Main Menu

শেখ হাসিনা জুতা পরার সময় কিন্তু পায়নি: বিএনপির তৃণমূল নেতাদের উদ্দেশে ভিপি নুর

বিএনপি তৃণমূল নেতাকর্মীদের হুঁশিয়ারি দিয়ে গণ-অধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেছেন, ‘বিএনপির সিনিয়র নেতারা দায়িত্বশীলতার সঙ্গে বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছেন। কিন্তু তৃণমূলের কিছু নেতাকর্মী অতি উৎসাহিত হয়ে আন্দোলন-সংগ্রামে যারা ছিলেন তাদের সঙ্গেও ঝামেলা সৃষ্টি করছে। তাদের উদ্দেশে বলতে চাই, সেনা শাসন ডেকে আনবেন না। কোথাকার আগুন কোথায় যায়, কোন ঘটনায় কী হয়- সেটি কিন্তু বলা যায় না।’

তিনি বলেন, ‘কোনও কোনও রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা বিরোধী দলের কর্মকাণ্ডে বাধা দিচ্ছে। ব্যানার পোস্টার ছিঁড়ে ফেলছে ও হামলা করছে। তাদের বলতে চাই, আওয়ামী লীগ থেকে শিক্ষা নেন। এত বড় দল কিন্তু টিকতে পারেনি। শেখ হাসিনা জুতা পরার সময় কিন্তু পায়নি। বাড়াবাড়ি বন্ধ করুন।’

শুক্রবার (১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ শহরের ডিআইটি এলাকায় গণ-অধিকার পরিষদের জেলা ও মহানগর কমিটির উদ্যোগে এক গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

গণ-অধিকার পরিষদ সভাপতি বলেন, ‘কোনও কোনও রাজনৈতিক দলের বাড়াবাড়ি কর্মকাণ্ডে আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদী প্রতিধ্বনি শুনতে পাচ্ছি। পুরোনোদের ব্যর্থতার জঞ্জাল অপসারণ করে নতুন নেতৃত্ব তৈরি করতে চাই। নতুনদের রাজনীতিতে আগমনের কোনও বিকল্প নেই। আগামীতে প্রত্যেকটি আসনে আমরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবো।’

দেশ সংস্কার করতে যতটুকু সময় দরকার তা অন্তর্বর্তী সরকারকে দেওয়া হবে উল্লেখ করে নুরুল হক বলেন, ‘আওয়ামী লীগের পতন হয়েছে। চাঁদাবাজ দখলদাররা লেজ গুটিয়ে পালিয়েছে। কিন্তু নারায়ণগঞ্জের ফুটপাত, দোকান, মিল-ফ্যাক্টরিসহ বিভিন্ন স্থানে কি চাঁদাবাজি, দখলদারি বন্ধ হয়েছে? শুধু হাতবদল হয়েছে। সুতরাং দেশের এই পরিস্থিতিতে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করতে অন্তর্বর্তী সরকারের হয়তো দুই বছরের মতো সময় লাগতে পারে। কিন্তু আমরা বলেছি, দুই বছর লাগুক, এক বছর কিংবা তিন বছর সময় লাগুক, রাষ্ট্র সংস্কার এবং নতুন বাংলাদেশের গন্তব্যে যাওয়ার জন্য যে কয় বছর সময় লাগে, আমরা সরকারকে সেই সময় দেবো। শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদ আমরা ১৬ বছর সহ্য করেছি। এই ফ্যাসিবাদী সিস্টেম বদল করার করা জন্য এই সরকার যদি দুই-এক বছর সময় নেয়, আমরা এটুকু সহ্য করতে পারবো।’

অন্তর্বর্তী সরকারকে সতর্ক করে তিনি বলেন, তাদের সতর্ক থাকতে হবে। তাদের বিরুদ্ধে যেন জনরোষ ও জনক্ষোভ তৈরি না হয়। দ্রব্যমূল্যের যে ঊর্ধ্বগতি, মানুষের যে ভোগান্তি, এগুলো নিরসন করতে না পারলে মানুষের মধ্যেও জনক্ষোভ দেখা দেবে। সরকারকে সতর্ক করে বলছি, আমরা আপনাকে সহযোগিতা করতে চাই। সবার সহযোগিতা নিয়ে রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা আনুন। বর্তমানে রাষ্ট্রের মধ্যে বিদ্যমান যে নৈরাজ্য চলছে সেগুলো বন্ধ করুন।’

সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন গণ-অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন, গণ-অধিকার পরিষদ নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার নাহিদ, মহানগর কমিটির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আরিফ ভূঁইয়া প্রমুখ।

Leave a comment






এই বিভাগের আরো সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

shuddhobarta24
Privacy Overview

This website uses cookies so that we can provide you with the best user experience possible. Cookie information is stored in your browser and performs functions such as recognising you when you return to our website and helping our team to understand which sections of the website you find most interesting and useful.