শুদ্ধবার্তাটোয়েন্টিফোরডটকম : সিলেট নগরীর নাইওরপুলে মাদক মামলায় এক বিক্রেতার যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও একজন বেকসুর খালাস প্রদান করেছেন আদালত। রায়ের পাশাপাশি দন্ডপ্রাপ্ত আসামীকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেয়া হয়। মঙ্গলবার (১০ এপ্রিল) সিলেটের জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনাল ও বিশেষ দায়রা জজ আদালতের বিচারক দিলীপ কুমার ভৌমিক এ রায় প্রদান করেন।
দন্ডপ্রাপ্ত আসামী আরঙ্গজেব চৌধুরী (২৯)। সে কানাইঘাট থানার সড়কের বাজার এলাকার মানিকপুর গ্রামের আতাউর রহমান চৌধুরীর পুত্র। বর্তমানে সে নগরীর শিবগঞ্জ রংধনু ৩৯ নং বাসার বাসিন্দা এবং খালাসপ্রাপ্ত বিয়ানীবাজার থানার মেওয়া গ্রামের আব্দুল বারীর পুত্র বর্তমানে শাহজালাল উপশহর এলাকার বাসিন্দা আব্দুল মুমিন (২৩)।
রায় ঘোষনার সময় সাজাপ্রাপ্ত আসামী আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলো না।
জানা যায়, ২০১৩ সালের ১১ নভেম্বর বিকেল সোয়া ৫ টার দিকে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)’র একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নগরীর নাইওরপুল জামে মসজিদের পূর্ব পাশে অভিযান চালিয়ে মাদক বিক্রেতা আরঙ্গজেব চৌধুরী ও আব্দুল মুমিনকে গ্রেফতার করে।
সময় পুলিশ আরঙ্গজেব চৌধুরীর হাতে থাকা সাদা প্লাষ্টিকের ব্যাগের ভেতর থেকে সাড়ে ১০ হাজার টাকা দামের ২১ বোতল জেনোসিডিল উদ্ধার করা হয়। এ ব্যাপারে মহানগর গোয়েন্দা শাখার এসআই মো: রফিকুল ইসলাম বাদি হয়ে তাদের বিরুদ্ধে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে কোতোয়ালী থানায় মামলা নং- ১৩ দায়ের করে (১১-১১-২০১৩)।
তদন্ত শেষে একই বছরের ৩১ ডিসেম্বর কোতোয়ালী থানার এসআই অসিত চন্দ্র দাশ দুই আসামীকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করেন এবং ২০১৪ সালের ৬ এপ্রিল থেকে আদালত এ মামলার বিচারকায্য শুরু হয়।
দীর্ঘ শুনানী ও ৭ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত আসামী আরঙ্গজেব চৌধুরীকে ১০৯০ সনের মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ১৯ (১) এর টেবিল ৩ (খ) ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে তাকে উল্লেখিত দন্ডাদেশ এবং অপর আসামী আব্দুল মুমিনের দোষ আদালতে প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে বেকসুর খালাস প্রদান করা হয়।
রাষ্ট্রপক্ষে স্পেশাল পিপি এডভোকেট মো: নওসাদ আহমদ চৌধুরী ও আসামীপক্ষে স্টেট ডিফেন্স এডভোকেট মো: আখতার বকত্ জাহাঙ্গীর মামলাটি পরিচালনা করেন।