Main Menu

সোশ্যাল মিডিয়া এখন আয়েরও মাধ্যম

ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের বেশিরভাগ অংশ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দিনের কিছু না কিছু সময় কাটান। অনেক গবেষণায় দেখা গেছে, ব্যবহারকারীরা সাধারণত এক থেকে দেড় ঘণ্টা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যয় করেন। তবে যারা আসক্ত তাদের ক্ষেত্রে সময়টা অনেক বেশি। এখনকার দিনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পড়ে থাকাটাও খারাপ নয় যদি আপনি সেখান থেকে আয়ের রাস্তা খুঁজে বের করতে পারেন। বর্তমানে প্রায় সব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকেই আয়ের সুযোগ আছে। তবে সেজন্য আপনাকে হতে হবে পরিশ্রমী এবং উদ্ভাবনী মনের অধিকারী।

দিন দিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে আয়ের ক্ষেত্র আরও বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। এইতো কয়েকদিন আগে নতুন একটি ওয়েবসাইট চালুর ঘোষণা দিয়েছে ফেসবুক। বুলেটিন নামের এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে লেখকরা ফ্রি এবং পেইড নিউজলেটার তৈরি ও শেয়ার করতে পারবেন। অর্থাৎ, এই প্ল্যাটফর্মটির মাধ্যমেও আয় করা যাবে।

বুলেটিনের লেখকদের সাবস্ক্রিপশন থেকে যে আয় আসবে তার পুরোটাই রাখতে পারবেন। নতুন এ ওয়েবসাইট সম্পর্কে ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গ বলেছেন, আমাদের লক্ষ্য হলো সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে লাখ লাখ মানুষ যেন জীবিকা নির্বাহ করতে পারে সেই বিষয়টিতে সমর্থন দেওয়া।

এ তো গেল ফেসবুকের আলাদা একটি সাইটের কথা। এই সাইটের পাশাপাশি সরাসরি ফেসবুক থেকেও আয়ের সুযোগ রয়েছে। এছাড়া অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম যেমন- স্ন্যাপচ্যাট, টিকটক, ইউটিউব, ইনস্টাগ্রাম, টুইটার, ক্লাবহাউস ইত্যাদি থেকেও আয় করতে পারবেন ব্যবহারকারীরা।

স্ন্যাপচ্যাট

সম্প্রতি সিএনবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, স্ন্যাপচ্যাটে দৈনিক যেসব কনটেন্ট তৈরি হয় সেগুলোর বিপরীতে ১ মিলিয়ন ডলার প্রদান করে প্রতিষ্ঠানটি। কোনও ব্যবহারকারীর কনটেন্ট স্ন্যাপচ্যাটের শর্ত পূরণে সক্ষম হলে এটি শেয়ার করা হয়।

এর মানে হলো অন্য ব্যবহারকারীরা স্টোরি এবং সার্চ রেজাল্টস উভয় জায়গাতেই পাবে সেই স্ন্যাপ। এভাবে কারও স্ন্যাপ ভাইরাল হয়ে গেলে সংশ্লিষ্ট ব্যবহারকারীর কাছে একটি নোটিফিকেশন যাবে এরকম- ‘আপনি স্পটলাইট পেআউট’ গ্রহণের যোগ্য। তখন তিনি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ পাবেন।

টিকটক

টিকটকের ক্রিয়েটররা বিনোদন দেয়, উৎসাহ যোগায় এবং নিজেদের বিভিন্নভাবে তুলে ধরে। ক্রিয়েটরদের এমন কাজের জন্য তাদের সমর্থন ও পুরস্কার দেয় টিকটক কর্তৃপক্ষ। টিকটকের দেওয়া পুরস্কার পেতে চাইলে নির্ধারিত কিছু শর্ত পূরণ করতে হবে।

এসব শর্তের মধ্যে আছে- সর্বনিম্ন ১০ হাজার প্রকৃত অনুসারী থাকতে হবে। পাশাপাশি সর্বশেষ ৩০ দিনে থাকতে হবে এক লাখ প্রকৃত ভিডিও ভিউ। শর্তগুলো পূরণ হলে নির্দিষ্ট কিছু দেশের টিকটক ব্যবহারকারীরা সহজেই অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।

ইউটিউব

ইউটিউবের অফিসিয়াল ব্লগে দেওয়া তথ্যানুযায়ী, ইউটিউব শর্টস’র জন্য নির্ধারিত ফান্ডের আর্থিক মূল্য ১০০ মিলিয়ন ডলার। এই অর্থ ২০২১ ও ২০২২ সালে বিতরণ করা হবে। ইউনিক ইউটিউব শর্টস কনটেন্ট নির্মাতারা এখান থেকে অর্থ পেতে পারেন।

এছাড়া ইউটিউবে দীর্ঘ ভিডিও থেকেও আয় করতে পারবেন ক্রিয়েটররা। এখান থেকে আপনি কী পরিমাণ আয় করবেন তা নির্ভর করবে আপনার সাবস্ক্রাইবার কেমন আছে এবং ভিডিওর কেমন ভিউ হচ্ছে তার ওপর। ইউটিউবে সর্বশেষ ১২ মাসে ১ হাজার সাবস্ক্রাইবার এবং ৪ হাজার পাবলিক ওয়াচ আওয়ার সম্পন্ন হলে আপনি আয় শুরু করতে পারবেন। ক্রিয়েটর অ্যাকাডেমি ওয়েবসাইট থেকে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে। এছাড়া ইউটিউবে সুপার চ্যাটের মাধ্যমে আয় করা সম্ভব। কোনও ব্যক্তি বা তারকার ফ্যান, সাবক্রাইবার বেড়ে গেলে তিনি কখনও লাইভে এলে সেখানে প্রশ্নের মাধ্যমে আয় করা সম্ভব। ধরা যাক, কোনও তারকা লাইভে এলেন। তখন অনেকই তাকে প্রশ্ন করেন। ওই তারকার পক্ষে সবার প্রশ্নের উত্তর দেওয়া সম্ভব হয় না। তখন যিনি প্রশ্ন করতে চান তিনি নির্দিষ্ট অংকের অর্থের বিনিময়ে প্রশ্ন করতে পারবেন। এখান থেকে ওই তারকা বা বিখ্যাত ব্যক্তি আয় করতে পারবেন।

ইনস্টাগ্রাম

ইনস্টাগ্রামের কনটেন্ট ক্রিয়েটররা আর্থিক সহায়তার অপশনটি দেখাতে চাইলে লাইভ ভিডিও চলাকালে ব্যাজ কিনতে পারবেন। অনুসারীরা সেই লাইভে প্রবেশ করা মাত্র আর্থিক সহায়তার অপশনটি দেখতে পাবেন এবং চাইলে যেকোনও পরিমাণ অর্থ প্রদান করতে পারবেন।

টুইটার

টুইটারের টিপ জারের সাহায্যে অর্থ প্রেরণ ও গ্রহণ করা যায়। অ্যান্ড্রয়েড এবং আইফোন উভয় ব্যবহারকারীই টিপ পাঠাতে ও গ্রহণ করতে পারবেন। বর্তমানে এই ফিচারটি অসংখ্য ব্যবহারকারীর জন্য চালু আছে। বিশেষ করে ক্রিয়েটর, সাংবাদিক, বিভিন্ন বিষয়ে বিশেষজ্ঞ ও অলাভজনক সংস্থাগুলো এই ফিচার ব্যবহার করে অর্থ আয় করতে পারবে।

ক্লাবহাউস

‘ক্রিয়েটর ফার্স্ট’ প্রোগ্রামের সাহায্যে ব্যবহারকারীদের অর্থ আয়ের সুযোগ দেয় ক্লাবহাউস। একজন ক্রিয়েটর ক্লাবহাউস থেকে যে অর্থ আয় করেন তার পুরোটাই তাকে দিয়ে দেওয়া হয়। অর্থাৎ, ক্লাবহাউস কর্তৃপক্ষ এখান থেকে কোনও অংশ কেটে রাখে না। ভবিষ্যতে প্রতিষ্ঠানটি অর্থ আয়ের আরও উপায় চালু করবে। এ সম্পর্কে জানতে ব্যবহারকারীদের নিয়মিত খোঁজ রাখতে পরামর্শ দিয়েছে ক্লাবহাউস। সূত্র: গেজেটস নাউ, মেক আস ইউজ, সিএনবিসি

Leave a comment






এই বিভাগের আরো সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

shuddhobarta24
Privacy Overview

This website uses cookies so that we can provide you with the best user experience possible. Cookie information is stored in your browser and performs functions such as recognising you when you return to our website and helping our team to understand which sections of the website you find most interesting and useful.