1. abusufian7389@gmail.com : .com : sk .com
  2. ashfakur85@gmail.com : আশফাকুর রহমান : Ashfakur Rahman
  3. b.c.s.bipro@gmail.com : বিপ্র দাস বিশু বিত্রম : Bipro Das
  4. zihad0292@gmail.com : Zihad Ul Islam Mahdi : Zihad Ul Islam Mahdi
  5. ahmedmdmahfuz@gmail.com : মোঃ মাহফুজ আহমদ : মোঃ মাহফুজ আহমদ
  6. nazimahmed2042@gmail.com : Najim Ahmed : Najim Ahmed
  7. shahadotchadni@gmail.com : Md Sh : Md Sh
  8. ashfakur86@gmail.com : শুদ্ধবার্তা ডেস্ক : SB 24
  9. shuddhobarta24@gmail.com : shuddhobarta24@ : আবু সুফিয়ান
  10. surveyor.rasid@gmail.com : Abdur Rasid : Abdur Rasid
আজারবাইজান-আর্মেনিয়া যুদ্ধ: এই সংঘাত কি আরো বৃহত্তর যুদ্ধে রূপ নিতে পারে?        
রবিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৫, ১০:১২ পূর্বাহ্ন

আজারবাইজান-আর্মেনিয়া যুদ্ধ: এই সংঘাত কি আরো বৃহত্তর যুদ্ধে রূপ নিতে পারে?

  • সংবাদ প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ২ অক্টোবর, ২০২০

অনলাইন ডেস্ক: আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে কয়েকদিন ধরে তীব্র লড়াই চলছে। পূর্ব ইউরোপে দক্ষিণ ককেশাসের বিরোধপূর্ণ এলাকা নাগোর্নো-কারাবাখকে কেন্দ্র করে এ দুই দেশের মধ্যে এর আগেও বিভিন্ন সময়ে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। সামরিক সংঘাতও হয়েছে। কিন্তু সেগুলো ছিল সীমিত পরিসরে।

সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের এই দুটো দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে শুরু হওয়া এবারের যুদ্ধ আগের সংঘাতগুলোর তুলনায় ভিন্ন। বর্তমান সংঘর্ষের মাত্রা, ধরণ এবং আন্তর্জাতিক বিশ্বের প্রতিক্রিয়া- এসব কিছুই ওই অঞ্চলের সাম্প্রতিক কালের সব উত্তেজনাকে ছাড়িয়ে গেছে।

গত ২৭ সেপ্টেম্বর রোববার সকালে হঠাৎ শুরু হওয়া এই যুদ্ধে বড়ো বড়ো কামান, ট্যাঙ্ক, ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন ব্যবহার করা হচ্ছে। সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত শতাধিক বেসামরিক নাগরিক এবং আর্মেনিয়ার বেশ কয়েকজন যোদ্ধা নিহত হয়েছে। আজারবাইজানের সামরিক খাতে কতো ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সে বিষয়ে বাকুর পক্ষ থেকে এখনও কিছু বলা হয়নি। তবে ধারণা করা যেতে পারে তাদেরও প্রচুর ক্ষতি হয়েছে।

যে জায়গাটির দখল নিয়ে দুটো দেশের মধ্যে যুদ্ধ চলছে, সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়ার পর সেই কারাবাখ অঞ্চল আর্মেনিয়ার সেনাবাহিনী দখল করে নিয়েছিল। আন্তর্জাতিকভাবে এই এলাকাটি আজারবাইজানের। কিন্তু এটি পরিচালনা করে জাতিগত আর্মেনীয়রা। দুটো দেশই এই এলাকাটিকে তাদের নিজেদের অংশ বলে দাবি করে আসছে।

সাম্প্রতিক এই যুদ্ধ কেন শুরু হলো তার কারণ খুব একটা পরিষ্কার নয়। তবে প্রকাশিত খবরা-খবর থেকে ইঙ্গিত পাওয়া যায় যে আজারবাইজানের বাহিনী বিস্তৃত এই এলাকাটি পুনর্দখল করতে গেলে সবশেষ এই যুদ্ধের সূত্রপাত।

আর্মেনিয়া ১৯৯২-৯৪ সালে যখন এই নাগোর্নো-কারাবাখ দখল করে নেয় তখন সেখান থেকে প্রায় দশ লাখ আজেরি উদ্বাস্তু হয়ে পড়েছিল। এরপর থেকে এই অঞ্চলকে কেন্দ্র করে দুটো দেশের মধ্যে গত কয়েক দশকে বারবার কূটনৈতিক অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়, হুমকি দেয়া হয় একে অপরকে আক্রমণের।

ব্রাসেলস-ভিত্তিক একটি আন্তর্জাতিক গবেষণা সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ বা আইসিজি বলছে, ২০১১ সালে নাগোর্নো-কারাবাখ শান্তি আলোচনা থেমে যাওয়ার পর দুটো দেশের মধ্যে অস্ত্র প্রতিযোগিতা বেড়েছে। পাশাপাশি একে অপরকে আক্রমণ করার হুমকিও বেড়েছে।

আইসিজি বলছে, এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে যে সামরিক বিষয়ে কোনো ভুল হলে তার পরিণতি স্থানীয় বিরোধকেও ছাড়িয়ে যেতে পারে। কারণ এই অঞ্চলের সাথে বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলোর স্বার্থ জড়িত।

দীর্ঘদিনের উত্তেজনার জের ধরে ২০২০ সালের জুলাই মাসে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের আন্তর্জাতিক সীমান্তের উত্তরাঞ্চলে সামরিক সংঘাতের ঘটনাও ঘটে। কিন্তু সেসব উত্তেজনা ও সংঘর্ষ এবারের মতো এতোটা তীব্র ছিলো না।

কী বিপদ হতে পারে

এর আগে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের বাহিনীর মধ্যে যতবারই উত্তেজনা তৈরি হয়েছে, কয়েকদিন পরেই সেগুলোকে নিয়ন্ত্রণে আনা গেছে। কিন্তু লন্ডনে গবেষণা প্রতিষ্ঠান চ্যাটাম হাউজে দক্ষিণ ককেশাস বিশেষজ্ঞ ও গবেষক লরেন্স ব্রোয়ার্স বলছেন, বর্তমান যুদ্ধের যে তীব্রতা সেটা দেখে ধারণা করা যায় যে এবার হয়তো সেরকম সম্ভব হবে না।

যে অঞ্চলের জন্য লড়াই চলছে সেই নাগোর্নো-কারাবাখের জন-অধ্যুষিত এলাকায় ক্ষেপণাস্ত্র ও বোমা হামলা চালানো হয়েছে। ১৯৯০ এর দশকের পর সেখানে এই প্রথম এধরনের হামলার ঘটনা ঘটলো। আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের বেসামরিক এলাকাতেও হামলা চালানো হয়েছে।

গবেষক লরেন্স ব্রোয়ার্স বলছেন, অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে উভয়পক্ষ দীর্ঘ সময়ের যুদ্ধের জন্য ক্ষেত্র তৈরি করছে। আর্মেনিয়ার সঙ্গে নতুন করে আলোচনার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে আজারবাইজান। এছাড়াও এবার তুরস্কের পক্ষ থেকে আজারবাইজানকে যেভাবে সমর্থন দেয়ার কথা বলা হচ্ছে সেরকমও আগে দেখা যায়নি।

তিনি বলেন, এই যুদ্ধ যদি দীর্ঘ সময় ধরে চলে তাহলে তাতে বাইরের আরো অনেক শক্তি জড়িয়ে পড়বে। যার ফলে আরো বৃহত্তর পরিসরে আঞ্চলিক যুদ্ধ শুরুর আশঙ্কা তৈরি হতে পারে।

তুরস্কের ভূমিকা কী

ভৌগলিক কৌশলগত কারণে আজারবাইজান তুরস্কের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। একারণে তুরস্ক বহু আগে থেকেই আজারবাইজানকে নৈতিক ও কূটনৈতিক সমর্থন দিয়ে আসছে।

আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে জুলাই মাসের সংঘর্ষের পর তুরস্কের প্রতিরক্ষা বিষয়ক কর্মকর্তাদের সঙ্গে আজারবাইজানের সামরিক কর্মকর্তাদের যোগাযোগ আরো বেড়েছে। এর পর দুটো দেশ মিলে যৌথ সামরিক মহড়াও চালিয়েছে।

এবারের সংঘাত শুরু হওয়ার পর আজারবাইজানের প্রতি নিঃশর্ত সমর্থন প্রকাশ করেছে তুরস্ক। তুর্কি প্রেসিডেন্ট রেচেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বলেছেন, আজারবাইজানকে তারা সব ধরনের সহায়তা দেবেন।

যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর তুরস্কের পক্ষ থেকে আজারবাইজানকে বিভিন্ন রকমের সামরিক সহযোগিতাও দেয়া হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যুদ্ধে যে তুরস্কের অত্যাধুনিক সামরিক প্রযুক্তির ড্রোন ব্যবহার করা হচ্ছে এবিষয়ে তেমন একটা সন্দেহ নেই।

আজারবাইজানের প্রতি আঙ্কারার এই অকুণ্ঠ সমর্থনের নিন্দা করেছে আর্মেনিয়া। তারা বলেছে, এর ফলে সংঘাত আরো ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হতে পারে। আর্মেনিয়ার পক্ষ থেকে আরো অভিযোগ করা হয়েছে, তুরস্ক তাদের একটি এসইউ-২৫ বিমান ২৯শে সেপ্টেম্বর গুলি করে ধ্বংস করেছে। আঙ্কারা অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

চ্যাটাম হাউজের গবেষক লরেন্স ব্রোয়ার্স বলেছেন, এধরনের অভিযোগ আগেও আনা হয়েছিল এবং পরে দেখা গেছে যে এর কোনো সত্যতা নেই।

অসমর্থিত সূত্রে আরও বলা হচ্ছে যে, আজারবাইজানের হয়ে যুদ্ধ করার জন্য তুরস্ক সিরিয়া থেকে যোদ্ধাদের সেখানে নিয়ে যাচ্ছে। এরকম এক যোদ্ধা বিবিসির আরবি বিভাগকে বলেছেন যে গত সপ্তাহে তাকে উত্তর সিরিয়া থেকে সংগ্রহ করে তুরস্ক হয়ে সেখানে পাঠানো হয়েছে। তুরস্ক অবশ্য এই খবর অস্বীকার করেছে।

রাশিয়ার ভূমিকা কী

এই সংঘাতে রাশিয়ার ভূমিকা নানা রকমের- বিচিত্র এবং কখনো কখনো সেসব ভূমিকা পরস্পরবিরোধী।

আর্মেনিয়ার সাথে রাশিয়ার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক রয়েছে। সেদেশে রাশিয়ার সামরিক ঘাঁটিও রয়েছে। এছাড়াও নিরাপত্তাজনিত সংস্থা কালেকটিভ সিকিউরিটি ট্রিটি অর্গানাইজেশনের মাধ্যমে মস্কো আর্মেনিয়াকে নিরাপত্তা সহযোগিতা দিয়ে থাকে।

কিন্তু এসব সম্পর্ক ও সহযোগিতা রাশিয়াকে নাগোর্নো-কারাবাখের যুদ্ধে জড়ানোর সুযোগ করে দেয়নি। কারণ এই এলাকাটি আন্তর্জাতিকভাবে আজারবাইজানের অংশ হিসেবে স্বীকৃত, বলেন চ্যাটাম হাউজের গবেষক লরেন্স ব্রোয়ার্স।

আজারবাইজান এবং আর্মেনিয়া- উভয়পক্ষের কাছেই অস্ত্র সরবরাহ করে রাশিয়া। আজারবাইজানের সঙ্গেও রাশিয়ার সম্পর্ক ভালো।

গত সপ্তাহে সংঘাত শুরু হওয়ার পর রাশিয়া যুদ্ধবিরতির আহবান জানিয়েছে এবং যুদ্ধ বন্ধ করার লক্ষ্যে উভয়পক্ষের মধ্যে সংলাপ আয়োজনেরও প্রস্তাব দিয়েছে।

রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের সরকারের প্রতি এই সংলাপে বসার আহবান জানিয়েছেন। এবিষয়ে লাভরভ দুটো দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথাও বলেছেন।

বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও ফরাসী প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর মধ্যেও কথা হয়েছে এবং তারা দুজনেই অনতিবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধ করার আহবান জানিয়েছেন।

গবেষক লরেন্স ব্রোয়ার্স বলছেন, আর্মেনিয়ার নেতা নিকোল পাশিনিয়ানের সঙ্গে মস্কোর সম্পর্ক খুব একটা সুখকর নয়। একারণে ইয়েরাভান রাশিয়াকে না ডেকে এই উত্তেজনা নিজেরাই সামাল দিতে চেষ্টা করবে।

তিনি আরো বলেন, এছাড়াও এই যুদ্ধ যদি শুধুমাত্র নাগোর্নো-কারাবাখ অঞ্চল ও তার আশেপাশের এলাকার মধ্যেই সীমিত রাখা সম্ভব হয় তাহলে এই সংঘাতে রাশিয়ার জড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা কম। কারণ মস্কো দেখাতে চাইবে যে তাদের অবস্থান নিরপেক্ষ।

তবে এই যুদ্ধ যদি দীর্ঘায়িত হয় এবং তাতে তুরস্ক আরো বেশি করে জড়িয়ে পড়ে তখন ওই অঞ্চলে রাশিয়ার আধিপত্য খর্ব হওয়ার আশঙ্কার কথা বিবেচনা করে রাশিয়া সেখানে সক্রিয় হয়ে উঠতে পারে।

ফ্রান্সের অবস্থান

ফ্রান্সে জাতিগত বহু আর্মেনীয় বসবাস করে যেখানে তুরস্ক সবসময়ই আজারবাইজানকে সমর্থন দিচ্ছে। ফলে এই সংঘাতকে কেন্দ্র করে নেটোর এই দুটো মিত্র দেশের মধ্যেও উত্তেজনা তৈরি হয়েছে।

টার্কিক এই অঞ্চলে যুদ্ধে জড়ানোর ব্যাপারে তুরস্ককে সতর্ক করে দিয়েছে ফ্রান্স। ফরাসী প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ”তুরস্কের যুদ্ধস্বরূপ” কথাবার্তার নিন্দা করেছেন। মি. ম্যাক্রোঁ বলেছেন, নাগোর্নো-কারাবাখ পুনর্দখলে নেয়ার ব্যাপারে আজারবাইজানের যতোটুকু সঙ্কোচ ছিল, আঙ্কারার সমর্থনের কথা ঘোষণা করার পর সেটাও দূর হয়ে গেছে যা ফ্রান্সের কাছে কিছুতেই গ্রহণযোগ্য নয়।

এর জবাবে তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত চাভুসলো ফ্রান্সের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে বলেছেন যে আজারবাইজানে আর্মেনিয়ার দখলদারিত্বকে তারা সমর্থন করছে।

অন্যান্য দেশের ভূমিকা

তুরস্ককে বাদ দিয়ে আঞ্চলিক ও বিশ্বনেতারা সংযম প্রদর্শনের আহবান জানিয়ে বলেছেন আলোচনার মাধ্যমে উত্তেজনা প্রশমন করার কথা। ইরান, জর্জিয়া এবং কাতার এতে মধ্যস্থতা করার প্রস্তাব দিয়েছে। সবশেষ প্রস্তাবটি এসেছে রাশিয়ার পক্ষ থেকে।

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ২৯ সেপ্টেম্বর সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে এবিষয়ে মধ্যস্থতা করবে মিনস্ক গ্রুপ যাতে সভাপতিত্ব করছে ফ্রান্স, রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপে নিরাপত্তা ও সহযোগিতা বিষয়ক সংস্থা ওএসসিই।

তবে গবেষকরা বলছেন, কূটনৈতিক আলোচনার ব্যাপারে বিভিন্ন দেশ কতোটা আন্তরিক হবে সেটা বলা কঠিন। কারণ এই যুদ্ধ এমন এক সময়ে শুরু হয়েছে যখন সারা বিশ্ব করোনাভাইরাস মহামারির সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত। তার সঙ্গে আছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। ফলে এই সংঘাত সমাধানে শক্তিধর দেশগুলো কতোটা মনযোগী হবে তার ওপর অনেক কিছু নির্ভর করছে।

কী হতে পারে

চ্যাটাম হাউজের গবেষক লরেন্স ব্রোয়ার্স বলছেন, আজারবাইজান হয়তো খুব দ্রুত কিছু এলাকা পুনর্দখল করে নিয়ে সামরিক সাফল্য অর্জন করতে পারে। অথবা আর্মেনিয়ার বাহিনী আজারবাইজানের এই চেষ্টা নস্যাৎ করে দিতে পারে। যুদ্ধবিরতিও হতে পারে। তবে এসবের যা কিছুই হোক না কেন বর্তমান এই সংঘাতের কারণে যে অভ্যন্তরীণ স্থিতি বিনষ্ট হবে তা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই।

তিনি বলছেন, এই যুদ্ধ যদি বেশি সময় ধরে গড়ায় এবং তাতে একটি পক্ষের পরাজয় ঘটতে থাকে তখন রাশিয়া এবং তুরস্কের পক্ষে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া খুব একটা সহজ হবে না।

নাগোর্নো-কারাবাখকে কেন্দ্র করে দুটো দেশের মধ্যে অমীমাংসিত বিরোধের কারণে যে বিপদ হতে পারে সেবিষয়ে ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ বা আইসিজি বহু বছর ধরেই সতর্ক করে আসছে। সর্বশেষ এই যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর তারা বলছে, পরিস্থিতি শান্ত করতে উভয়পক্ষের মধ্যে সমঝোতার জন্য রাশিয়াকে আরো বেশি সক্রিয় হতে হবে।

সংস্থাটি বলছে, রাশিয়া যদি ঘোষণা করে যে যুদ্ধ না থামালে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানে তারা অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করে দেবে তাহলে এই কাজটি অনেক বেশি সহজ হয়ে যেতে পারে। সূত্র: বিবিসি

এই বিভাগের আরো সংবাদ
shuddhobarta24
Privacy Overview

This website uses cookies so that we can provide you with the best user experience possible. Cookie information is stored in your browser and performs functions such as recognising you when you return to our website and helping our team to understand which sections of the website you find most interesting and useful.