Main Menu

সিলেটে খালি নেই করোনা রোগীর আইসিইউ বেড

বুধবার (৭ জুলাই) দুপুরে শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালের সামনে দিশেহারা হয়ে হাটতে দেখা যায় সিলেটের বালাগঞ্জের মোস্তফা আহমদ নামের এক যুবককে। তিনি তাঁর সত্তর বছর বয়েসি মাকে নিয়ে এসেছেন এ হাসপাতালের আইসিইউ-তে ভর্তি করাতে। বুধবার তাঁর মায়ের করোনা রোগ শনাক্ত হয়। বুধবার সকাল পর্যন্ত নগরীর একটি প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসারত ছিলেন। কিন্তু করোনা পজিটিভ আসার পর এবং শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় সেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আর সেখানে রাখেননি। পরামর্শ দেন শামসুদ্দিনে ভর্তি করার। সেখান থেকে বেরিয়ে মোস্তফা তার মাকে ভর্তি করাতে বুধবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে নিয়ে আসেন শামসুদ্দিনে। এসেই শুনতে পারেন দু:সংবাদ, এখানেও খালি নেই আইসিইউ বেড।

মোস্তফার সঙ্গে কথা বলার সময় দেখা যায়, শামসুদ্দিন হাসপাতালের সামনে গাড়িতেই মাকে অক্সিজেন সাপোর্ট দিচ্ছেন তিনি। এভাবে শুধু মোস্তফা নয়, প্রতি ঘণ্টায় অন্তত: ২-৩টি করোনা আক্রান্ত মুমূর্ষু রোগীর স্বজনরা আইসিইউ বেডের চাহিদা নিয়ে শামসুদ্দিন হাসপাতাল প্রাঙ্গনে আসছেন এবং কাঙ্ক্ষিত সিট না পেয়ে নিজের প্রিয়জন নিয়ে কান্নাভেজা চোখে অন্য হাসপাতালের দিকে ছুটছেন দিশাহারা হয়ে।

জানা গেছে, একই চিত্র সিলেটে করোনা চিকিৎসা দেয়া বেসরকারি হাসাপাতাল নর্থ ইস্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, পার্ক ভিউ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, জালালাবাদ রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, মাউন্ড এডোরা হসপিটাল ও নুরজাহান হসপিটালে।

শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালে আবাসিক মেডিক্যাল কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) সৈয়দ নাফি মাহদি বুধবার (৭ জুলাই) বিকেলে বলেন, শামসুদ্দিনে বর্তমানে রোগীর এত চাপ যে- করোনা ইউনিটের ১০০ বেডের বাইরে আরও ৩টি বেড প্রস্তুত করা হয়েছে। এই ১০৩ টি-ই এখন পরিপূর্ণ। আর আইসিইউ-এর ১৬টি বেড তো গত ৪ দিন থেকেই পরিপূর্ণ। প্রতিদিন ২-৩ জন মুমূর্ষু রোগীকে ফেরত পাঠাতে হচ্ছে। বিষয়টি আমাদেরকেই পীড়া দিচ্ছে। তিনি বলেন, গত ৩/৪ দিন থেকে সারাদিনে করোনা ইউনিটে ভর্তি হতে আসা অন্তত: ১৫ জন রোগীকে ফেরত পাঠাতে হচ্ছে।

Leave a comment






এই বিভাগের আরো সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

shuddhobarta24
Privacy Overview

This website uses cookies so that we can provide you with the best user experience possible. Cookie information is stored in your browser and performs functions such as recognising you when you return to our website and helping our team to understand which sections of the website you find most interesting and useful.