Main Menu

সারাদেশে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পৌঁছাতেই হবে, সেবা নিশ্চিত করতে গাইডলাইন

ডিসেম্বরের মধ্যভাগে অনুমোদন পেয়েছে ‘আইএসপি রেগুলেটরি ও লাইসেন্সিং গাইডলাইন’। এই নির্দেশিকায় নতুন সংযোজনের মধ্যে একটি হলো আইএসপিগুলোকে সারাদেশে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পৌঁছাতে হবে ধাপে ধাপে।

এদিকে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি দেশের ৪ লাইসেন্সি (অপারেটর) তথা মোবাইল ফোন অপারেটর, আইআইজি (ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে), এনআইএক্স ও নেশনওয়াইড আইএসপিগুলোকে ক্যাশ সার্ভার স্থাপনের নির্দেশনা দিয়েছে।

আগে আইএসপির লাইসেন্স দেওয়া হতো সারাদেশকে জোন হিসেবে ভাগ করে। গাইডলাইনে সেই জোনভিত্তিক হিসাব উঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন সারাদেশকে চারটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে- নেশনওয়াইড তথা দেশব্যাপী, বিভাগ, জেলা ও থানা।

নেশনওয়াইড লাইসেন্সধারীদের প্রথম বছরে ২৫ শতাংশ, দ্বিতীয় বছরে ৫০ শতাংশ, তৃতীয় বছরে ৭৫ শতাংশ এবং চতুর্থ বছরে ১০০ শতাংশ অঞ্চল নেটওয়ার্কের আওতায় আনতে হবে। অন্য লাইসেন্সধারীদের বেলায়ও একই নিয়ম প্রয়োজ্য।

এ বিষয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘আশা করি আইএসপিগুলো রোলআউট প্ল্যান (ধাপে ধাপে ব্রডব্যান্ড) বাস্তবায়ন করতে পারবে। না পারলে যে শাস্তি হবে তা আইএসপিগুলো জানে। মানসম্মত সেবা নিশ্চিত করতে হলে গাইডলাইন অনুসরণ করতে হবে। মোবাইল অপারেটরদের বলা হয়েছে যেখানে তাদের নেটওয়ার্ক আছে তা যেন ফোর-জিতে রূপান্তর করা হয়। আইএসপিদেরও এমন কোনও প্ল্যাটফর্মে নিয়ে আসতে হবে।’

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা যদি বিষয়টি কঠোর মনিটরিংয়ের আওতায় নিয়ে আসে তবেই সারাদেশে ইন্টারনেটের কোয়ালিটি অব সার্ভিস পৌঁছানো সম্ভব। মন্ত্রী জানিয়েছেন, এ ধরনের পরিকল্পনা তাদের রয়েছে।

দেশের ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন আইএসপিএবির সভাপতি আমিনুল হাকিম এ বিষয়ে বলেন, ‘আমাদের ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের যে পরিকল্পনা রয়েছে তা এটা দিয়েই বাস্তবায়ন সম্ভব। এটা বাস্তবায়ন করা গেলে সরকারের অন্যান্য প্রকল্পগুলো সফল হবে। সরকার ইউনিয়ন পর্যন্ত ফাইবার অপটিক নিয়ে গেছে। কিন্তু সেবা পৌঁছাতে পারেনি। এটা বাস্তবায়ন করা গেলে আইএসপিগুলো সার্ভিস পৌঁছাতে পারবে। এতে সরকারের ইনফোর সরকার-৩ প্রকল্প সফলতার শিখরে পৌঁছাবে।’

প্রসঙ্গত, খসড়া তৈরির অন্তত চার বছর পর আলোর মুখ দেখলো আইএসপি গাইডলাইন। এর ফলে দেশের ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো নিয়ন্ত্রণ, মনিটর ও পরিচালনা সহজ হবে। আসবে স্বচ্ছতা।

ক্যাশ সার্ভার স্থাপনে ৪ লাইসেন্সি

দেশের সব মোবাইল ফোন অপারেটর, সব আইআইজি অপারেটর (ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে), এনআইএক্স (ন্যাশনাল ইন্টারনেট এক্সচেঞ্জ) ও নেশনওয়াইড আইএসপিগুলোকে ক্যাশ সার্ভার স্থাপনের নির্দেশনা দিয়েছে বিটিআরসি। গত ১ ফেব্রুয়ারি নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা পাঠিয়েছে।

টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্কে শৃঙ্খলা আনা, জাতীয় নিরাপত্তা, রাষ্ট্রের সুরক্ষা, গ্রাহক সংখ্যা, মনিটরিং ব্যবস্থা ইত্যাদি বিবেচনায় নিয়ে বিটিআরসি এই নির্দেশনা দিয়েছে।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, কমিশনের সিদ্ধান্ত মোতাবেক নেশনওয়াইড আইএসপি ছাড়া অন্য সব আইএসপি অপারেটর প্রান্তে ইতোপূর্বে স্থাপিত সব ধরনের ক্যাশ সার্ভার আগামী ৬ মাসের মধ্যে অপসারণ করতে হবে। ১৫ ডিসেম্বর জারিকৃত আইএসপি লাইসেন্সিং গাইডলাইন অনুযায়ী নেশনওয়াইড আইএসপি ছাড়া রূপান্তরিত অন্য সব আইএসপি লাইসেন্সের ক্ষেত্রে পরিবর্তিত নির্দেশনাটি প্রযোজ্য হবে।

নির্দেশনায় আরও বলা হয়, আইআইজি ও এনআইএক্স অপারেটরের পাশাপাশি শুধু মোবাইল অপারেটর ও নেশনওয়াইড আইএসপি অপারেটর কমিশনের অনুমোদনক্রমে ক্যাশ সার্ভার স্থাপন করতে পারবে। নেটফ্লিক্স ক্যাশ সার্ভার শুধু এনআইএক্স (নিক্স) অপারেটর প্রান্তে স্থাপনের অনুমতি বহাল থাকবে। এ ছাড়া ক্যাশ সার্ভার স্থাপন, রক্ষণাবেক্ষণ, প্রতিস্থাপন, আপগ্রেডেশন ইত্যাদির ক্ষেত্রে বিটিআরসি থেকে আগে অনুমোদন নিতে হবে।

উল্লেখ্য, বিটিআরসি এরইমধ্যে ১২৯টি নেশনওয়াইড আইএসপির তালিকা প্রকাশ করেছে।

সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন

Leave a comment






এই বিভাগের আরো সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

shuddhobarta24
Privacy Overview

This website uses cookies so that we can provide you with the best user experience possible. Cookie information is stored in your browser and performs functions such as recognising you when you return to our website and helping our team to understand which sections of the website you find most interesting and useful.