1. abusufian7389@gmail.com : .com : sk .com
  2. ashfakur85@gmail.com : আশফাকুর রহমান : Ashfakur Rahman
  3. b.c.s.bipro@gmail.com : বিপ্র দাস বিশু বিত্রম : Bipro Das
  4. zihad0292@gmail.com : Zihad Ul Islam Mahdi : Zihad Ul Islam Mahdi
  5. ahmedmdmahfuz@gmail.com : মোঃ মাহফুজ আহমদ : মোঃ মাহফুজ আহমদ
  6. nazimahmed2042@gmail.com : Najim Ahmed : Najim Ahmed
  7. shahadotchadni@gmail.com : Md Sh : Md Sh
  8. ashfakur86@gmail.com : শুদ্ধবার্তা ডেস্ক : SB 24
  9. shuddhobarta24@gmail.com : shuddhobarta24@ : আবু সুফিয়ান
  10. surveyor.rasid@gmail.com : Abdur Rasid : Abdur Rasid
বছর ঘুরে ফিরে এলো সেই জুলাই        
বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ০৬:২৪ অপরাহ্ন

বছর ঘুরে ফিরে এলো সেই জুলাই

  • সংবাদ প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ১ জুলাই, ২০২৫

আজ জুলাই মাসের ১ তারিখ। মাসটির গুরুত্ব ও তাৎপর্য বাংলাদেশের ইতিহাসে অনেক, যা গত জুলাইয়ের আগেও ছিল না। কারণ, জুলাইয়ের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে গণ-অভ্যুত্থান, বিপ্লব। যে অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে পতন ঘটে ১৫ বছরের স্বৈরাচারী শাসনের। ক্ষমতাচ্যুত হয় ফাঁকা মাঠে গোলের নির্বাচনে জেতা, ‘আমি-ডামি ভোটে’ নির্বাচিত সরকারের।

যদিও অভ্যুত্থানের শুরুতে সরকার পতনের লক্ষ্য নিয়ে শুরু হয়নি। ছিল শুধু দেশ থেকে বৈষম্য দূর করার আন্দোলন, কোটা সংস্কারের আন্দোলন।

বঞ্চিত জনগণের দাবিকে এড়িয়ে দাম্ভিক কথাবার্তা আর তাদের ওপর দমনপীড়ন চালালে যে, সরকার তার রাজত্ব হারায় তার উৎকৃষ্ট উদাহরণ জুলাই অভ্যুত্থান। ছাত্র-জনতার ওপর নির্বিচারে গুলি চালিয়ে জুলাই শুধু রক্তাক্তই করতে পেরেছে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার, গায়ে জুড়িয়েছে ফ্যাসিস্ট তকমা।

জুলাই অভ্যুত্থানের গভীরে যাওয়ার আগে যেতে হবে জুন মাসে। ঘটনার শুরুটা ছিল ২০২৪ সালের ৫ জুন। সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল করে ২০১৮ সালে জারি করা পরিপত্রকে হাইকোর্ট অবৈধ ঘোষণা করে। ফলে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা আবার বহাল হয়। এর প্রতিবাদে পরদিন ৬ জুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেন ছাত্ররা। সেদিন বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে উচ্চারিত হয় স্লোগান—‘কোটা না মেধা? মেধা মেধা।’

বছর ঘুরে ফিরল সেই জুলাই

১ জুলাই সামনে আসে যে নাম- বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এই ব্যানারে বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশী রাজু ভাস্কর্যে গিয়ে জড়ো হন। সেখান থেকে ২০১৮ সালের সরকারি প্রজ্ঞাপন পুনর্বহাল করতে হবে দাবি জানানো হয়। দাবি না মানা হলে ৪ জুলাই পর্যন্ত ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনসহ তিন দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন আন্দোলনের মুখপাত্র নাহিদ ইসলাম।

১১ জুলাই পর্যন্ত সিদ্ধান্ত না আসায় শিক্ষার্থীদের আন্দোলন জোরদার হয়। এদিন হাইকোর্ট জানান, সরকার চাইলে কোটা পদ্ধতি পরিবর্তন বা পরিবর্ধন করতে পারে। এরপরও আন্দোলন-অবরোধের তীব্রতা বাড়তেই থাকে। সরকারের আহ্বান উপেক্ষা করে শিক্ষার্থীরা দেশজুড়ে ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি শুরু করে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়সহ কয়েকটি স্থানে সংঘর্ষ ঘটে। রক্তাক্ত হয় অনেক শিক্ষার্থী।

এতে গোটা দেশ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। সেই উত্তাপে ঘি ঢালেন তৎকালীন সড়ক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

তিনি লেলিয়ে দেন ছাত্রলীগকে। ১৫ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগসহ ক্ষমতাসীন দলের কর্মীরা হামলা চালায়। এতে আন্দোলন আরও বেগবান হয়। এরপরও সরকার চাইলে আন্দোলনকে থামিয়ে দিতে পারত।

তা না করে ঘটে সরকারিবাহিনীর হাতে ঘটে হত্যাকাণ্ড। ১৬ জুলাই রংপুরে আবু সাঈদকে খুব কাছ থেকে গুলি করে হত্যা করে পুলিশ। এ ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে সারা দেশ বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে। ছাত্রদের আন্দোলনে যোগ দেন সাধারণ জনতাও।

বছর ঘুরে ফিরল সেই জুলাই

আন্দোলন চলে ৫ আগস্ট পর্যন্ত, এই সময়কে ‘জুলাই ৩৬’ আখ্যা দেওয়া হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে ক্ষমতা ধরে রাখতে পুলিশ-বিজিবি-র‌্যাব দিয়ে ছাত্রজনতার ওপর গুলি চালিয়ে গেছে হাসিনা সরকার। জাতিসংঘের প্রতিবেদন মতে, জুলাই অভ্যুত্থানে ১ হাজার ৪০০ জনের বেশি মানুষ শহীদ হয়েছেন। বিভিন্ন সংগঠনের মতে শহীদের সংখ্যা দুই হাজারের বেশি। এতো রক্তের বিনিময়ে ৫ আগস্ট সফল হয় ছাত্র-জনতা। প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে হেলিকপ্টারযোগে দেশ ছেড়ে ভারতে পালান শেখ হাসিনা। তার পালানোর খবরে গা-ঢাকা দেন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিসহ বহু নেতারা। হাসিনা সরকারের পতন ঘটার পর ৮ আগস্ট নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে গঠিত হয় অন্তর্বর্তী সরকার।

‘জুলাই সনদ’ নিয়ে এনসিপির বক্তব্য এক বছর পেরিয়ে গেলেও জুলাই ছাত্র-গণঅভ্যুত্থানের স্মরণে ‘জুলাই সনদ’ ঘোষণা হয়নি। একে জাতীয় দলিল হিসেবে রাষ্ট্রীয়ভাবে ঘোষণা করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। সরকার সময়মতো ঘোষণা না দিলে নিজেরাই জুলাই সনদ ঘোষণা করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

সোমবার (৩০ জুন) বিকেলে ফেসবুকে ভেরিফায়েড আইডিতে নাহিদ ইসলাম লিখেছেন, গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর ছাত্রনেতৃত্ব ঘোষণাপত্র দিতে চাইলেও সরকার সব পক্ষের সম্মতিতে তা জারি করতে চায় বলে উদ্যোগটি স্থগিত রাখা হয়। সরকার একাধিকবার সময় বেঁধে দিলেও প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেনি। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে খসড়া দলিল দেওয়া হলেও সমন্বিত একটি দলিল এখনো আসেনি।

নাহিদ ইসলাম বলেন, সরকার যদি আর উদ্যোগ না নেয়, তবে আমরা নিজ উদ্যোগে ইশতেহার প্রকাশ করব। চাই, সব পক্ষ নিজেদের খসড়া তৈরি করুক— সবার সম্মিলনে রাষ্ট্রীয় ঘোষণাপত্র বাস্তবায়ন করতে সরকার বাধ্য হবে।

শহীদ পরিবারের পক্ষ থেকেই জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ করা হবে বলে ঘোষণা দেন তিনি।

বছর ঘুরে ফিরল সেই জুলাই

ইনকিলাব মঞ্চের বক্তব্য অরাজনৈতিক সংগঠন ইনকিলাব মঞ্চের তাদের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদি বলেন, একটি বছর কেটে গেলেও রক্তাক্ত জুলাইয়ের স্বীকৃতি এখনো আসেনি। জুলাইয়ে আমরা যেটা আশা করেছিলাম, তা হলো নতুন বাংলাদেশ, ইনসাফভিত্তিক কল্যাণ রাষ্ট্র, যেখানে কেউ আর স্বৈরাচার হতে পারবে না। সেই কাঙ্ক্ষিত রূপরেখা হচ্ছে জুলাই ঘোষণাপত্র— যেটি এখনো অধরা। মানুষ আবারও অধিকার আদায়ের জন্য প্রস্তুত।

ছাত্রনেতাদের প্রশ্ন এখন একটাই— ঘোষণাপত্র ও সনদ কি শুধু প্রতিশ্রুতির ফাঁদেই পড়ে রইবে নাকি ৫ আগস্টের আগে জাতিকে সেই সুস্পষ্ট দলিল, পথচলার সেই নতুন দিকনির্দেশনাটি উপহার দেওয়া হবে।

বিএনপির বক্তব্য জুলাই সনদ স্বাক্ষরে বিএনপি সবচেয়ে বেশি আন্তরিক বলে মন্তব্য করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, জুলাই সনদ নিয়ে এ পর্যন্ত বিএনপিই সবচেয়ে বেশি আন্তরিকতা দেখিয়েছে। সংবিধানের মূলনীতি, ৭০ অনুচ্ছেদ, রাষ্ট্রপতি নির্বাচন, প্রধানমন্ত্রীর সময়সীমা ও সংসদের স্থায়ী কমিটি নিয়ে বিএনপি ঐক্যমতে পৌঁছেছে। এখন কমিশনের সব প্রস্তাবে একমত হতে হলে তো, আর আলোচনার দরকার নেই। যে সব বিষয় ঐকমত্যে পৌঁছানো যাবে সেগুলোর ভিত্তিতেই সনদ হবে।

বছর ঘুরে ফিরল সেই জুলাই

তিনি আরও বলেন, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে আগের আইনের পরিবর্তন করে নিয়োগ দেয়ার পক্ষে বিএনপি। দ্বিকক্ষের উচ্চকক্ষে ১০০ আসনের পক্ষে বিএনপি। দেশের স্বার্থে আরও কোনো উত্তম প্রস্তাব এলে একমত হতে পারে দল।

জুলাই সনদ সরকারের প্রতিশ্রুতি : জামায়াত জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, জুলাই সনদ সরকারের প্রতিশ্রুতি। জুলাই ঘোষণাপত্র সরকারকে বাস্তবায়ন করতে হবে। আমরা এই দাবি জানিয়ে যাব। জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে যে সাত দফা দাবি ঘোষণা করা হয়েছে সেখানেও জুলাই সনদ ও ঘোষণাপত্রের দাবি উল্লেখ রয়েছে।

এই বিভাগের আরো সংবাদ
shuddhobarta24
Privacy Overview

This website uses cookies so that we can provide you with the best user experience possible. Cookie information is stored in your browser and performs functions such as recognising you when you return to our website and helping our team to understand which sections of the website you find most interesting and useful.