Main Menu

সিলেটে হচ্ছে আরও ১৮১ টিকাকেন্দ্র

করোনার সংক্রমণ রোধ করতে সরকার গণহারে টিকাদানের উদ্যোগ নিয়েছে। আগামী শনিবার থেকে এই উদ্যোগের বাস্তবায়নকাজ শুরু হবে। এই গণহারে টিকাদানের জন্য সিলেটে আরও ১৮১টি কেন্দ্র চালু করা হচ্ছে। এর মধ্যে সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) এলাকায় হবে ৮১টি কেন্দ্র। জেলার ১৩টি উপজেলায় হবে বাকি ১০০টি কেন্দ্র।

সিলেট সিভিল সার্জন কার্যালয় এবং সিসিকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছ থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, বর্তমানে সিলেট নগরীতে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং পুলিশ লাইন্সে টিকা দেওয়ার কাজ চলছে। আর উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চলছে টিকাদান।

তবে আগামী শনিবার থেকে সিলেট জেলার সকল ইউনিয়নে এবং সিসিকের সকল ওয়ার্ডে টিকাদান শুরু হবে। উপজেলাগুলোতে সিনোফার্মা এবং সিসিকের ওয়ার্ডগুলোতে মডার্নার টিকা দেওয়া হবে।

সিসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জাহিদুল ইসলাম সুমন জানান, সিসিকের ২৭টি ওয়ার্ডের প্রতিটিতে তিনটি করে টিকাদানকেন্দ্র চালু করা হচ্ছে। সবমিলিয়ে ৮১টি কেন্দ্র হবে।

টিকাদানকেন্দ্রগুলো নির্দিষ্ট করে এর তালিকা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

সিলেটের ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. জন্মেজয় দত্ত জানান, জেলার ১৩টি উপজেলায় ১০০টি ইউনিয়নে একটি করে টিকাদানকেন্দ্র হচ্ছে। এই তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে।

তিনি জানান, প্রতিটি কেন্দ্রে একজন টিকাদানকারী ও তিন-চারজন স্বেচ্ছাসেবক থাকবেন। স্বাস্থ্য অধিদফতরের মাঠকর্মী, কমিউনিটি ক্লিনিকের কর্মীরা এ কাজ করবেন। বেসরকারি সংস্থার কর্মীদের সহায়তাও নেয়া হবে। তাদেরকে প্রশিক্ষণ দিয়ে প্রস্তুত করা হচ্ছে।

সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকে জানা গেছে, প্রতিটি কেন্দ্রের প্রতিটি বুথে একদিনে অন্তত ২০০ টিকাদানের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে টিকাদানের সংখ্যা মূলত টিকাপ্রাপ্তির ওপরই নির্ভর করছে। বেশি টিকা পেলে বেশি সংখ্যক মানুষকে দেয়া হবে।

বর্তমানে টিকাদান কর্মীদের প্রশিক্ষণ চলছে বলে জানা গেছে। গত সোমবার ৪২ জন কর্মীকে নগর ভবনে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। প্রশিক্ষণ কাজে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও ইউনিসেফ সহায়তা করছে বলে জানিয়েছেন ডা. জাহিদ। তিনি জানান, সিসিকে ১৭০ জনের মতো টিকাদানকর্মী প্রয়োজন। এক্ষেত্রে বেসরকারি সংস্থাগুলোর সহায়তা নেয়া হচ্ছে। এদিকে, করোনাভাইরাসের টিকার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় সংরক্ষণ একটি জরুরি বিষয়। ডা. জন্মেজয় দত্ত জানিয়েছেন, ইউনিয়ন পর্যায়ে টিকা নিতে আইসবক্স ব্যবহার করা হবে, যাতে মান ঠিক থাকে। সিসিকের ওয়ার্ড এবং উপজেলাগুলোর ইউনিয়নে পূর্ব রেজিস্ট্রেশন ছাড়াই টিকা নেয়া যাবে। কারণ, টিকাকেন্দ্রগুলোতে তাৎক্ষণিক রেজিস্ট্রেশনের ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে।

সূত্র: সিলেটভিউ২৪ডটকম

Leave a comment






এই বিভাগের আরো সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

shuddhobarta24
Privacy Overview

This website uses cookies so that we can provide you with the best user experience possible. Cookie information is stored in your browser and performs functions such as recognising you when you return to our website and helping our team to understand which sections of the website you find most interesting and useful.