২৪ ঘন্টার একটু বেশি সময় কেটে গেছে, অনেক ঘটনা ঘটেছে। সেগুলো জানতে হলে, আমাদের বিকেলের শুরু থেকেই শুরু করতে হবে। ফ্লাইট , ঢাকা, কলকাতা, কলকাতা, শিলং। ৬ ঘন্টা যাত্রার পর শেষ। যখন শিলং পৌঁছায়, তখন ফুটবলাররা দেখতে পায় যে ১৬টি লাগেজ নেই। তার মানে, লাগেজ এখনও আসেনি। লাগেজগুলো ঢাকায় আটকে আছে, অথবা তা কলকাতা থেকে আসেনি, লাগেজগুলো কোথায়? এজন্যই তাদের ১ ঘন্টা দেরিতে বিমানবন্দর ত্যাগ করতে হয়।

কিন্তু বিমানবন্দর ত্যাগ করার পরও ঘটনাটি শেষ হয় না। ৩৯ কিমি হেঁটে, দৌড়ে, এবং আন্তর্জাতিক ভ্রমণে আসার পর, তাদের একটি টিম হোটেল থাকতে হয়, প্রায় ১.৫ ঘন্টা সময় লাগে। এখানে আসার পর, টিম হোটেলে চেক-ইন রুম পেতে রুম পেতে আরও এক ঘন্টা সময় লাগবে। যখন কোনও বাংলাদেশ দল আন্তর্জাতিক ভ্রমণে যেতে চায়, তখন তাদের জন্য একটি টিম হোটেল থাকতে হয়। তাদের জন্য একজন সাপোর্ট স্টাফের প্রয়োজন হবে, কোচের জন্য, ফুটবলারদের জন্য, কোচদের জন্য, এবং ফুটবলারদের জন্য। তারা বাফুফেতে এটি করেছে। কিন্তু যখন কোনও বাংলাদেশ দল আসে, তখন তাদের জন্য, ঘরের আকার, তাদের প্রত্যাশা অনেক কম থাকে।

তাদের এক ঘন্টা আলোচনা করতে হবে, ফুটবলাররা তাদের ঘরে চেক করতে পারবে। কিন্তু, এখানে কোনটি নেই। আরেকটি মজার বিষয় হল বাংলাদেশ দল এখনাে তাদের অনুশীলনের ভেন্যু বুঝে পায়নি, তারা কোথায় যাবে, তা এখনও অজানা। মূলত, বাংলাদেশ দল, এখানে আসার আগে টিম ইন্ডিয়া চার দিন। তাদের একটি ম্যাচ ভেন্যু আছে, জহরলাল নেহেরু স্টেডিয়াম। তাদের একটি আন্তর্জাতিক ম্যাচ আছে, এবং তারা খেলেছে। বাংলাদেশ দল, একটি দল হিসেবে, তাদের একটি ফিফার নিয়ম আছে, তারা সেই স্টেডিয়ামে অনুশীলন করবে। কিন্তু তারা জায়গা খুঁজে পায়নি বাংলাদেশ দল। বাংলাদেশ মূল স্টেডিয়াম নয়, ইভেন্টের ভবিষ্যৎ কোন ভেন্যু, তা এখনও অজানা। তা এখনও নেই। তারা ম্যাচ কৌশল, খেলোয়াড় বিশ্লেষণ এবং সবকিছু কোথায় পাচ্ছে। তারা এখনও তাদের কাছ থেকে কোনও অর্থ পাচ্ছে না। তাদের আগ্রহ কোথায়? অবশ্যই, বাংলাদেশ দল অনুশীলন ভেন্যু, কিন্তু মাঠে এর কতটা করা হবে? এটা টিম ম্যানেজমেন্টের ব্যাপার।