1. abusufian7389@gmail.com : .com : sk .com
  2. ashfakur85@gmail.com : আশফাকুর রহমান : Ashfakur Rahman
  3. b.c.s.bipro@gmail.com : বিপ্র দাস বিশু বিত্রম : Bipro Das
  4. zihad0292@gmail.com : Zihad Ul Islam Mahdi : Zihad Ul Islam Mahdi
  5. ahmedmdmahfuz@gmail.com : মোঃ মাহফুজ আহমদ : মোঃ মাহফুজ আহমদ
  6. nazimahmed2042@gmail.com : Najim Ahmed : Najim Ahmed
  7. shahadotchadni@gmail.com : Md Sh : Md Sh
  8. ashfakur86@gmail.com : শুদ্ধবার্তা ডেস্ক : SB 24
  9. shuddhobarta24@gmail.com : shuddhobarta24@ : আবু সুফিয়ান
  10. surveyor.rasid@gmail.com : Abdur Rasid : Abdur Rasid
ঈদের ঈদী হবে নতুন টাকার কড়কড়ে নোট        
বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ১২:২৯ পূর্বাহ্ন

ঈদের ঈদী হবে নতুন টাকার কড়কড়ে নোট

  • সংবাদ প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ৩০ মে, ২০১৯

ঈদে কিন্তু ঈদীও চাই। কেউ নেবেন। কেউ দেবেন। অনেকে আবার দেবেন এবং নেবেন। বহুকালের পুরনো এই আচার বর্তমানেও সুন্দর টিকে আছে। একইভাবে অফিসে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে যারা সহকারী কিংবা অধীনস্থ তাদের জন্য বকশিশ রেডি রাখতে হয়। এমন দেয়া নেয়া ঈদের আনন্দ যেমন বাড়িয়ে দেয়, তেমনি বন্ধনগুলোকে মজবুত করে। আর এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা রাখে নতুন টাকা। মানে, কড় কড়ে নতুন ব্যাংক নোট। ঈদে ২০ টাকার নোট যেন ৫০ টাকার কাজ করে। সবাই তাই নতুন নোট সংগ্রহে ব্যস্ত।

চাহিদার কথা মাথায় রেখে অনেক আগে থেকেই নতুন নোট ছাড়তে শুরু করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। গত ২২ মে থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন নোট ছাড়া শুরু হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোঃ সিরাজুল ইসলাম জানান, এবার ঈদে ১৭ হাজার কোটি টাকার নতুন নোট ছাড়া হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিলসহ সব শাখা অফিস থেকে নতুন নোট সংগ্রহ করা যাচ্ছে। পাশাপাশি ২৮ বাণিজ্যিক ব্যাংকের ৩০ শাখায় নতুন নোট বিনিময়ের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এবার ২ ও ৫ টাকার নতুন নোট ছাড়া হয়নি। পাওয়া যাচ্ছে ১০, ২০, ৫০, ১০০ ও ৫০০ টাকার নোট। প্রতিদিন প্রায় ২৫ লাখ টাকার নতুন নোট যাচ্ছে নির্দিষ্ট ব্যাংকের শাখাগুলোতে। তবে আজ বৃহস্পতিবার নোট সংগ্রহের শেষ দিন বলে জানান তিনি।

একটু আগেভাবে তৎপর হয়েছিলেন তাদের হাতে চলে এসেছে নতুন নোট। বাকিরা এখনও সংগ্রহের চেষ্টায় আছেন। বুধবার দুপুরের দিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল শাখায় গিয়ে দেখা যায়, দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে অনেকে নতুন নোটের জন্য অপেক্ষা করছেন। ১০ হাজার টাকা গুনে দিয়ে ১০০ টাকার একটি বান্ডেল বুঝে নিতে দেখা যায় জনৈক হারিসুল হককে। জনকণ্ঠকে তিনি বলেন, আমি পাশের একটি অফিসে জব করি। ঈদের আগে নতুন টাকা নিতে এখানে এসেছিলাম। অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার পর টাকা পাওয়া গেছে বলে জানান তিনি। বলেন, আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) গ্রামের বাড়ি যাব। বাড়ি এসেছি জেনে অনেকেই ছুটে আসবে। বয়সে ছোট যারা তাদের ঈদী দিতে হবে। এ জন্যই নতুন টাকা নিয়েছেন বলে জানান তিনি।

যারা ব্যাংক থেকে নতুন নোট সংগ্রহে ব্যর্থ হয়েছেন তাদের জন্য অপেক্ষা করে আছেন ফুটপাথের বিক্রেতারা। সব ধরনের নতুন নোট ফুলের পাঁপড়ির মতো মেলে ধরেছেন তারা। দিলকুশা থেকে টিকাটুলির দিকে যেতে এমন একাধিক বিক্রেতার দেখা মিলল। ১০, ২০, ৫০ ও ১০০ টাকার নোট সাজিয়ে রেখেছেন তারা। ১০ ও ৫০ টাকার নোটের চাহিদাই বেশি। জিয়া উদ্দীন নামের এক বিক্রেতা জানান, সারা বছরই নতুন বিক্রি করেন তিনি। তবে সবচেয়ে ভাল যায় ঈদের সময়টা। প্রতিবারের মতো এবারও আসা যাওয়ার পথে সাধারণ মানুষ খুব শখ করে নতুন সংগ্রহ করছেন বলে জানান তিনি।

তবে গুলিস্তানের ফুটপাথে নতুন নোট বিনিময়ের যে ছবি, সত্যি দেখার মতো। টাকার, বলা চলে, হাটবাজার বসে গেছে এখানে। চারপাশে যানবাহন, মানুষের গিজগিজ। এরই মাঝে রাস্তায় বসে চলছে নতুন নোট বিক্রি। গত মঙ্গলবার সেখানে গিয়ে দেখা যায়, জমজমাট কেনাবেচা। রাস্তার উপর পাশাপাশি বসেছেন ২০ থেকে ২৫ জন বিক্রেতা। হাঁকডাক দিয়ে পুরো এলাকা গরম করে রেখেছেন তারা। প্রত্যেকের সামনে ১০, ২০, ৫০ ও ১০০ টাকার বান্ডেল।

মোবারক হোসেন নামের এক বিক্রেতা জানান, ১০ ও ২০ টাকার বান্ডেলে তারা বাড়তি নিচ্ছেন ৬০ থেকে ৭০ টাকা। ৫০ টাকার বান্ডিলে বাড়তি নিচ্ছেন ৯০ টাকা। আর ১০০ টাকার বান্ডিলে বাড়তি নিচ্ছেন ১০০ টাকা করে। তবে ২ ও ৫ টাকার নোটের চাহিদা সবচেয়ে বেশি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘লোকজন সারাদিন এই নোটগুলা চাইতাছে। দিতে পারতেছি না। ব্যাংক দিলো না এইবার।’

এখানে নতুন টাকা কিনতে আসা মোঃ ইলিয়াস বললেন, ‘আমরা তো ধরেন পুরান ঢাকার মানুষ। ঈদী লাগবই। পোলাপইনে ইমুন ধরে, না দিয়া উপায় নাই। না দিলে মন বেজার। বয়সকালে আমরা ঈদী নিছি না? এহন বাপ চাচা হইছি। এহন ঈদী না দিলে আমাগোরও শান্তি লাগে না। নতুন নোট অহইলে ধরেন যে, পোলাপাইন বেশি খুশি হয়।’ এসবরে বাইরে ব্যবসায়ীরা খুচরা টাকার প্রয়োজনে নতুন নোট সংগ্রহ করছেন। দালাল চক্রও সক্রিয়। বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কর্মকর্তা কর্মচারীদের বিরুদ্ধে স্বজনপ্রীতির অভিযোগও আছে। এসব কারণে ঈদে নতুন টাকা যেন সোনার হরিণ হয়ে ওঠে। প্রত্যেকের কাছে ধরা দিক এই সোনার হরিণ। সবার হোক ঈদ।

এই বিভাগের আরো সংবাদ
shuddhobarta24
Privacy Overview

This website uses cookies so that we can provide you with the best user experience possible. Cookie information is stored in your browser and performs functions such as recognising you when you return to our website and helping our team to understand which sections of the website you find most interesting and useful.