1. abusufian7389@gmail.com : .com : sk .com
  2. ashfakur85@gmail.com : আশফাকুর রহমান : Ashfakur Rahman
  3. b.c.s.bipro@gmail.com : বিপ্র দাস বিশু বিত্রম : Bipro Das
  4. zihad0292@gmail.com : Zihad Ul Islam Mahdi : Zihad Ul Islam Mahdi
  5. ahmedmdmahfuz@gmail.com : মোঃ মাহফুজ আহমদ : মোঃ মাহফুজ আহমদ
  6. nazimahmed2042@gmail.com : Najim Ahmed : Najim Ahmed
  7. shahadotchadni@gmail.com : Md Sh : Md Sh
  8. ashfakur86@gmail.com : শুদ্ধবার্তা ডেস্ক : SB 24
  9. shuddhobarta24@gmail.com : shuddhobarta24@ : আবু সুফিয়ান
  10. surveyor.rasid@gmail.com : Abdur Rasid : Abdur Rasid
‘মিক্স-ম্যাচ’ টিকা সিদ্ধান্তের অপেক্ষায়
       
বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫, ০৭:৩০ অপরাহ্ন

‘মিক্স-ম্যাচ’ টিকা সিদ্ধান্তের অপেক্ষায়

  • সংবাদ প্রকাশের সময় : রবিবার, ৪ জুলাই, ২০২১

দেশে করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি কতটা ভয়ংকর তা বোঝা যায় গত কয়েকদিনের রোগী শনাক্তের সংখ্যা এবং মৃত্যু পরিসংখ্যানেই। দেশে গত এক সপ্তাহ ধরে দৈনিক মৃত্যু একশ’র উপরে। এমন পরিস্থিতিতে আরেক উদ্বেগে রয়েছেন অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রেজেনেকার কোভিশিল্ড টিকার প্রথম ডোজ নিয়ে দ্বিতীয় ডোজের অপেক্ষায় থাকা ১৪ লাখেরও বেশি মানুষ। কোভিশিল্ডের টিকার সংকট থাকায় এদের ব্যাপারে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে তা স্বাস্থ্য অধিদফতর এখনও নিশ্চিত নয়। মিক্স এবং ম্যাচ পদ্ধতিতে টিকা অর্থাৎ প্রথম ডোজ এক কোম্পানির এবং পরের ডোজ আরেক কোম্পানির দেওয়া যাবে কিনা তা নিয়ে সরকারের টিকাবিষয়ক ন্যাশনাল ইমিউনাইজেশন টেকনিক্যাল এক্সপার্ট গ্রুপ বা নাইটেগ-এর সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছে অধিফতর।

গতকাল শনিবার স্বাস্থ্য অধিদফতরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় (৩ জুলাই সকাল ৮টা পর্যন্ত) দেশে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে মারা গেছেন ১৩৪ জন। এ নিয়ে টানা সাত দিন দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু শতাধিক। আর সরকারি হিসাবে দেশে এখন পর্যন্ত মোট মারা গেছেন ১৪ হাজার ৯১২ জন। এর আগে গত শুক্রবার (২ জুলাই) মারা গেছেন ১৩২ জন। তার আগের দিন (১ জুলাই) মারা গেছেন করোনা মহামারিকালে দেশে সর্বোচ্চ ১৪৩ জন। তারও আগে গত ৩০ জুন ১১৫ জন, ২৯ জুন ১১২ জন, ২৮ জুন ১০৪ জন এবং ২৭ জুন মারা গেছেন ১১৯ জন।

অপরদিকে, এদিন নতুন করে আরও ৬ হাজার ২১৪ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে, যা তার আগের কয়েকদিনের তুলনায় কিছুটা কম। তবে এ ক্ষেত্রে লক্ষণীয়, এ দিন নমুনা পরীক্ষাও হয়েছে কম। গত ২ জুলাই শনাক্ত হয়েছিলেন ৮ হাজার ৪৮৩ জন, ১ জুলাই ৮ হাজার ৩০১ জন, ৩০ জুন ৮ হাজার ৮২২ জন, ২৯ জুন ৭ হাজার ৬৬৬ জন আর ২৮ জুন শনাক্ত হন ৮ হাজার ৩৬৪ জন।

দেশে সংক্রমণের এই বিপদজনক পরিস্থিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, করোনাভাইরাসের ভারতীয় ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের দ্রুত সংক্রমণের মধ্য দিয়ে পুরো দুনিয়া একটি বিপজ্জনক সময় পার করছে। সংস্থাটির প্রধান টেড্রোস আধানোম গেব্রেয়াসুস জানিয়েছেন, করোনার অতি সংক্রামক এই ভ্যারিয়েন্টটি এরইমধ্যে বিশ্বের শ’খানেক দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। ডব্লিউএইচও প্রধান বলেছেন, ডেল্টার মতো আরও সংক্রামক ভ্যারিয়েন্টগুলো দ্রুত অনেক দেশে প্রভাবশালী স্ট্রেইন হয়ে উঠছে। আমরা এই মহামারির খুব বিপজ্জনক একটি সময়ে রয়েছি।

ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট বিপজ্জনক হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে,-যোগ করেন টেড্রোস আধানোম গেব্রেয়াসুস।

বাংলাদেশেও সংক্রমণের এই ঊর্ধ্বগতির অন্যতম কারণ ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট। দেশে সংক্রমণের ৮০ শতাংশই ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট (ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট) বলে গবেষণায় পাওয়া গেছে। রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) জানায়, দেশে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টের কমিউনিটি ট্রান্সমিশন বা সামাজিক সংক্রমণ হয়েছে। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের কারণেই প্রথমে সীমান্তবর্তী এলাকা, পরে এসব এলাকার আশেপাশের জেলা এবং এখন সেটা পুরো দেশে ছড়িয়ে পড়েছে।

আর সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে অন্যতম পন্থা টিকা নেওয়া। দেশে গত ৭ ফেব্রুয়ারি অক্সফোর্ড ও অ্যাস্ট্রাজেনেকা উদ্ভাবিত ও ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে তৈরি করা কোভিশিল্ড টিকা দিয়ে জাতীয় টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়। সেরামের সঙ্গে তিন কোটি ডোজের চুক্তি থাকলেও সেখান থেকে দেশে এসেছে মাত্র ৭০ লাখ। ভারত টিকা রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় এই টিকা নিয়ে সংকটে পড়েছে দেশ।

কেনা ৭০ লাখ ডোজের সঙ্গে ভারত সরকারের উপহার দেওয়াসহ দেশে কোভিশিল্ডের মোট টিকা এসেছে ১ কোটি ২ লাখ ডোজ। সাত ফেব্রুয়ারি থেকে দেশে এখন পর্যন্ত কোভিশিল্ড টিকা দেওয়া হয়েছে ১ কোটি ১ লাখ ১০ হাজার ৯৭৯ জনকে। সে হিসাবে এই টিকার দ্বিতীয় ডোজ পেতে অপেক্ষায় রয়েছেন প্রায় ১৪ লাখের বেশি মানুষ।

এই বিপুল সংখ্যক মানুষ যেমন অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রেজেনেকার কোভিশিল্ড টিকা সংকটে দ্বিতীয় ডোজ নিয়ে চিন্তায় রয়েছেন, তেমনি দেশে ফাইজার, মডার্না ও সিনোফার্মের টিকা পৌঁছানোর খবরে আশান্বিত হয়েছেন। তারা ভাবছেন হয়তো তারা দ্বিতীয় ডোজ অন্য কোম্পানির নিতে পারবেন। তিন মাস আগে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রেজেনেকার প্রথম ডোজের টিকা নিয়েছেন সংবাদকর্মী মেহেদী হাসান তালুকদার। তিনি বলেন, প্রথম ডোজের ২৮ দিন পরে দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার কথা থাকলেও তা নিতে পারিনি। এখনও জানি না কবে দ্বিতীয় ডোজ পাবো। অ্যাস্ট্রেজেনেকার টিকাই পাবো নাকি অন্য কোনও কোম্পানির টিকা নিতে পারবো সেটাও অবগত নই।

স্বাস্থ্য অধিদফতর একাধিকবার কোভিশিল্ডের টিকার সংকটের কথা জানিয়েছে। তারা বলছে, দেশে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার সংকট রয়েছে এবং তার সমাধান চট করে হয়ে যাচ্ছে বলে মনে করছে না তারা। কারণ, ভারত থেকে যে টিকা পাওয়ার কথা তার সমাধান এখনও হয়নি। একইসঙ্গে এই টিকা অন্যান্য স্থান থেকে পাওয়া সম্ভাবনা কম।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের বুলেটিনে অধিদফতরের মুখপাত্র অধ্যাপক রোবেদ আমিন গত ২৬ জুন বলেন, সারা পৃথিবীতেই মিক্স এবং ম্যাচ পদ্ধতিতে টিকা অর্থাৎ প্রথম ডোজ এক কোম্পানির এবং পরের ডোজ আরেক কোম্পানির দেওয়া হচ্ছে। হয়তো ভবিষ্যতে আমরা এই পদ্ধতিতে এই সমস্যার সমাধান করতে পারবো।

যদিও অধিদফতর বলছে, তারা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে অপেক্ষা করছে নাইটেগের সিদ্ধান্তের। স্বাস্থ্য অধিদফতরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিন বলেন, তারা (নাইটেগ) এখনও সিদ্ধান্ত দেয়নি। আর সিদ্ধান্ত না দিলেতো আলটিমেটলি টিকা দেওয়া যাচ্ছে না। …তবে (সিদ্ধান্ত) দেবে নিশ্চয়ই। আর যেহেতু বিভিন্ন জায়গা থেকে এ সংক্রান্ত রিপোর্ট পাওয়া গেছে, তারা নিশ্চয়ই এ সম্পর্কে একটা সিদ্ধান্ত দেবেন আমাদের। আমরা এ সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছি।

তবে ব্যক্তিগতভাবে অধ্যাপক রোবেদ আমিন মনে করেন, টিকার মিক্স ডোজ দেওয়া যাবে। তার ভাষ্য, যে টিকাই পাওয়া যাচ্ছে, সেটাই দিয়ে দেওয়া উচিত- ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি। আগে যে টিকাই দেওয়া হোক, এখন অ্যাভেইলেবেল যেটা রয়েছে সেটাই দিয়ে দেওয়া যাবে, সেটা ফাইজার হোক, মডার্নার হোক বা সিনোফার্মের।

এদিকে, নাইটেগের সদস্য স্বাস্থ্য অধিদফতরের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. বেনজির আহমেদ মনে করেন, এই মুহূর্তে দুই কোম্পানির দুই ডোজ দেওয়া যাবে না।

জার্মানির চ্যান্সেলর এঙ্গেলা মেরকেল নিজে ভিন্ন ভিন্ন টিকার দুটি ডোজ নিয়েছেন। তাকে প্রথম ডোজ হিসেবে দেওয়া হয়েছিল অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা, আর দ্বিতীয় ডোজ মডার্নার। একইসঙ্গে জার্মানিতে মিশ্র ডোজের সুপারিশ করা হয়েছে জানালে অধ্যাপক বেনজির আহমেদ বলেন, জার্মানি করলেই আমরা করবো, তা নয়। এখন পর্যন্ত দ্বিতীয় ডোজ অন্য কোম্পানির দেওয়া যাবে এমন রিকমেন্ডেশন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, এফডিএ (যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন) দেয়নি, সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলোও কিছু বলেনি। সে ক্ষেত্রে আমরা জাতীয়ভাবে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারি না।’

সুতরাং আপাতত আমরা বলবো, যারা অ্যাস্ট্রাজেনেকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন, তাদের দ্বিতীয় ডোজও এ টিকাই নিতে হবে,-বলেন অধ্যাপক বেনজির আহমেদ।

Leave a comment

এই বিভাগের আরো সংবাদ
shuddhobarta24
Privacy Overview

This website uses cookies so that we can provide you with the best user experience possible. Cookie information is stored in your browser and performs functions such as recognising you when you return to our website and helping our team to understand which sections of the website you find most interesting and useful.