Main Menu

জেলের দেওয়ালে ‘আটকে’ গেছে মেয়র আরিফের উন্নয়ন

জলাবদ্ধতা নিরসনে নগরীর রাস্তা প্রশস্থকরণের সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর উন্নয়ন প্রজেক্ট আটকে আছে। সিলেট নগরীর কারাগারের (পুরনো) উত্তর-পূর্ব দিকের দেওয়ালের কারণে রাস্তা প্রশস্থে ড্রেন নির্মাণ কিংবা রাস্তা সম্প্রসারণ সম্ভব না হওয়াতে থমকে আছে নগরীর নাইয়রপুল পয়েন্ট থেকে বন্দবাজারস্থ জেল রোড পয়েন্ট পর্যন্ত রাস্তা প্রশস্থকরণের কাজ।

সরেজমিনে ঐ স্থানে গিয়ে দেখা যায়, সিলেট নগরীর হোটেল অনুরাগের পশ্চিম পার্শ্বে ড্রেন নির্মাণের কাজ চলছে পুরোদমে। তবে ড্রেনের কাজ পুরনো কারাগারের দেওয়াল পর্যন্ত এসে থেমে গেছে।

এ বিষয়ে আরিফের নাম্বারে যোগাযোগ করা হলে মেয়র আরিফের বরাত দিয়ে সিসিকের গণসংযোগ কর্মকর্তা শাহাব উদ্দিন শিহাব সিলেটভিউকে জানান, কারাগারের ঐ দেওয়ালের কারণে মেয়র আরিফ ঐ স্থানের রাস্তা প্রশস্থকরণ করতে পারছেন না। কারাগার একটি রেস্ট্রিকশন (সংরক্ষিত) এলাকা। তবে রাস্তা প্রশস্থকরণে  মেয়র আরিফ কারাগার কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ-আলোচনা করেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

মেয়র আরিফের বরাত দিয়ে তিনি আরো জানান, জেল কর্তৃপক্ষের সাথে রাস্তা প্রশস্থকরণের বিষয়ে ইতিবাচক মনোভাব পাওয়া গেছে। তিনি জানিয়েছেন, কারাগার কর্তৃপক্ষ কারাগারের ভিতরে নতুন একটি দেওয়াল নির্মাণ করার পর পুরনো দেওয়াল ভেঙ্গে ফেলা হবে। তারপর সেখানে রাস্থাপ্রশস্থে ড্রেন নির্মাণে কোন অসুবিধা হবে না।

তবে এ বিষয়ে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মো. আব্দুল জলিল সিলেটভিউকে জানান, দেওয়াল ভাঙ্গার আপাতত কোন পরিকল্পনা আমাদের নেই। এ বিষয়ে সিসিকের কারো সাথে আমার আলাপ-আলোচনা হয়নি। তিনি আরো জানান, তবে আমি বিষয়টি সরেজমিনে গিয়ে দেখবো।

উল্লেখ্য, মেয়র আরিফের দ্বিতীয় মেয়াদে দ্বায়িত্ব গ্রহণের পর নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসন তার জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাড়িয়েছে। তার নির্বাচনের প্রতিশ্রুতির মধ্যে ছিলো জলাবদ্ধমুক্ত সিলেট নগরী। দ্বিতীয় মেয়াদে দ্বায়িত্ব গ্রহণের পর তিনি সিসিকের উদ্যোগে ৭০ কি.মি. আরসিসি ড্রেন নির্মাণের টেন্ডার প্রদান করেন। এই প্রকল্পের আওতায় এখন পর্যন্ত ৩০কি.মি. ড্রেন নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে। আগামী জুনের মধ্যেই পুরো কাজ সম্পন্ন হবে বলে সিসিক সুত্রে জানা গেছে।  এ বিষয়ে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী সিলেটভিউকে জানিয়েছিলেন, সিলেটবাসীর উন্নয়নের স্বার্থে আমার যা কিছু করার দরকার আমি তা-ই করবো। যে কৌশলই অবলম্বন করার প্রয়োজন হোক না কেনো আমি নগরবাসীর দূর্ভোগ কমাতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আর এজন্য নগরবাসীই আমাকে অনুপ্রেরণা যোগাচ্ছেন। আমি আমার কাজে সিলেটবাসীর সহযোগীতা কামনা করছি।

তিনি আরো জানান, রাস্তা প্রশস্থের দীর্ঘমেয়াদী এমন কাজের সুফল আগামী ৫০ বছর পর্যন্ত ভোগ করবে সিলেটবাসী।

Leave a comment






এই বিভাগের আরো সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

shuddhobarta24
Privacy Overview

This website uses cookies so that we can provide you with the best user experience possible. Cookie information is stored in your browser and performs functions such as recognising you when you return to our website and helping our team to understand which sections of the website you find most interesting and useful.