Main Menu

মোমেনের প্রথম দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে গুরুত্ব পাচ্ছে না তিস্তা

নিউজ ডেস্ক: 

নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেনের নেতৃত্বে কোনো দেশের সঙ্গে প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আগামী মাসেই। ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার পঞ্চম জয়েন্ট কনসালটেটিভ কমিশনের (জেসিসি) বৈঠকে অনুষ্ঠিত হতে পারে। যেখানে নেতৃত্ব দেবেন নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

তবে এতে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সকল বিষয় আলোচনায় নিয়ে আসার কথা থাকলেও তিস্তা নদীর পানি বণ্টন ইস্যুটি দুই দেশের পানিসম্পদমন্ত্রী পর্যায়ের জয়েন্ট রিভার কমিশন (জেআরসি) বৈঠকে আলোচনার জন্য উঠিয়ে রাখা হচ্ছে বলে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক সূত্রে জানা গেছে।
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের পঞ্চম জেসিসি বৈঠককে সামনে রেখে বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এম শহিদুল হকের নেতৃত্বে সভা অনুষ্ঠিত হয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট দফতরের কর্মকর্তারা ছাড়াও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

জেসিসি বৈঠকে তিস্তা নিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান জানতে চাইলে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে উপস্থিত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জাগো নিউজকে বলেন, আগামীতে যৌথনদী কমিশনের পানিসম্পদমন্ত্রী পর্যায়ের যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে, সেখানে বিষয়টি তোলা হবে। ৩৭তম জেআরসির বৈঠকে তিস্তা নিয়ে একটি অন্তর্বর্তীকালীন চুক্তি স্বাক্ষরের কথা ছিল। ফলে জেআরসি বৈঠকেই তিস্তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ ও ভারতের পানিসম্পদমন্ত্রী পর্যায়ের যৌথনদী কমিশনের সর্বশেষ ৩৭তম বৈঠকটি হয়েছিল ২০১০ সালের ১৮ ও ১৯ মার্চ। পরবর্তী বৈঠকটি ঢাকায় হওয়ার কথা থাকলেও গত ছয় বছর ধরে বৈঠকটি অনু্ষ্ঠিত হয়নি।

মঙ্গলবারের বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, ভারতের সাধারণ নির্বাচনের আগে ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহেই দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। দিল্লিতে অনুষ্ঠিতব্য বৈঠকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন আর ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ নিজ নিজ দেশের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন।

দিল্লিতে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বিধায় নিয়ম অনুযায়ী বৈঠকের আলোচ্যসূচি চূড়ান্ত করবে ভারত। প্রথমে তারা একটি খসড়া আলোচ্যসূচি পাঠাবে এবং তাতে বাংলাদেশের মতামত জানতে চাওয়া হবে। পরবর্তীতে সে মতামত অনুযায়ী আলোচ্যসূচি চূড়ান্ত হবে। জানা গেছে, বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক সকল ইস্যুতে প্রস্তুতি রাখছে। আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকেও সকল বিষয় নিয়েই আলোচনা হয়েছে।

বৈঠকে উপস্থিত ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানান, সাধারণত পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে সকল ইস্যুতেই আলোচনা হয়। এখানেও তাই হবে। এছাড়াও বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার বিদ্যমান চুক্তিগুলোর বর্তমান পরিস্থিতি, এর বাস্তবায়ন এবং বাস্তবায়নের সমস্যাগুলোও আলোচনার এজেন্ডায় থাকবে। তবে কোন ইস্যুটি গুরুত্ব পাবে তা নির্ভর করবে ভারতের পাঠানো আলোচ্যসূচির ওপর।

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির বিরোধিতার কারণে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার তিস্তা চুক্তিটি আটকে রয়েছে। তবে দুদেশের প্রধানমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তার সরকারের সময় শেষ হওয়ার আগেই তিস্তা চুক্তি স্বাক্ষর হবে বলে প্রতিশ্রুতি দেন।

আগামী মে মাসের মধ্যে ভারতের লোকসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এখন শেষ মুহূর্তে ভারতের প্রধানমন্ত্রী কীভাবে তার ঘোষণা বাস্তবায়ন করবেন সেই অপেক্ষায় রয়েছে বাংলাদেশ।

 

Leave a comment






এই বিভাগের আরো সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

shuddhobarta24
Privacy Overview

This website uses cookies so that we can provide you with the best user experience possible. Cookie information is stored in your browser and performs functions such as recognising you when you return to our website and helping our team to understand which sections of the website you find most interesting and useful.