প্রতিবেদক আশুলিয়া: স্বনির্ভর ধামসোনা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কাউন্সিল অধিবেশন খুব শিগ্রই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। 

এ কাউন্সিল অধিবেশনে বর্তমান সময়ে অন্যায়ের প্রতিবাদী কন্ঠ, আলোচিত উদ্দমী নেতা, তৃণমূল নেতাকর্মীদের কল্যাণে নিবেদীত প্রাণ, সৃৃজনশীল নেতা ওমর ফারুককে ধামসোনা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে দেখতে চান তৃণমূল নেতাকর্মীরা।

বাংলাদেশকে যোগ্য নেতৃত্ব দিয়ে এগিয়ে নেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভ’য়সী প্রশাংসা করে তৃণমূল নেতাকর্মীরা বলেন, এই অগ্রযাত্রার একজন অন্যতম কর্মী ওমর ফারুক ভাই। বাংলাদেশের সবচেয়ে ঘনবসতি ধামসোনা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগকে আরো শক্তিশালি করার লক্ষে বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক আদর্শ বুকে ধারন করে দলের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে ওমর ফারুক ভাই। প্রকৃত মুজিব প্রেম বুকে ধারণ করা ওমর ফারুক ভাইকে ধামসোনা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা উচিত।

শ্রমিকবান্ধব এই নেতা পারিবারিক ঐতিহ্যের স‚ত্র ধরে রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। তিনি ১৯৯৬ সালে ধামসোনা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক হিসেবে যোগ দিয়ে রাজনীতি শুরু করেন। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

এদিকে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের ধর্ম বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য পদে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে এলাকায় সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজী ও মাদক ব্যবসাসহ সকল ধরনের অপরাধ নির্মূল করতে তৃণমূল নেতা কর্মীদের সাথে নিয়ে নিঃরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।  

অন্যদিকে আশুলিয়াস্থ বৃহত্তর কুমিল্লা সমিতির সাধারণ সম্পাদক হিসাবেও দায়িত্বপালন করছেন তিনি, পরিচালক বাংলাদেশ গার্মেনটস এক্সেসরিজ এন্ড এক্সপোর্ট এসোসিয়েশন এর পরিচালক ও পরে সংগঠনের বন্ড লাইসেন্স ইন্সপেকশন কমিটির চেয়ারম্যান এর দায়িত্ব পালন করছেন। 

শুধু নিজস্ব দল বা রাজনৈতিক পরিচয়ের মধ্যে আবদ্ধ নন তিনি, মানবতাবাদী এই রাজনৈতিক নেতা মারকাজুল উলুম আল ইসলামিয়া এতিমখানার সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন, দেড়শত এতিম ছাত্রদের পড়াশুনা ও ভরণপোষণের করছেন, এতিম খানার জন্য পাঁচ শতক  জমি দান করছেন এই নেতা। পরাপকারী, দরিদ্র মানুষকে সহায়তাসহ বিভিন্ন কর্মকান্ডের জন্য আশুলিয়ার সাধারণ শ্রমিকদের কাছেও বেশ জনপ্রিয় এই আওয়ামী লীগ নেতা।

উদীয়মান পরিচ্ছন্ন এই নেতা বলেন, জাতির পিতার আদর্শের দলের একজন কর্মী হয়ে আমি আজীবন থাকতে চাই। ১৯৯৬ ও ২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াতের ভয়ে যেখানে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা কথা বলতে সাহস পেতো না, আমি রাজপথে থেকে বিএনপি-জামায়াতের গণবিরোধী বিভিন্ন কর্মকান্ডের প্রতিবাদ করেছি। আমি সর্বদাই আওয়ামী লীগের পক্ষে কাজ করেছি। জেল-জুলুমের ভয়ে রাজনীতি থেকে পিছপা হয়নি কখনো আর হবোও না। 

এ সময় তিনি আরো বলেন, আগামী দিনে আমাকে স্বনির্ভর ধামসোনা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বভার প্রদান করলে, আমি সততার সাথে দায়িত্ব পালন করবো। যেখানেই স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি বাধা হয়ে দাড়াবে, সেখান থেকেই প্রতিরোধ ও প্রতিবাদ শুরু করবো। 

আশুলিয়ার আওয়ামীলীগের রাজনীতির দিকপাল খ্যাত মোবারক হোসেন খান বলেন, ওমর ফারুক আমারই হাত ধরে যেদিন থেকে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে এসেছে, এরপর থেকে তাকে কখনো আওয়ামীলীগের রাজনীতির বাইরে কোন কর্মকান্ডে দেখিনি। পরিচ্ছন্ন রাজনীতির প্রতিচ্ছবি উদীয়মান এই তরুন নেতা। তাকে আগামীতে ধামসোনা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সম্পাদকের দায়িত্বভার অর্পন করলে দলের দুঃসময়ে নেতাদের পাশে থাকবে তার নিশ্চিত করে বলা যায়।

বংলাদেশ ছাত্রলীগ ঢাকা জেলা শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমানে ধামরাই উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম বলেন, ওমর ফারুক আমি দলের প্রতি একনিষ্ঠ নিবেদিত প্রাণ কর্মী, আমার সাথে সকল রাজনৈতিক কর্মকান্ডে সক্রিয় অংশগ্রহণ করতো, দায়িত্ব পেলে দলের জন্য খুব ভালো কাজ করবে বলে আমার বিশ্বাস।