ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব মো. নজরুল ইসলাম বলেছেন, ইরান ও ইসরায়েল যুদ্ধ পরিস্থিতির জন্য তেহরান থেকে বাংলাদেশিরা নিরাপদ জায়গায় সরে গেছেন। অনেক বাংলাদেশি নিজেদের উদ্যোগে সরে গেছেন এবং তাদের আর্থিক ও অন্যান্য সহায়তা দিচ্ছে দূতাবাস।
বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
মো. নজরুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশি হতাহতের কোনও খবর নেই এবং যেভাবে যুদ্ধ চলমান আছে ভবিষ্যতে কোনও খবর পেলে আমরা জানাবো।
বাংলাদেশি নাগরিকরা কোথায় আছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তারা এক জায়গায় সবাই নেই। তেহরান একটি বড় শহর। তাদের সুবিধাজনক জায়গায় চলে গেছেন। দূতাবাস যোগাযোগ রেখে তাদের বর্তমান জায়গা থেকে সরিয়ে তৃতীয় কোনও দেশের মাধ্যমে বাংলাদেশে ফেরত আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সেই প্রক্রিয়ার অংশ হিসাবে তুরস্ক বা পাকিস্তান যেখানে সুবিধা হবে সবদিক বিবেচনায় আমরা ব্যবস্থা নেবো।
ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ইরানে বাংলাদেশে রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বুধবার (১৭ জুন) আমার কথা হয়েছে। তিনি বলেছেন, আমাদের দেশের দূতাবাসের সব কর্মকর্তা এবং তাদের পরিবার নিরাপদ স্থানে চলে গেছে। এখন পর্যন্ত আমাদের দূতাবাসের কোনও কর্মকর্তা বা অন্যদের বিষয়ে কোনও হতাহতের খবর নেই। প্রবাসি বাংলাদেশি যারা বিশেষ করে তেহরানে কর্মরত ছিলেন তারাও নিরাপদ স্থানে চলে গেছেন। তাদের দূতাবাসের পক্ষ থেকে সহায়তা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, আনুমানিক ৪০০ জনের মতো বাংলাদেশি তেহরানে ছিলেন। এর মধ্যে শতাধিক দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। এই সংখ্যা আরও বাড়বে কারণ হটলাইন চালু করা হয়েছে।
ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত বলেন, বর্তমানে ইন্টারনেট বন্ধ আছে, কিন্তু টেলিফোন সংযোগ সম্ভবত চালু আছে। তেহরান শহরের বাইরে যেসব বাংলাদেশি আছেন, বিশেষ করে বন্দর আব্বাসে; যেখানে যুদ্ধ পরিস্থিতি নেই। ভবিষ্যতে তারাও যদি বাংলাদেশে ফেরত আসতে চান, সে বিষয়েও আমরা ব্যবস্থা নেবো। বাংলাদেশিদের মোট সংখ্যা দুই হাজারের মতো বলে জানান তিনি।
টাকা পাঠানোর জটিলতার বিষয়ে তিনি বলেন, দূতাবাসের কাছে কিছু আছে। এছাড়া আমাদের একজন অফিসার ঢাকা এসেছিলেন এবং ফিরে যাচ্ছেন তেহরানে। তাকে দিয়েও কিছু নগদ অর্থ পাঠানোর ব্যবস্থা করেছি। আমাদের কিছু বন্ধুপ্রতিম দেশ তাদের কাছ থেকেও হয়তো আমরা সহায়তা নিয়ে ব্যবস্থা নেই। আইনি প্রক্রিয়ায় ইরানে টাকা পাঠানো যায় না এবং তারা প্রতি মাসে দুবাই থেকে টাকা নিতো। এটি এখন কঠিন এবং এ জন্য আমরা বিকল্প ব্যবস্থা করবো।