1. abusufian7389@gmail.com : .com : sk .com
  2. ashfakur85@gmail.com : আশফাকুর রহমান : Ashfakur Rahman
  3. b.c.s.bipro@gmail.com : বিপ্র দাস বিশু বিত্রম : Bipro Das
  4. zihad0292@gmail.com : Zihad Ul Islam Mahdi : Zihad Ul Islam Mahdi
  5. ahmedmdmahfuz@gmail.com : মোঃ মাহফুজ আহমদ : মোঃ মাহফুজ আহমদ
  6. nazimahmed2042@gmail.com : Najim Ahmed : Najim Ahmed
  7. shahadotchadni@gmail.com : Md Sh : Md Sh
  8. ashfakur86@gmail.com : শুদ্ধবার্তা ডেস্ক : SB 24
  9. shuddhobarta24@gmail.com : shuddhobarta24@ : আবু সুফিয়ান
  10. surveyor.rasid@gmail.com : Abdur Rasid : Abdur Rasid
বীমার টাকা পেতে যেন হয়রানি না হয় তথ্যমন্ত্রী
       
শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫, ০১:২৪ পূর্বাহ্ন

বীমার টাকা পেতে যেন হয়রানি না হয় তথ্যমন্ত্রী

  • সংবাদ প্রকাশের সময় : সোমবার, ১৮ মার্চ, ২০১৯

চট্টগ্রাম নগরীর এম এ আজিজ স্টেডিয়ামের জিমনেসিয়াম চত্বরে শুক্রবার দুই দিনব্যাপী বীমা মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তার এ আহ্বান আসে। হাছান মাহমুদ বলেন, বীমা পলিসির ক্ষতিপূরণ পাওয়ার ক্ষেত্রে মানুষ হয়রানির শিকার হয়। এটা দূর করতে হবে। সবাই হয়ত হয়রানি করে না, কিন্তু কেউ কেউ করে। তাতে আস্থার সঙ্কট তৈরি হয়। “দুয়েকটি কোম্পানির জন্য পুরো সেক্টর ক্ষতিগ্রস্ত হোক এটা চাই না। বীমার দাবি পেতে যেন হয়রানির শিকার হতে না হয়। অবশ্য বড় দাবির ক্ষেত্রে খুব বেশি হয়রানি হয় না। কারণ বড় দাবি করেন বড় কোম্পানি ও ব্যক্তি। ছোট দাবিতে বেশি সঙ্কট হয়।”

সচেতনতার অভাব ও সংশয়- এই দুই কারণে বাংলাদেশের বীমা খাত এখনো ভারতের পর্যায়ে পৌঁছাতে পারেনি বলে মন্তব্য করেন তথ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, জনসচেতনতা তৈরি ও সংশয় দূর করতে অনেক কাজ বাকি। স্বাস্থ্য বীমা দেশে সীমিত আকারে আছে। অথচ উন্নত বিশ্বে তা শতভাগ। দেশে ব্যাপকভাবে স্বাস্থ্যবীমা চালু করতে হবে। “বাংলাদেশ দ্রুত শিল্পায়নের দিকে যাচ্ছে। কিন্তু শিল্প কারখানায় যারা কাজ করে তাদের জন্য কোনো বীমা করা হয় না। কারখানার শ্রমিকদের জন্য গ্রুপ বীমা করা দরকার। বীমা হলে তারা দুর্ঘটনা বা মৃত্যু হলে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে সহযোগিতা পাবেন।” বাংলাদেশের জিডিপিতে বীমা খাতের অবদান মাত্র ০.৬৭ শতাংশ জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ভারতে এটা ৪.১ শতাংশ। আস্থার সঙ্কট দূর হলে বাংলাদেশে আগামী কয়েক বছরে এটা ৫ শতাংশ ছাড়িয়ে যাওয়া সম্ভব।

আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান বলেন, বর্তমান সরকার বাংলাদেশকে ‘সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার স্টেটে’ পরিণত করতে চায়। “আমরা যে সামাজিক নিরাপত্তা বলয় তৈরি করতে চাই সেখানে বীমা খাত কীভাবে কাজ করবে সেই লক্ষ্যে কোম্পানির কার্যক্রম ঢেলে সাজাতে হবে।” বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. শফিকুর রহমান পাটোয়ারী অনুষ্ঠানে বলেন, গ্রাহকের আস্থার সঙ্কট দূর করার পাশাপাশি ভাবমূর্তি গড়ে তোলায়ই তাদের ‘মিশন-ভিশন’। “আমরা বিরোধ নিষ্পত্তি কমিটি করেছি। গত ১ বছরে সাড়ে ৬ হাজার কোটি টাকার বীমা দাবির নিষ্পত্তি করেছি। মানুষ এখন আগ্রহ পাচ্ছে। ভালোর দিকে এগিয়ে যাচ্ছি।” জীবন বীমা করপোরেশন চেয়ারম্যান সেলিমা আফরোজ বলেন, দেশে ১৯ লাখ সরকারি কর্মকর্তা-কমচারী বীমার আওতায় আসবেন। যারা বিদেশে থাকেন তাদের বীমা সেখানেও হয় না, এখানেও না।

“তাদের বীমার আওতায় আনার নীতিমালা হচ্ছে। বীমা ছাড়া কেউ বিদেশে যেতে পারবেন না। গাড়ির বীমা হয়, কিন্তু যিনি গাড়ি চালান তার কেনো বীমা হয় না। এটা বাধ্যতামূলক করতে হবে।” আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব আসাদুল ইসলাম বলেন, সাধারণ ধারণা হল বীমা বড়লোকের জন্য। আসলে বীমা সাধারণ মানুষের জন্য। সবার জীবনেই ঝুঁকি আছে। “সাধারণের কাছে এখনো বীমাকে সেভাবে নিয়ে যেতে পারিনি। হাওরে শস্য বীমা ও স্বাস্থ্য বীমা জরুরি ভিত্তিতে শুরু করা উচিত। দাবি সুন্দরভাবে মেটানো হয় না বলে অভিযোগ আছে। সেগুলো মেটানোর জন্যই কর্তৃপক্ষ করা হয়েছে।” অন্যদের মধ্যে চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার আবদুল মান্নান এবং বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের সদস্য গোকুল চাঁদ দাস মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন। ‘নিরাপদ ভবিষ্যতের জন্য বীমা’ স্লোগান নিয়ে চট্টগ্রামে তৃতীয়বারের এই মেলার আয়োজন করেছে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ।বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশন ও ইন্স্যুরেন্স ফোরাম এ আয়োজনে সহযোগিতা দিচ্ছে।

সরকারি বেসরকারি মিলিয়ে ৭৮টি বীমা কোম্পানি এবারের মেলায় অংশ নিচ্ছে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত যে কেউ মেলায় আসতে পারবেন।  মেলার ১০২টি স্টলে বীমা বিষয়ক সমস্যা ও এর সমাধান সম্পর্কে পরামর্শ মিলবে। বীমাকারীরা মেলায় বিভিন্ন পলিসি বিক্রি করবেন এবং বীমার দাবি নিষ্পত্তি করবেন। এছাড়া মেলার দুই দিনে বীমা নিয়ে বেশ কয়েকটি সেমিনার হবে। বীমা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির প্রতিনিধিরা সেখানে বক্তব্য দেবেন।

মেলা উপলক্ষে শুক্রবার একটি শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়। শনিবার মেলার সমাপণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেমনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন।

Leave a comment

এই বিভাগের আরো সংবাদ
shuddhobarta24
Privacy Overview

This website uses cookies so that we can provide you with the best user experience possible. Cookie information is stored in your browser and performs functions such as recognising you when you return to our website and helping our team to understand which sections of the website you find most interesting and useful.