1. abusufian7389@gmail.com : .com : sk .com
  2. ashfakur85@gmail.com : আশফাকুর রহমান : Ashfakur Rahman
  3. b.c.s.bipro@gmail.com : বিপ্র দাস বিশু বিত্রম : Bipro Das
  4. zihad0292@gmail.com : Zihad Ul Islam Mahdi : Zihad Ul Islam Mahdi
  5. ahmedmdmahfuz@gmail.com : মোঃ মাহফুজ আহমদ : মোঃ মাহফুজ আহমদ
  6. nazimahmed2042@gmail.com : Najim Ahmed : Najim Ahmed
  7. shahadotchadni@gmail.com : Md Sh : Md Sh
  8. ashfakur86@gmail.com : শুদ্ধবার্তা ডেস্ক : SB 24
  9. shuddhobarta24@gmail.com : shuddhobarta24@ : আবু সুফিয়ান
  10. surveyor.rasid@gmail.com : Abdur Rasid : Abdur Rasid
৫০ লাখ টাকা পাচ্ছেন সিলেটের ডা. মঈনের পরিবার        
রবিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৭:৪৭ অপরাহ্ন

৫০ লাখ টাকা পাচ্ছেন সিলেটের ডা. মঈনের পরিবার

  • সংবাদ প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ৫ জুন, ২০২০

করোনা ভাইরাসে প্রথম মারা যাওয়া চিকিৎসক সিলেটের এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মঈন উদ্দীন। গত ১৫ এপ্রিল তিনি ঢাকার কুর্মিটোলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

ডা. মঈনের স্ত্রী চৌধুরী রিফাত জাহান যিনি নিজেও একজন চিকিৎসক, আবেদন করেছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে।

সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল বুধবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য বিভাগের উপ-সচিব শামীমা নাসরিনের স্বাক্ষরিত ক্ষতিপূরণের প্রস্তাবসহ একটি চিঠি অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।

চিঠিতে শামীমা নাসরিন বলেছেন, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে মৃত্যুজনিত কারণে অর্থমন্ত্রণালয় কর্তৃক ঘোষিত পরিপত্র মোতাবেক মরহুমের পক্ষে তার স্ত্রী চৌধুরী রিফাত জাহানের অনুকূলে ক্ষতিপূরণ প্রদানের জন্য স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সম্মতি রয়েছে। এমতাবস্থায়, অর্থমন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ কর্তৃক জারিকৃত পরিপত্র মোতাবেক মরহুম ডা. মো. মঈন উদ্দিন ৬-গ্রেড এর কর্মকর্তা হওয়ায় তার পক্ষে স্ত্রী চৌধুরী রিফাত জাহানের অনুকূলে ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ থেকে অনুমোদনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

প্রস্তাবটিতে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা.মইনুল হক একটি সুপারিশ পত্রও লিখেছেন।  সুপারিশপত্রে তিনি বলেছেন, ডাক্তার মঈন  হাসপাতালে করোনভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা করার সময় ভাইরাসে সংক্রামিত হয়েছিলেন।

কভিড -১৯ রোগে সংক্রামিত বা যারা মারা যাবেন সেসব সরকারি কর্মকর্তা এবং কর্মচারীদের ক্ষতিপূরণ প্রদানের জন্য সরকার এরই মধ্যে চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। একই লক্ষ্যে অর্থমন্ত্রণালয় আসন্ন বাজেটে আট শত কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। তবে সরকারের এই সহায়তা কেবল করোনাভাইরাস বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জড়িতদের আবেদন বিবেচনা করবে।

জানা গেছে, স্বাস্থ্যমন্ত্রীর একান্ত সচিব মো. ওয়াহেদুর রহমান রহমান করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। পরবর্তীতে তিনি সুস্থও হয়েছেন। বিষয়টি প্রথমে গোপন রাখা হলেও কভিড সংক্রমিত হলে সরকার ঘোষিত ক্ষতিপূরণ পেতে তার করা আবেদনে বিষয়টি আবার সামনে চলে আসে।

তবে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, সরকার ঘোষিত প্রণোদনা বা ক্ষতিপূরণ শুধু ফ্রন্টলাইনার হিসেবে যারা এই মহামারী মোকাবেলায় কাজ করছেন তাদের জন্য। সেই বিবেচনায় মন্ত্রীর একান্ত সচিব এই ক্ষতিপূরণ পাওয়ার জন্য বিবেচিত হবেন না।

সরকার করোনাভাইরাস রোগীদের চিকিৎসার সঙ্গে জড়িত চিকিৎসক, নার্স এবং স্বাস্থ্য টেকনোলজিস্টদের  প্রণোদনা হিসেবে অতিরিক্ত দুই মাসের বেতন দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। এছাড়া করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যু হলে চিকিৎসক-নার্স-পুলিশ-সরকারি কর্মচারীরা গ্রেড ভেদে অর্থ পাবেন।

গত ২৩ এপ্রিল অর্থমন্ত্রণালয়ের জারি করা এক পরিপত্রে বলা হয়, ২০১৫–এর বেতনকাঠামো অনুযায়ী ১৫-২০তম গ্রেডের কেউ আক্রান্ত হলে ক্ষতিপূরণ পাবেন ৫ লাখ টাকা। আর মারা গেলে পাবেন ২৫ লাখ টাকা। ১০-১৪তম গ্রেডের কেউ আক্রান্ত হলে পাবেন ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং আর মারা গেলে পাবেন ৩৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এছাড়া প্রথম থেকে নবম গ্রেডের কেউ আক্রান্ত হলে পাবেন ১০ লাখ টাকা এবং মারা গেলে পাবেন ৫০ লাখ টাকা। ১ এপ্রিল থেকে এ পরিপত্র কার্যকর বলে গণ্য হবে।

শুধু করোনাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের সেবা দেয়ার ক্ষেত্রে সরাসরি কর্মরত ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্যসেবা কর্মী এবং ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে লকডাউন ও সরকার ঘোষিত নির্দেশনা বাস্তবায়নে নিয়োজিত মাঠ প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, সশস্ত্র বাহিনী এবং প্রত্যক্ষভাবে নিয়োজিত প্রজাতন্ত্রের অন্য কর্মচারীরা এ সুবিধা পাবেন। এর বাইরের কেউ পাবেন না।

করোনাভাইরাস মোকাবিলায় যেসব চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশ, স্থানীয় প্রশাসনসহ সরকারি কর্মচারীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মাঠপর্যায়ে দায়িত্ব পালন করছেন, তাদের কেউ আক্রান্ত হলে গ্রেড ভেদে ৫ থেকে ১০ লাখ টাকা করে দেবে সরকার। তাদের কেউ মারা গেলে উত্তরাধিকারী বা উত্তরাধিকারীদের দেয়া হবে ২৫ থেকে ৫০ লাখ টাকা করে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, সশস্ত্র বাহিনী ও প্রত্যক্ষভাবে নিয়োজিত প্রজাতন্ত্রের অন্য কর্মচারীরা এ সুবিধা পাবেন। দায়িত্ব পালনকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে ক্ষতিপূরণ বাবদ সরাসরি আর্থিক সুবিধা দেয়া হবে।

জানা গেছে, আক্রান্ত হলে গ্রেড ভেদে ৫ থেকে ১০ লাখ টাকা করে দেবে সরকার। তাদের কেউ মারা গেলে উত্তরাধিকারী বা উত্তরাধিকারীদের দেওয়া হবে ২৫ থেকে ৫০ লাখ টাকা করে।

আবেদনকারীর নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ আবেদনপত্র যাচাই-বাছাই করে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক মন্ত্রণালয় বা বিভাগের মাধ্যমে অর্থ বিভাগে প্রস্তাব পাঠাবে। পরে অর্থ বিভাগ ক্ষতিপূরণের অর্থ দেয়ার সরকারি আদেশ জারি করবে। এ ক্ষতিপূরণ প্রচলিত অন্য যে কোনো প্রজ্ঞাপন বা আদেশে বর্ণিত কর্মকালীন মৃত্যুবরণের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য আর্থিক সহায়তা বা অনুদানের অতিরিক্ত হিসেবে দেয়া হবে।

এই বিভাগের আরো সংবাদ
shuddhobarta24
Privacy Overview

This website uses cookies so that we can provide you with the best user experience possible. Cookie information is stored in your browser and performs functions such as recognising you when you return to our website and helping our team to understand which sections of the website you find most interesting and useful.