1. [email protected] : .com : sk .com
  2. [email protected] : আশফাকুর রহমান : Ashfakur Rahman
  3. [email protected] : বিপ্র দাস বিশু বিত্রম : Bipro Das
  4. [email protected] : Zihad Ul Islam Mahdi : Zihad Ul Islam Mahdi
  5. [email protected] : মোঃ মাহফুজ আহমদ : মোঃ মাহফুজ আহমদ
  6. [email protected] : Najim Ahmed : Najim Ahmed
  7. [email protected] : Md Sh : Md Sh
  8. [email protected] : শুদ্ধবার্তা ডেস্ক : SB 24
  9. [email protected] : shuddhobarta24@ : আবু সুফিয়ান
  10. [email protected] : Abdur Rasid : Abdur Rasid
ভারত থেকে কয়লা আমদানি সাত মাস পর চালু, ২৫ দিন পর বন্ধ
       
শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ০৫:১৯ অপরাহ্ন

ভারত থেকে কয়লা আমদানি সাত মাস পর চালু, ২৫ দিন পর বন্ধ

  • সংবাদ প্রকাশের সময় : সোমবার, ২১ জানুয়ারি, ২০১৯

প্রায় সাত মাস পর গত ডিসেম্বরে সিলেটের চারটি সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে কয়লা আমদানি শুরু হয়েছিলো। তবে শুরুর ২৫ দিনের মাথায় হঠাৎ করেই ফের বন্ধ হয়ে গেছে আমদানি এতে ব্যবসায়িক লোকসানের মুখে পড়েছেন আমাদানিকারকরা।  প্রায় একশ’ কোটি টাকার লেটার অব ক্রেডিট (এলসি) নিয়ে বিপাকে পড়েছেন তারা।

কয়লা আমদানি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বেকার হয়ে পড়েছেন বিভিন্ন সীমান্তে কয়লা বোঝাইয়ের কাজে নিয়োজিত প্রায় পাঁচ হাজার শ্রমিক।
সিলেট কয়লা আমদানিকারক সমিতি সূত্রে জানা যায়, ভারতের মেঘালয় রাজ্যের বিভিন্ন খনি থেকে প্রতিদিন সিলেট বিভাগের তামাবিল, বড়ছড়া, চারাগাঁও ও বাগলী সীমান্ত দিয়ে প্রায় ১০ হাজার টন কয়লা আমদানি হয়ে থাকে। দেশের চাহিদার প্রায় ৭০ শতাংশই পূরণ করে ভারত থেকে আসা কয়লা।

মেঘালয়ের একটি পরিবেশবাদী সংগঠনের মামলার প্রেক্ষিতে পরিবেশগত ক্ষতির কথা বিবেচনা করে ২০১৪ সালে কয়লা রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে ভারতের ন্যাশনাল গ্রীণ ট্রাইব্যুনাল। এরপর সেদেশের রপ্তানিকারকদের আবেদনের প্রেক্ষিতে কয়কদফা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য উত্তোলিত কয়লা রপ্তানির উপর নিষেধাজ্ঞা স্থগিত করে আদালত। এতে কয়লা আমদানির সুযোগ পেতেন সিলেটের ব্যবসায়ীরা।

সর্বশেষ ২০১৮ সালের ১ জুন থেকে বন্ধ হয়ে যায় কয়লা আমদানি। ওই বছরের ৪ ডিসেম্বর ভারতীয় আদালত মেঘালয়ের বিভিন্ন খনিতে উত্তোলকৃত কয়লা চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত রফতানির অনুমতি প্রদান করে। আদালতের অনুমতির পর বাংলাদেশের আমদানিকারকরা এলসি করে ২২ ডিসেম্বর থেকে আমদানি শুরু করেন। কিন্তু হঠাৎ করে গত ১৫ জানুয়ারি থেকে কয়লা আমদানি বন্ধ রাখতে নির্দেশ দেন ভারতের উচ্চ আদালত। নির্ধারিত সময়ের ১৬ দিন আগে আমদানি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন আমদানিকারকরা। অনেকেই আমদানির জন্য রফতানিকারকদের অগ্রীম টাকা প্রদান করেছেন। আমদানি বন্ধ হওয়ায় আটকে আছে সে টাকা।

এছাড়া সিলেটের চার সীমান্তে কয়লা পরিবহন এবং লোড-আনলোডের সাথে জড়িত রয়েছেন প্রায় পাঁচ হাজার শ্রমিক। হঠাৎ করে আমদানি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বেকার হয়ে পড়েছেন তারা।

সিলেট কয়লা আমদানিকারক সমিতির নেতারা জানান, আমদানি বন্ধ হওয়ায় শুধু দু’দেশের ব্যবসায়ীরা নয়, বাংলাদেশ সরকারও বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আদায় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তারা জানান, সিলেটর একটি স্থলবন্দর ও তিনটি শুল্ক স্টেশন দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ১০ হাজার টন কয়লা আমদানি হতো। প্রতি টন কয়লা আমদানিতে সরকার রাজস্ব পেত প্রায় ১৬০০ টাকা। সে হিসেবে সরকার প্রতিদিন প্রায় এক কোটি ৬০ লাখ টাকা রাজস্ব আদায় হতে বঞ্চিত হচ্ছে।

সিলেট কয়লা আমদানিকারক সমিতির সভাপতি চন্দন সাহা বলেন, মেঘালয়ের বিভিন্ন খনি থেকে উত্তোলিত কয়লা ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত পরিবহনের (আমদানির) অনুমতি ছিল। কিন্তু গত ১৫ জানুয়ারি ভারতের উচ্চ আদালতের নির্দেশে আমদানি বন্ধ করে দেয়ায় প্রায় ৮০০ আমদানিকারকের শত কোটি টাকার এলসি আটকা পড়েছে। কয়লা আমদানি করতে না পারলেও এলসি’র সুদ ব্যাংককে পরিশোধ করতে হচ্ছে। এছাড়া বিভিন্ন ইটভাটার মালিকের কাছ থেকে অর্ডার নিয়ে এখন কয়লা দিতে পারছেন না ব্যবসায়ীরা। সবমিলিয়ে মারাত্মক ব্যবসায়িক ক্ষতির মুখে পড়েছেন আমদানিকারকরা।

চন্দন সাহা জানান, আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি ভারতের আদালতে এই নিষেধাজ্ঞার উপর শুনানী অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। শুনানী শেষে কয়লা আমদানির অনুমতি পাওয়া গেলে ব্যবসায়ীরা কিছুটা হলেও ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবেন।

এ ব্যাপারে তামাবিল স্থলবন্দরের সহকারী পরিচালক (ট্রাফিক) পরিতোষ ঘোষ বলেন, স্থলবন্দর দিয়ে ১৫ জানুায়ারি থেকে কয়লা আমদানি বন্ধ রয়েছে। তবে পাথর আমদানি অব্যাহত আছে।

Leave a comment

এই বিভাগের আরো সংবাদ
shuddhobarta24
Privacy Overview

This website uses cookies so that we can provide you with the best user experience possible. Cookie information is stored in your browser and performs functions such as recognising you when you return to our website and helping our team to understand which sections of the website you find most interesting and useful.