Main Menu

পাঁচ দিন পরে ফিরেছেন সহ-সমন্বয়ক খালেদ, ভয়ে কিছু বলতে পারছেন না

গত শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) নিখোঁজের পর মঙ্গলবার রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহ-সমন্বয়ক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের ২০২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থী খালেদ হাসান তার হলে ফিরে এসেছেন। তাকে গুম করা হয়েছিল বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আব্দুল কাদের।

বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান তিনি। তবে নিখোঁজ হওয়া খালেদের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তারা জানান, খালেদের মানসিক অবস্থা ভালো না। সে কিছুটা ভীত অবস্থায় রয়েছেন। মানসিকভাবে স্থির হলে তার কাছে সব তথ্য জানা যাবে। এখন তিনি ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।

আব্দুল কাদের বলেন, ‘খালেদ ভয়ে কাউকে কিছু বলতে পারছে না। আমি তার সঙ্গে একান্তে কথা বলতে চাইলে, সে আমাকে তার গুম হওয়ার ঘটনা জানায়। খালেদের ভাষ্যমতে, শুক্রবার বিকালের দিকে টিএসসি থেকে রিকশায় করে দোয়েল চত্বরের দিকে যাওয়ার সময় রিকশাতেই অজ্ঞাত কারণে জ্ঞান হারায় সে। পরবর্তী সময়ে সে যখন জ্ঞান ফিরে পায়, নিজেকে সুনামগঞ্জের একটি পেট্রোল পাম্পের কাছে মাইক্রোবাসে দেখতে পায়। এসময় তারসঙ্গে আরও দুই-তিন জন ছিল। পরবর্তী সময়ে সে আবারও জ্ঞান হারায়।

দ্বিতীয়বার যখন খালেদ জ্ঞান ফিরে পায়, তখন সে নিজেকে পঞ্চগড়ের কোনও একটা জায়গায় দেখতে পায় বলে জানান আবদুল কাদের। তিনি বলেন, ‘খালেদ একটা মাইক্রোবাসে ছিল, সেটি তখনও চলমান ছিল। তৃতীয়বার যখন তার জ্ঞান ফেরে তখন সে নিজেকে বরিশালের এক রাস্তার পাশে পড়ে থাকতে দেখে। পরে তাকে কেউ একজন গাড়িতে তুলে দিলে সে ঢাকায় পৌঁছে হলে ফিরে আসে।’

‘খালেদের মানসিক অবস্থা ভালো না’ জানিয়ে এই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সাবেক সমন্বয়ক আব্দুল কাদের বলেন, ‘কাউকে কিছু বলতে পারছে না। আমরা তাকে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে এসেছি।’

শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. ফারুক শাহ এ বিষয়ে বলেন, ‘আমি খালেদের সঙ্গে কথা বলেছি। সে কিছু বলতে চাইছে, কিন্তু ভয়ে বলতে পারছে না। তাকে খুব দুর্বল দেখাচ্ছিল। পরে আমি ডাক্তার নিয়ে আসলে তার ব্লাড প্রেশার বেড়েছে বলে ডাক্তার জানায়। এখন তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সুস্থ হলে সে সবাইকে ঘটনা বিস্তারিত বলতে পারবে।’

প্রসঙ্গত, খালেদ হাসান গত শুক্রবার থেকে নিখোঁজ বলে জানিয়েছিলেন পরিবারের সদস্যরা। সে সময় সমন্বয়কদের পক্ষ থেকে বলা হয়, গত বৃহস্পতিবার রাতে খালেদ তার বন্ধু ওমর ফারুকসহ বিশ্ববিদ্যালয় ও আশপাশ এলাকায় ঘোরাফেরা করেন। পরদিন শুক্রবার ভোর ৫টার সময় তিনি পূর্বাচল জলসিঁড়ি আবাসিক এলাকায় ২১ কিলোমিটার ম্যারাথন দৌড়ে অংশ নেন। ম্যারাথন শেষে বন্ধুকে ফার্মগেট এলাকায় নামিয়ে দিয়ে খালেদ সকাল ১০টা ৪৩ মিনিটে নিজের মোটরসাইকেলে করে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেন। হলে থাকা সিসি ক্যামেরায় তা দেখা গেছে।

এতে আরও দেখা যায়, খালেদ গত শুক্রবার সকাল ১০টা ১৭ মিনিটে সর্বশেষ তার এক বন্ধুর সঙ্গে কথা বলেন, যিনি ঢাকার বাইরে আছেন। তার কক্ষের দরজা বাইরে থেকে তালা দেওয়া অবস্থায় পাওয়া যায়। পরে বন্ধুরা তালা খুলে কক্ষে তার ব্যবহৃত একটি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন পান।

Leave a comment






এই বিভাগের আরো সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

shuddhobarta24
Privacy Overview

This website uses cookies so that we can provide you with the best user experience possible. Cookie information is stored in your browser and performs functions such as recognising you when you return to our website and helping our team to understand which sections of the website you find most interesting and useful.