1. abusufian7389@gmail.com : .com : sk .com
  2. ashfakur85@gmail.com : আশফাকুর রহমান : Ashfakur Rahman
  3. b.c.s.bipro@gmail.com : বিপ্র দাস বিশু বিত্রম : Bipro Das
  4. zihad0292@gmail.com : Zihad Ul Islam Mahdi : Zihad Ul Islam Mahdi
  5. ahmedmdmahfuz@gmail.com : মোঃ মাহফুজ আহমদ : মোঃ মাহফুজ আহমদ
  6. nazimahmed2042@gmail.com : Najim Ahmed : Najim Ahmed
  7. shahadotchadni@gmail.com : Md Sh : Md Sh
  8. ashfakur86@gmail.com : শুদ্ধবার্তা ডেস্ক : SB 24
  9. shuddhobarta24@gmail.com : shuddhobarta24@ : আবু সুফিয়ান
  10. surveyor.rasid@gmail.com : Abdur Rasid : Abdur Rasid
সালমান শাহর মৃত্যুর ২৩ বছর, মৃত্যুরহস্যের জট খোলার অপেক্ষা        
শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৫, ০৬:২৪ অপরাহ্ন

সালমান শাহর মৃত্যুর ২৩ বছর, মৃত্যুরহস্যের জট খোলার অপেক্ষা

  • সংবাদ প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

অনলাইন ডেস্ক: নব্বই দশকের তুমুল জনপ্রিয় চিত্রনায়ক সালমান শাহ কি খুন হয়েছিলেন, নাকি আত্মহত্যা করেছেন- দীর্ঘ ২৩ বছর ধরে এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট। বারবার বদল হয়েছে তদন্ত সংস্থা। তবুও মেলেনি উত্তর। ফলে এখনও রহস্যেঘেরা এই তারকার মৃত্যু। সর্বশেষ মামলাটির তদন্ত করছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। সংস্থাটির সংশ্নিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, চাঞ্চল্যকর এ মামলার তদন্ত এখন শেষ পর্যায়ে। দু-এক মাসের মধ্যেই সিদ্ধান্তে আসা সম্ভব হবে।

পিবিআই প্রধান ডিআইজি বনজ কুমার মজুমদার সমকালকে বলেন, তদন্তের দায়িত্ব পাওয়ার পর মামলার সঙ্গে সম্পৃক্ত প্রায় সবার সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। খতিয়ে দেখা হয়েছে সম্ভাব্য সব দিক। এখন সব তথ্যপ্রমাণ পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্নেষণ করে একটা সিদ্ধান্তে আসার পর্যায় চলে এসেছে। নানা কারণে এ মামলাটি গুরুত্বপূর্ণ। তাই অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে তদন্ত এগিয়ে নেওয়া হয়েছে। আশা করছি অল্পদিনের মধ্যেই তদন্তের ফল সবাইকে জানানো সম্ভব হবে।

১৯৯৬ সালে শাহরিয়ার চৌধুরী ইমন ওরফে সালমান শাহের জনপ্রিয়তা যখন তুঙ্গে, ঠিক সেই সময় তার রহস্যজনক মৃত্যু হয়। ওই বছরের ৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ইস্কাটন রোডের ফ্ল্যাট থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সালমানের স্ত্রী সামিরা হক দাবি করেন, সকালে ড্রেসিংরুমে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় স্বামীর মৃতদেহ দেখতে পান। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে তার মৃত্যুকে ‘আত্মহত্যা’ বলা হয়।

এ ঘটনায় প্রথমে একটি অপমৃত্যু (ইউডি) মামলা হয়। তবে সালমানকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেন স্বজনরা। সালমানের মা জাতীয় পার্টির সাবেক নেত্রী নীলা চৌধুরী চলচ্চিত্র প্রযোজক আজিজ মোহাম্মদ ভাই, পুত্রবধূ সামিরা হক ও বিউটিশিয়ান রাবেয়া সুলতানা রুবিসহ ১১ জনকে আসামি করে আদালতে মামলা করেন।

এ-সংক্রান্ত মামলাটি সংশ্নিষ্ট থানা পুলিশ, মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি), পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ও র‌্যাব তদন্ত করেছে। তাদের তদন্ত প্রতিবেদনে সালমান শাহর মৃত্যুকে আত্মহত্যাই বলা হয়েছে। তবে পরিবারের আপত্তি থাকায় আদালতের নির্দেশে ২০১৬ সালের ডিসেম্বর থেকে মামলাটির পুনর্তদন্ত শুরু করে পিবিআই।

পিবিআই ঢাকা মহানগর অঞ্চলের বিশেষ পুলিশ সুপার বশীর আহমেদ বলেন, পুরোপুরি নতুন করে ঘটনাটি তদন্তের চেষ্টা চালিয়েছে পিবিআই। এ পর্যন্ত ৩৯ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে সালমান শাহর মামা আলমগীর কুমকুম, দেহরক্ষী আবুল হোসেন, গৃহকর্মী মনোয়ারাসহ সাতজন আদালতে জবানবন্দিও দিয়েছেন। তবে অনেকদিন আগের ঘটনা হওয়ায় সবকিছু পুনর্মূল্যায়নের সুযোগ নেই। যেমন নতুন করে ময়নাতদন্তের সুযোগ পাওয়া যাবে না। তাই আগের প্রতিবেদনই আমলে নিতে হয়েছে। আরও অনেক কিছুই আগের অবস্থায় নেই। সাক্ষীদের মৌখিক বক্তব্যই এখন তদন্তের মূল উপাদান।

তদন্ত-সংশ্নিষ্টরা জানান, চলচ্চিত্রপ্রেমীদের হৃদয়ে সালমান শাহর জন্য বিশেষ অনুভূতি রয়েছে। প্রিয় তারকার মৃত্যুর কারণ জানতে তারা উদগ্রীব হয়ে আছেন। তাদের আবেগের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে প্রকৃত সত্য উদ্ঘাটনে কাজ করছে পিবিআই। সালমানের জীবদ্দশায় তার সঙ্গে বিভিন্ন পর্যায়ে সম্পৃক্ত সবার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়েছে। তার মা নীলা চৌধুরীসহ পরিবারের কয়েকজনের বক্তব্য নেওয়া হয়েছে। বাসার নিরাপত্তাকর্মীদের বক্তব্য আগেই পাওয়া গেছে।

মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইর পরিদর্শক সিরাজুল ইসলাম বলেন, সালমান শাহর সমসাময়িক চিত্রনায়িকা শাবনূর, পপিসহ আরও কয়েকজনের বক্তব্য পাওয়া গেলে ভালো হতো। সেই চেষ্টা চলছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন বিশ্নেষণ করে দেখা হয়েছে। সার্বিকভাবে তদন্তে অগ্রগতি হয়েছে।

এদিকে ২০১৭ সালের আগস্টে সালমানের বিউটিশিয়ান রাবেয়া সুলতানা রুবির একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়ায় অবস্থানরত রুবি দাবি করেন, ‘সালমান শাহ আত্মহত্যা করে নাই। তাকে খুন করা হইছে, আমার হাজব্যান্ড এটা করাইছে আমার ভাইরে দিয়ে। সামিরার ফ্যামিলি করাইছে আমার হাজব্যান্ডকে দিয়ে। আর সব ছিল চায়নিজ মানুষ।’ এরপর তার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেন তদন্ত-সংশ্নিষ্টরা। অবশ্য প্রাথমিক তথ্যানুসন্ধানের ভিত্তিতে পুলিশের ধারণা, রুবি মানসিকভাবে সুস্থ নন।

তদন্ত সূত্র জানায়, এর আগের তদন্ত কর্মকর্তারা ঘটনার সঙ্গে সংশ্নিষ্ট কারও সাক্ষ্য নেননি। ফলে এত বছর পর সাক্ষী খুঁজতে বেগ পেতে হয়েছে। অনেক কষ্টে একজনকে খুঁজে বের করার পর তিনি দাবি করছেন, তিনি সেই ব্যক্তি নন বা সেখানে ছিলেন না।

এই বিভাগের আরো সংবাদ
shuddhobarta24
Privacy Overview

This website uses cookies so that we can provide you with the best user experience possible. Cookie information is stored in your browser and performs functions such as recognising you when you return to our website and helping our team to understand which sections of the website you find most interesting and useful.