Main Menu

ফেনীর নুসরাত হত্যার আসামি শামীম ৫ দিনের রিমান্ডে

সোনাগাজীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে গায়ে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় মোহাম্মদ শামীমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন ফেনীর একটি আদালত।নুসরাত হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পরিদর্শক শাহ আলম বলেন, ‘আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে এই মামলার আসামি মো. শামীমকে জেলা জ্যেষ্ঠ বিচারিক আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়। শুনানি শেষে বিচারক শরাফ উদ্দিন পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।’মো. শামীমকে গত মঙ্গলবার রাতে ফেনীর সোনাগাজী থেকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই। তিনিও সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার আলিম পরীক্ষার্থী। তারপর গতকাল বুধবার তাঁকে আদালতে হাজির রিমান্ডের আবেদন করা হয়। আজ রিমান্ডের আবেদনের শুনানি শেষে আদালত এই আদেশ দেন।

নুসরাত জাহান রাফি এবার সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল ডিগ্রি মাদ্রাসা থেকে আলিম (এইচএসসি সমমান) পরীক্ষা দিচ্ছিলেন। তিনি সোনাগাজীর উত্তর চরচান্দিয়া গ্রামের মাওলানা এস এম মুসার মেয়ে। তিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে নুসরাত তৃতীয়।গত ৬ এপ্রিল শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মাদ্রাসা ভবনের ছাদে দুর্বৃত্তরা তাঁর গায়ে আগুন দেয়। তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ফেনী সদর হাসপাতাল থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়। পরে এখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১০ এপ্রিল বুধবার রাতে তিনি মারা যান।

এর আগে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ এস এম সিরাজ উদ দৌলা গত ২৭ মার্চ নুসরাত জাহানের শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন। নুসরাত বিষয়টি বাসায় জানালে তাঁদের মা সোনাগাজী থানায় মামলা করেন। ওই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে সোনাগাজী থানা পুলিশ অধ্যক্ষকে গ্রেপ্তার করে।নুসরাতের গায়ে আগুন দেওয়ার ঘটনায় অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাকে প্রধান আসামি করে আটজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো চার-পাঁচজনকে আসামি করে নুসরাতের ভাই নোমান মামলা করেন।

আলোচিত এ মামলায় এ পর্যন্ত ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ও পিবিআই। তাঁরা হলেন সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ এস এম সিরাজ উদ দৌলা, কাউন্সিলর ও পৌর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাকসুদ আলম, শিক্ষক আবছার উদ্দিন, নুসরাতের সহপাঠী আরিফুল ইসলাম, নূর হোসেন, কেফায়াত উল্লাহ জনি, মোহাম্মদ আলা উদ্দিন, শাহিদুল ইসলাম, অধ্যক্ষের ভাগনি উম্মে সুলতানা পপি, জাবেদ হোসেন, যোবায়ের হোসেন, নুর উদ্দিন, শাহাদাত হোসেন, মো. শামীম, কামরুন নাহার ও জান্নাতুল আফরোজ।

এদিকে গত রোববার রাতে ফেনীর জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মো. জাকির হোসাইনের আদালতে নুসরাত হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেন মামলার অন্যতম আসামি নুর উদ্দিন ও শাহাদাত হোসেন শামীম। সেদিন বিকেল ২টা ৫৫ মিনিট থেকে দিবাগত রাত প্রায় ১টা পর্যন্ত প্রায় ১০ ঘণ্টা জবানবন্দি দেন তাঁরা। জবানবন্দিতে অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার নির্দেশে তাঁরা নুসরাতের গায়ে আগুন দিয়েছেন বলে স্বীকার করেন।এ মামলায়  পিবিআইর হাতে তিন নারীসহ ১৮ জন আটক রয়েছে। তার মধ্যে ১৩ জনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

Leave a comment






এই বিভাগের আরো সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

shuddhobarta24
Privacy Overview

This website uses cookies so that we can provide you with the best user experience possible. Cookie information is stored in your browser and performs functions such as recognising you when you return to our website and helping our team to understand which sections of the website you find most interesting and useful.