Main Menu

সিলেট নগরীর বন্দরবাজার-চৌহাট্টা সড়কে বন্ধ হচ্ছে যানবাহন চলাচল

আগামী ১ জানুয়ারি থেকে সিলেট নগরীর বন্দরবাজার-চৌহাট্টা সড়কে বন্ধ হচ্ছে রিকশাসহ কয়েক ধরনের যানবাহন চলাচল। নগরীর প্রাণকেন্দ্র জিন্দাবাজারকে যানজটমুক্ত ও নান্দনিক করার স্বার্থে এ উদ্যোগে নিয়েছে সিলেট সিটি কর্পোরেশন।

তবে এতে বেঁকে বসেছেন রিকশাচালক ও মালিকরা। সিসিকের এমন সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবিতে সোমবার (২৮ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় নগরীতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন রিকশাচালক ও মালিকরা। সিলেট জেলা রিকশা শ্রমিক ইউনিয়ন রেজি. নং চট্ট-১৬৬৯ ও রিকশা মালিক-শ্রমিকদের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এ সমাবেশ থেকে হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বক্তারা বলেন, সিলেট সিটি কর্তৃপক্ষ বন্দরবাজার-চৌহাট্টা সড়কে রিকশা চলাচল বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে। অনতিবিলম্বে এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে হবে। অন্যথায় রিকশা মালিক-শ্রমিক ঐক্যবদ্ধ হয়ে কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে।

সিলেটের প্রাণকেন্দ্র জিন্দাবাজার ছুয়ে যাওয়া কোর্ট পয়েন্ট-চৌহাট্টা-আম্বরখানা সড়কটি যানজটমুক্ত ও দৃষ্টিনন্দন করতে নানা উদ্যোগ নিয়েছে সিলেট সিটি কর্পোরেশ। এরই ধারাবাহিকতায় এ সড়কের মধ্যখানে ডিভাইডার দিয়ে সেখানে বসানো শুরু হয়েছে ৭ ফিট উচ্চতার কারুকাজ করা গ্রিল। পাশাপাশি ডিভাইডারে লাগানো হচ্ছে গাঁদা ফুল।

এর আগে দুপাশের বৈদ্যুতিক খুঁটি সরিয়ে খুঁটি ও তারের জঞ্জালবিহীন করা হয়েছে সড়কটিকে। শুধু ডিভাইরাডারে খুঁটি রাখা হয়েছে ইমার্জেন্সি বিদ্যুৎ লাইনের জন্য। বৈদ্যুতিক তারসহ বাকি সব কেবল লাইন নেয়া হয়েছে মাটির নিচ দিয়ে। তাই দিন যতই যাচ্ছে সড়কটির সৌন্দর্য বাড়ছে এবং আকর্ষিত করছে এ সড়কে চলাচালকারী জনসাধারণ এবং নগরবাসীকে।

এদিকে সড়কটিকে ব্যতিক্রমী করার উদ্যোগ হিসেবে বন্ধ করা হচ্ছে রিকশাসহ কয়েকটি গাড়ির চলাচল। আগামী বছরের প্রথম দিন- অর্থাৎ ১ জানুয়ারি থেকে কোর্ট পয়েন্ট থেকে চৌহাট্টা পর্যন্ত রিকশা, ঠেলা, ভ্যান গাড়ি ও লেগুনা চলাচল বন্ধ করছে সিসিক।

সিলেট সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে ইতোমধ্যে একাধিক দিন নগরীতে মাইকিং করা হয়েছে এবং গত সপ্তাহে এ সড়কে নিষেধাজ্ঞার সাইনবোর্ডও গেড়ে দেয়া হয়েছে।

তবে এ বিষয়ে বেঁকে বসেছেন সিলেট জেলা রিক্সা শ্রমিক ইউনিয়ন রেজি. নং চট্ট-১৬৬৯-এর অন্তর্ভুক্ত নগরীর রিকশাচালক ও মালিকরা। তারা সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে চালিয়ে যাচ্ছেন আন্দোলন। সিসিক এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে না আসলে নগরীর রিকশাচালক ও মালিকরা কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করবেন বলে হুশিয়ারি উচ্চারণ করছেন।

এদিকে, এ বিষয়ে সিলেট সিটি করপোরোশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী ও প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমানের কাছ থেকে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তাদের দুজনের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও তারা কল রিসিভ করেননি।

Leave a comment






এই বিভাগের আরো সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

shuddhobarta24
Privacy Overview

This website uses cookies so that we can provide you with the best user experience possible. Cookie information is stored in your browser and performs functions such as recognising you when you return to our website and helping our team to understand which sections of the website you find most interesting and useful.