বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে শুর হয় বৃষ্টি। তবে টানা নয়, থেমে থেমে। আর ভারী বৃষ্টিপাতের আভাস থাকরেও অঝর ধারার বৃষ্টিপাত বলতে যা বুঝায় তা হয়নি। শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সিলেট অঞ্চলে বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ১৮২ মিলিমিটার। আর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত এ অঞ্চলে বৃষ্টিপাত হয়েছে ৮৭ মিলিমিটার।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সিলেট আবহাওয়া অফিস এ অঞ্চলে ২২৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি নিম্নচাপটি দুর্বল হয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগের উপর দিয়ে ভারতের আসাম ও মেঘালয় রাজ্য অতিক্রম করেছে।

এতেই দুর্ভোগে পড়েন সিলেট অঞ্চলের মানুষ। বিশেষ করে সিলেট নগরবাসী। শুক্রবার ছুটির দিনে এমনিতে নগরী প্রায় ফাঁকা থাকে। আর বৃষ্টিপাতের কারণে আরও বেশী ফাঁকা ছিল এদিন। এতে প্রভাব পড়েছে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের জীবনে।

তবে আজ শনিবার চরম দুর্ভোগে পড়েছেন সিলেট এম সি কলেজে আসা শিক্ষার্থীরা। আজ ছিল কলেজে অনার্স ভর্তি পরীক্ষা বৃষ্টির বাগড়ায় চরম দুর্বোগ পোহাতে হচ্ছে সাথে আসা অবিভাবকদের।

এদিকে এই নিম্নচাপের প্রভাবে হওয়া বৃষ্টিতে সিলেটের নদ-নদীর পানি বাড়ছে। বিশেষ করে সুরমা কুশিয়ারার পানি বিভিন্ন পয়েন্টে বাড়তির দিকেই আছে। আবার উজানে ভারতের আসাম ও মেঘালয়ে ভারী বৃষ্টিপাতের খবর পাওয়া যাচ্ছে। এ অবস্থায় সুরমা-কুশিয়ারার পানি বিপৎসীমার নিচে থাকলেও রীতিমতো ফুঁসছে। যখন তখন পাহাড়ী ঢলের কারণে পানি বাড়তে পারে এবং তাহলে বন্যায়ও ভাসতে হতে পারে সিলেটবাসীকে। অবশ্য আবহাওয়া অধিদপ্তর আগেই স্বল্পমেয়াদী বন্যার সতর্ক বার্তা দিয়ে রেখেছে।