূর্বাচল থেকে আসার রাস্তায় কোনো আন্ডারপাস না রেখে এবং রাস্তার কাজ শেষ না করে ফেলে রাখা হয়েছে। তাই না জেনে এই পথে কেউ যদি সার্ভিস রোডে ঢুকে পড়ে তাহলে সে আর নদ পার হয়ে আসতে পারবে না। এ জন্য উল্টো পথে তাকে আবার কয়েক কিলোমিটার ঘুরে আসতে হবে। ৪৬ নম্বর ব্রিজ পার হতেই দেখা যায়, সার্ভিস রোডের ওপর রেখে দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন মডেলের গাড়ি। বেশকিছু দামি জিপে ‘সেল’ লেখা পোস্টার লাগিয়ে সার্ভিস রোড দখল করে সাজিয়ে রাখা হয়েছে। পাশেই টিনের ছাপরা ঘর তুলে চলছে গাড়ি মেরামতের কাজ। সবই চলছে সার্ভিস রোড দখল করে।

Leave a comment

এই বিভাগের আরো সংবাদ
shuddhobarta24
Privacy Overview

This website uses cookies so that we can provide you with the best user experience possible. Cookie information is stored in your browser and performs functions such as recognising you when you return to our website and helping our team to understand which sections of the website you find most interesting and useful.