ডেস্ক নিউজ: স্ত্রীর স্বীকারোক্তিতে রংপুরে নিখোঁজের পাঁচ দিন পর আইনজীবী ও জেলা আওয়ামী লীগের আইন সম্পাদক এডভোকেট রথীশ চন্দ্র ভৌমিকের মরদেহ উদ্ধার করেছে র্যাব। মঙ্গলবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে শহরের তাজহাট মোল্লাপাড়া এলাকায় একটি নির্মাণাধীন ভবনের মাটির নীচে পুঁতে রাখা অবস্থায় রথীশের মরদেহের সন্ধান পায় র্যাব। পরে তার ছোট ভাই সুশান্ত ভৌমিক লাশটি শনাক্ত করেন। র্যাব-১৩ অধিনায়ক আরমিন রাব্বি সাংবাদিকদের এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি আরো জানান, রথীশ চন্দ্রের স্ত্রী স্নিগ্ধা রাণী ভৌমিক ও তার সহকর্মী কামরুলকে জিজ্ঞাসাবাদের পর তাদের দেয়া তথ্য মতে অভিযান চালিয়ে রথীশের মরদেহের সন্ধান পায় র্যাব। দাম্পত্য কলহ ও পরকীয়া প্রেমের কারণে গ্রেফতারকৃতরা এই হত্যাকাণ্ডটি ঘটিয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে র্যাব চারজনকে গ্রেফতার করেছে।
র্যাব সূত্রে জানা যায়, এর আগে মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১১টার দিকে স্নিগ্ধা রাণী ভৌমিককে তাদের নগরীর বাবুপাড়ার বাসা থেকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানান, তার স্বামীর লাশ তাজহাট মোল্লাপাড়া মহল্লার তার প্রেমিক কামরুল ইসলামের বড় ভাই খাদেমুল ইসলামের নির্মাণাধীন বাসায় আছে। পরে স্নিগ্ধা রাণী ভৌমিক ও কামরুল ইসলামকে সঙ্গে নিয়ে ওই বাসায় গিয়ে বস্তার মধ্যে বালুর ভেতরে লুকিয়ে রাখা লাশ উদ্ধার করা হয়।
খবর পেয়ে নিহতের ছোট ভাই সুশান্ত ভৌমিক ও ভগ্নিপতি অধ্যাপক ডা. অনিমেষ মজুমদার ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ শনাক্ত করেন।
গত ৩০ মার্চ রথীশ চন্দ্র ভৌমিক নিখোঁজ হন। এরপর তার গায়ে থাকা রক্তমাখা শার্ট নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্য তৈরি হয়। রথীশের সন্ধান চেয়ে মঙ্গলবার রংপুরে দিনভর বিভিন্ন সংগঠন প্রতিবাদে প্রতীকী অনশন পালন করে। একই দাবিতে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্যপরিষদ ও পূজা উদযাপন পরিষদ সোমবার থেকে রংপুরে অনশন কর্মসূচি চালাচ্ছে। তার সন্ধান দাবিতে শনিবার মহাসড়ক অবরোধেরও কর্মসূচি ঘোষণা করে সংগঠনটি।
নির্বাহী সম্পাদক