Home » ৫২৫ টাকায় গরুর মাংস মেলে না কোথাও

৫২৫ টাকায় গরুর মাংস মেলে না কোথাও

রমজান উপলক্ষে সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে দেশি গরুর মাংসের দাম ৫২৫ টাকা নির্ধারণ করা হলেও বিক্রি হচ্ছে আরও বেশি দামে। নগরীর অধিকাংশ দোকানে নির্ধারিত মাংসের দর ঝুলানো থাকলেও ৫৫০ টাকা বা তার বেশি দামে প্রতিকেজি মাংস বিক্রি করা হচ্ছে।

শাহজাহানপুরের মাংসের দোকান গিয়ে দেখা গেছে দোকানের সামনে সিটি কর্পোরেশনের নির্ধারতি মাংসের দাম লেখা আছে ৫২৫ টাকা। কিন্তু বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ টাকা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে দোকানের রাসেল নামে একজন জানান, আমরা ৫৫০ টাকায় বিক্রি করছি, এর কমে বিক্রি করলে আমাদের পোষায় না। তাহলে মূল্য তালিকায় ৫২৫ টাকা উল্লেখ করা হলো কেন, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সেটা মালিক টাঙাতে বলেছেন।’

দোকানে যে মাংস বিক্রি হচ্ছে তা দেশি গরুর কিনা জানতে চাইলে তিনি কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে উপস্থিত কয়েকজন ক্রেতা জানান, বিক্রি করা মাংস ভারতীয় গরুর।

সিটি কর্পোরেশনের নির্ধারিত ভারতীয় বা বিদেশি বা বোল্ডার জাতীয় গরুর মাংসের দাম ৫০০ টাকা।

একই অবস্থা দেখা গেছে দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের অঞ্চল-২ কার্যালয়ের সামনে একটি গোস্তের দোকান। এ দোকানটিতে সিটি কর্পোরেশন নির্ধারিত মাংসের দরের মূল্য তালিকা নেই। কিন্তু বিক্রি হচ্ছে ৫৪০ টাকায়। সকাল থেকে নগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি) নির্ধারিত দামে কোথাও মাংস বিক্রি হচ্ছে না। এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মিরপুরের বিভিন্ন দোকানে প্রতিকেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ থেকে ৫৭০ টাকায়।

সিটি করপোরেশন নির্ধারিত মাংসের দামের বিষয়ে ব্যবসায়ীদের জানালে তিনি বলেন, গরু তো আর সিটি কর্পোরেশন কিনে দেয় না। আমাদের বেশি দামে গরু কিনতে হয়, সে কারণে দামও বেশি নিতে হয়।

মেরাদিয়া হাটে গিয়ে দেখা গেছে প্রতিকেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫৪০ টাকা। খাসি বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ টাকায়। জানতে চাইলে ডিএসসিসি মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন বলেন, যদি কোনও দোকানি সিটি কর্পোরেশন নির্ধারিত দরের চেয়ে বেশি দামে মাংস বিক্রি করে তাদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করা হবে। আজ থেকে আমাদের ৫টি টিম কাজ করবে।

জানতে চাইলে বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব বলেন, সিটি কর্পোরেশন নির্ধারিত মাংসের দরের বিষয়ে আমরা ব্যবসায়ীদের জানিয়েছি।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, গাবতলী গরুর হাটে ব্যবসায়ীদের থেকে অধিকহারে হাসিল আদায়ের কারণে গরুর দরের ওপর বেশি প্রভাব পড়ে।

Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *