Home » পরিবার সদস্যদের সঙ্গে ঈদের খাবার খেলেন খালেদা জিয়া

পরিবার সদস্যদের সঙ্গে ঈদের খাবার খেলেন খালেদা জিয়া

ঈদুল আজহা দীর্ঘদিন পর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দুপুরের খাবার গ্রহণের সুযোগ করে দিয়েছে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে। ঈদের দিন দুপুরে ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান ও তার দুই মেয়ে জাফিয়া ও জাহিয়া রহমান, খালেদা জিয়ার ভাই শামীম এস্কান্দার, তার স্ত্রী কানিজ এস্কান্দার এবং তাদের ছেলে অভিক এস্কান্দারের সঙ্গে একত্রে খাবার খেয়েছেন তিনি। হাসপাতাল ও বিএনপি সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

ঈদ উপলক্ষে বন্দিদের সঙ্গে সাক্ষাতের বিশেষ সুযোগ থাকে পরিবার সদস্যদের। এ জন্য জেল কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমতির প্রয়োজন হয়। সেসব আনুষ্ঠানিকতা সেরে আজ রবিবার (১২ আগস্ট) ঈদের দিন দুপুর পৌনে ২টায় কারাবন্দি খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে (বিএসএমএমইউ) কেবিন ব্লকের ৬২১ নম্বর রুমে যান তার পরিবার সদস্যরা। চিকিৎসার কারণে নাজিম উদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারের বদলে কয়েক মাস ধরে বিএসএমএমইউতে আছেন খালেদা জিয়া। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ছিল ঘরে রান্না করা খালেদা জিয়ার পছন্দের বিভিন্ন খাবার। সেখানে সাক্ষাৎ পর্ব শেষে পরিবারের উপস্থিত সদস্যরা সবাই মিলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে দুপুরের খাবার খেয়েছেন। এ সময় সেখানে আনন্দঘন পরিবেশ সৃষ্টি হয়। বেলা পৌনে ৪টার দিকে তারা হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে যান।

বিএনপির মিডিয়া উইং কর্মকর্তা শামসুউদ্দিন দিদার গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, ম্যাডামের (খালেদা জিয়া) পছন্দের খাবার রান্না করে পরিবারের সদস্যরা বিএসএমএমইউতে নিয়ে যান। সেখানে সবাই একত্রে দুপুরের খাবার খেয়েছেন।

তবে বিএসএমএমইউ থেকে বেরিয়ে বরাবরের মতো কোনও মন্তব্য করেননি কোকো ও ইস্কান্দার পরিবারের কেউ।

বিএনপির একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, পরিবারের সদস্যরা বিএসএমএমইউতে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়ার জন্য তার পছন্দের খাবার, একটি ফুলের তোড়া ও ঈদের শাড়ি নিয়ে আসেন। খাবারের মধ্যে ছিল কোরবানি দেওয়া গরুর মাংস, মুরগির মাংস, মাছ, পোলাও, স্যুপ, সেমাই, ফিরনিসহ আরও কয়েক পদ।  

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে নাজিম উদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে অন্তরীণ হন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। সেখানে অসুস্থ হয়ে পড়ায় চিকিৎসার জন্য তাকে গত ১ এপ্রিল বিএসএমএমইউতে ভর্তি করা হয়। গত ঈদুল ফিতর ও আজ ঈদুল আজহা- দুটি ঈদই তিনি বিএসএমএমইউতে কাটালেন। এছাড়াও গত বছর পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে তার দুটি ঈদ কাটে। এরও আগে ১/১১ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ২০০৭ সালে কারাবন্দি অবস্থায় সংসদ ভবন এলাকার সাবজেলে দুটি ঈদ কাটান তিনি।

সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন 

Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *