Home » সরকারি হিসেবে সিলেটে যত হাসপাতাল-ক্লিনিক অ বৈ ধ

সরকারি হিসেবে সিলেটে যত হাসপাতাল-ক্লিনিক অ বৈ ধ

সিলেটে অসংখ্য বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। হাসপাতাল, ক্লিনিক বা ডায়াগনস্টিক সেন্টার নামে কার্যক্রম চালিয়ে আসা প্রতিষ্ঠানগুলোর বড় অংশেরই নেই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিবন্ধন। অবৈধ এসব প্রতিষ্ঠান বন্ধে মাঝে মাঝে অভিযান চলে। অভিযান শেষে কিছুদিন বন্ধও থাকে। পরে আবার চালু হয়। কখনো অন্য নামে, কোথাও আবার ঠিকানা বদল করে। অদৃশ্য ক্ষমতার চাপে বন্ধ করা যায় না সব অবৈধ হাসপাতাল। সম্প্রতি হাইকোর্টের নির্দেশে অবৈধ হাসপাতালের একটি তালিকা আদালতে জমা দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সেই তালিকায় নাম রয়েছে ১ হাজার ২৭টি প্রতিষ্ঠানের। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অন্য এক তালিকায় দেখা গেছে, সিলেট বিভাগে অবৈধ হাসপাতাল ও ক্লিনিক রয়েছে ১৮টি।

এদিকে সিলেটে লাইসেন্সবিহীন অথবা মেয়াদোত্তীর্ণ লাইসেন্সধারী ক্লিনিক, হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টি সেন্টারে নিয়মিত অভিযান চালানো হচ্ছে। সম্প্রতি সিলেটের বিভিন্ন উপজেলায় এমন ৫টি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কিছু প্রতিষ্ঠানকে নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে লাইসেন্স নবায়ন না করলে প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ করে দেওয়া হবে।

সিলেট মহানগরের এমন ৬টি প্রতিষ্ঠান সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তালিকায় রয়েছে। এছাড়া দুটি টিম নিয়মিত মহানগর ও জেলার বিভিন্ন উপজেলার ক্লিনিক, হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টি সেন্টার পরিদর্শনের মাধ্যমে তদারকি করছে।

সিলেট জেলা ডেপুটি সিভিল সার্জন ডাক্তার জন্মেজয় দত্ত বলেন, নির্দেশনা অনুযায়ী সিলেট মহানগর এলাকায় একটি ও জেলার উপজেলাগুলোতে একটি টিম কাজ করছে। টিমের সদস্যরা নিয়মিতভাবে ক্লিনিক, হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টি সেন্টারগুলো পরিদর্শন করছেন এবং নিয়ম মেনে পরিচালিত হচ্ছে কি না সে বিষয় তদারকি করছেন। কাগজপত্র ঠিক না থাকা ও নিয়ম না মানায় ইতোমধ্যে বিভিন্ন উপজেলার ৫টি প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কিছু প্রতিষ্ঠানকে স্বল্প সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে, ডিজিটাল লাইসেন্স ও নবায়ন করার জন্য।

তিনি বলেন, সিলেট মহানগর এলাকার বেসরকারি ক্লিনিক, হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টি সেন্টারগুলোর তালিকা আমরা নতুনভাবে করেছি। এর মধ্যে যেগুলোর লাইসেন্স নবায়ন এবং ডিজিটাল করা নেই, তাদের নির্ধারিত সময় দিয়ে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। এই তালিকায় সিলেটের সুপরিচিত কয়েকটি প্রতিষ্ঠানও রয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তারা কাগজপত্র ঠিক না করলে সেগুলো বন্ধ করে দেওয়া হবে। এবার আর তাদের ছাড় দেওয়া হবে না।

Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *