1. abusufian7389@gmail.com : .com : sk .com
  2. ashfakur85@gmail.com : আশফাকুর রহমান : Ashfakur Rahman
  3. b.c.s.bipro@gmail.com : বিপ্র দাস বিশু বিত্রম : Bipro Das
  4. zihad0292@gmail.com : Zihad Ul Islam Mahdi : Zihad Ul Islam Mahdi
  5. ahmedmdmahfuz@gmail.com : মোঃ মাহফুজ আহমদ : মোঃ মাহফুজ আহমদ
  6. nazimahmed2042@gmail.com : Najim Ahmed : Najim Ahmed
  7. shahadotchadni@gmail.com : Md Sh : Md Sh
  8. ashfakur86@gmail.com : শুদ্ধবার্তা ডেস্ক : SB 24
  9. shuddhobarta24@gmail.com : shuddhobarta24@ : আবু সুফিয়ান
  10. surveyor.rasid@gmail.com : Abdur Rasid : Abdur Rasid
সঞ্চয়পত্রের মুনাফা কমায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন যারা        
বুধবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৫, ১১:১৯ পূর্বাহ্ন

সঞ্চয়পত্রের মুনাফা কমায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন যারা

  • সংবাদ প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২১

সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগে মুনাফার হার কমানোর ফলে মধ্যবিত্তের আয় কমে যাবে। অর্থাৎ নতুন সিদ্ধান্তের ফলে সরকারি অবসরপ্রাপ্ত চাকরিজীবীদের একটি বড় অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। এছাড়া পরিবার সঞ্চয়পত্র কেনা নারীরাও সরকারের নতুন সিদ্ধান্তে ক্ষতির সম্মুখীন হবেন। একইভাবে নতুন সিদ্ধান্তে কমবে প্রাতিষ্ঠানিক সঞ্চয়কারীদের আয়ও। প্রবাসীরাও ওয়েজ আর্নার্স বন্ডের বিপরীতে মুনাফা কম পাবেন।

বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সরকারি অবসরপ্রাপ্ত চাকরিজীবীদের একটি বড় অংশ প্রাপ্ত টাকা সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করে সে মুনাফা থেকে সংসার খরচ চালান। তাদের বিনিয়োগ ৩০ লাখ টাকার বেশি। ফলে তারা গড়ে ২ শতাংশ মুনাফা কম পাবেন। পরিবার সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করা নারীরাও মুনাফা ২ শতাংশ হারে কম পাবেন। তবে সাধারণ সঞ্চয়কারীরা, যারা ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ করেছেন, তাদের মুনাফার হার অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ড. এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, অনেকেই সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগের মুনাফা থেকে জীবিকা নির্বাহ করে থাকে। সঞ্চয়পত্র ছাড়া মানুষের সঞ্চয়ের একটি নিরাপদ বিনিয়োগের জায়গা নেই। এর সুদের হার কমানোর ফলে বিনিয়োগ ঝুঁকিপূর্ণ কোনও খাতে চলে গেলে তা বিপজ্জনক হবে।

এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান বলেন, সাধারণ ও নিম্ন আয়ের মানুষজন সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করে না। সঞ্চয়পত্রের অধিকাংশ বিনিয়োগ মধ্যবিত্ত শ্রেণির। ফলে সরকার সঞ্চয়পত্রে মুনাফা কমানোর যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে মধ্যবিত্ত। তিনি বলেন, পেনশনভোগী মধ্যবিত্ত ও বয়স্ক নারীদের সঞ্চয়পত্রের আয় দিয়েই চলতে হয়। তাদের কথা মাথায় রেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। তাদের সঞ্চয়ের বিকল্প নির্ভরযোগ্য কোনও কর্মসূচি নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, একেবারে প্রান্তিক গোষ্ঠীর জন্য ন্যূনতম সীমারেখা ১৫ লাখ যথেষ্ট নয়। এর পরিমাণ আরও বাড়ানো দরকার। পারলে দ্বিগুণ করা গেলে আরও ভালো হয়।

যারা সঞ্চয়পত্রের বিনিয়োগ করেন তাদের অধিকাংশই সরকারের সাবেক আমলা ও বিভিন্ন পেশার অবসর নেওয়া বয়স্ক ব্যক্তি। তারা বলছেন, মুনাফা কমানোর সঙ্গে নিরাপদ বিকল্প বিনিয়োগের ব্যবস্থা থাকা দরকার ছিল, কিন্তু বিকল্প কোনও জায়গা নেই। কারণ, ব্যাংকে টাকা রাখলে এখন শতকরা ছয় ভাগের বেশি সুদ পাওয়া যায় না। শেয়ার বাজারে আস্থার সংকট। এদের অধিকাংশই সরাসরি ব্যবসা করতে পারবে না।

এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার কমানোর আগে লাভজনক নিরাপদ বিনিয়োগের ক্ষেত্র তৈরি করা জরুরি। সেটি না করে মুনাফায় হাত দেওয়া ঠিক হয়নি। এতে মধ্যবিত্ত শ্রেণি, বিশেষ করে সাবেক সরকারি কর্মকর্তারা বিপাকে পড়বেন।

এদিকে সরকারের নতুন সিদ্ধান্তের কারণে ক্ষতির মুখে পড়ছেন বড় ও প্রাতিষ্ঠানিক সঞ্চয়কারীরাও। বিশেষ করে প্রভিডেন্ট ফান্ডের অর্থ তারা এতে বিনিয়োগ করে যে মুনাফা পান তা কর্মীদের মধ্যেই বণ্টন করে দেওয়া হয়। নতুন সিদ্ধান্তের ফলে তাদের মুনাফা গড়ে ২ শতাংশ কমবে।

প্রসঙ্গত, সরকার ব্যাংক থেকে ঋণ নিলে ২ থেকে ৫ শতাংশ সুদে পাচ্ছে। বিদেশি ঋণও পাচ্ছে ১ থেকে ২ শতাংশ সুদে। অথচ সঞ্চয়পত্র থেকে ঋণ নিয়ে সরকার সুদ দিচ্ছে গড়ে ১০ থেকে ১২ শতাংশ। অর্থাৎ সঞ্চয়পত্রের বিপরীতে প্রতিবছর সরকার গড়ে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি হিসেবে দিচ্ছে।

এছাড়া সঞ্চয়পত্রের সুদের হার বেশি থাকায় মুদ্রা বাজারে অস্থিরতা বিরাজ করছিল। আবার ঝুঁকির কারণে শেয়ার বাজারেও টাকা কম যেত। এসব কারণে সঞ্চয়পত্রের সুদের হার কমানোর জন্য ব্যাংক ও শেয়ার বাজারের নীতিনির্ধারকদের পক্ষ থেকে একটি চাপ ছিল। অর্থনীতিবিদদের অনেকে সঞ্চয়পত্রের সুদের হার কমানোর পরামর্শ দিয়েছেন কয়েক বছর ধরে। এনবিআর চেয়ারম্যান ও আইআরডি সচিব আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম সম্প্রতি একটি সারসংক্ষেপ উপস্থাপন করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের কাছে। এতে বলা হয়েছে, সঞ্চয়পত্রের মুনাফা দিতে গিয়ে সরকারের সুদ ব্যয় বেড়ে যাচ্ছে। এতে অর্থনীতিতে তৈরি হচ্ছে ভারসাম্যহীনতা। তিনি আরও লিখেছেন, সঞ্চয় কর্মসূচিতে অতিমাত্রায় বিনিয়োগ এবং বিনিয়োগের ক্রমবর্ধমান ঊর্ধ্বগতি রোধ করা প্রয়োজন।

এ প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বুধবার সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের বলেছেন, সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার তুলনামূলক বেশি থাকায় এর হার কমানো হয়েছে। এর মুনাফার হার বেশি হওয়ায় অর্থনীতির অন্য চালিকাশক্তিগুলো সমস্যায় পড়ছিল। মুনাফার হার কমানোর ফলে সার্বিক অর্থনীতির সুদের হারে একটি ভারসাম্য আসবে।

এদিকে মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংকের সাধারণ হিসাব ও দুটি ডলার বন্ড ছাড়া সব ধরনের সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার কমানো হয়েছে। তবে এবারই প্রথম স্তর পদ্ধতি আরোপ করে ছোট সঞ্চয়কারীদের সুরক্ষা দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ ১৫ লাখ টাকা বিনিয়োগ পর্যন্ত সঞ্চয়পত্রের ওপর মুনাফার হার কমানো হয়নি।

১৫ লাখ টাকার বেশি থেকে ৩০ লাখ পর্যন্ত বিনিয়োগে মুনাফার হার কমানো হয়েছে ১ শতাংশ এবং ৩০ লাখ টাকার বেশি হলে মুনাফার হার কমানো হয়েছে ২ শতাংশ।

প্রবাসীদের জন্য ওয়েজ আর্নার্স বন্ডে তিন ধাপে মুনাফার হার কমেছে ৩ শতাংশ। অর্থাৎ ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত বিদ্যমান ১২ শতাংশ, ১৫ লাখের বেশি থেকে ৩০ লাখ টাকা পর্যন্ত ১১ শতাংশ, ৩০ লাখের বেশি থেকে ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত ১০ শতাংশ এবং ৫০ লাখ টাকার বেশি হলে ৯ শতাংশ মুনাফা দেওয়া হবে। আগে এতে যেকোনও অঙ্কের বিনিয়োগের ওপর ১২ শতাংশ মুনাফা দেওয়া হতো।

সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন

এই বিভাগের আরো সংবাদ
shuddhobarta24
Privacy Overview

This website uses cookies so that we can provide you with the best user experience possible. Cookie information is stored in your browser and performs functions such as recognising you when you return to our website and helping our team to understand which sections of the website you find most interesting and useful.