Home » সিরিয়াকে ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি

সিরিয়াকে ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি

শুদ্ধবার্তাটোয়েন্টিফোরডটকম: সিরিয়া সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ভবিষ্যতে নতুন করে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার হলে সিরিয়ায় ফের হামলা চালাতে যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তুত আছে।

গত সপ্তাহে সিরিয়ার পূ্র্ব গৌতার বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত সর্বশেষ শহর দৌমায় রাসায়নিক হামলায় ৭০জন নিহত এবং পাঁচ শতাধিক মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ে।

যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো রাসায়নিক হামলার জন্য সিরিয়ার সরকারি বাহিনী ও তাদের মিত্র রাশিয়াকে দায়ী করে এর যোগ্য জবাব দেওয়ার হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে। যদিও আসাদ বাহিনী এবং রাশিয়া উভয়ই রাসায়নিক হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

রাসায়নিক অস্ত্রের ব্যবহার নিয়ে পাল্টাপাল্টি হুমকির মধ্যেই গত শনিবার প্রথম প্রহরে সিরিয়ার তিনটি রাসায়নিক অস্ত্রভান্ডার লক্ষ্য করে শতাধিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স।

জার্মানি ও তুরস্ক এ হামলা সমর্থন করলেও চীন, ইরান, জর্ডান ও ইরাক বিপক্ষে অবস্থান নেয়।

রাশিয়া শনিবার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠক ডেকে এ হামলার বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাব তোলে। বলিভিয়া ও চীন ছাড়া ১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদে আর কেউ প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয়নি।

পেরু, কাজাখস্তান, ইথিওপিয়া ও একোয়াটোরিয়াল গিনি ভোটদানে বিরত ছিল; অপরদিকে তিন স্থায়ী সদস্য রাষ্ট্র যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সসহ আট সদস্য রাষ্ট্র বিপক্ষে ভোট দিয়েছে।

নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত নিকি হ্যালি সিরিয়ায় অভিযানকে ‘ন্যায়সঙ্গত, বৈধ এবং ভারসাম্যপূর্ণ’ বলে বর্ণনা করেছেন।

তিনি বলেন, “শনিবার সকালে আমি প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি বলেছেন, যদি সিরিয়া সরকার আবারো বিষাক্ত গ্যাস ব্যবহার করে তবে আবার হামলার জন্য যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তুত আছে।”

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কোনো স্থির সিদ্ধান্ত নিলে তা কার্যকরও করেন বলে জানান হ্যালি।

সাত বছর আগে শুরু হওয়া সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের বিরুদ্ধে এটিই পশ্চিমা দেশগুলোর সবচেয়ে বড় অভিযান।

যদিও পশ্চিমা দেশগুলো শুরু থেকেই বিদ্রোহীদের সমর্থন দিয়ে আসছে। কিন্তু সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে কখনো সরাসরি হস্তক্ষেপ করেনি।

রাশিয়ার নিন্দা প্রস্তাব বাতিল হয়ে যাওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স নিরাপত্তা পরিষদে সিরিয়ায় রাসায়নিক অস্ত্রের ব্যবহার নিয়ে স্বাধীন তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে।

যদিও এরই মধ্যে রাসায়নিক অস্ত্র বিস্তার রোধ নিয়ে কাজ করা স্বাধীন সংস্থা ওপিসিডব্লিউ’র একটি দল সিরিয়া রওয়ানা হয়েছে।

এ সপ্তাহে তারা দৌমায় যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। ৩০ দিনের মধ্যে ওপিসিডব্লিউ’কে তাদের তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

ওদিকে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও ফ্রান্স দৌমায় রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের প্রমাণ পাওয়ার কথা জানিয়েছে।

 

Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *