তাঁর পায়ের আঘাতে ভুল চিকিৎসা করা হয়েছিল। সেই কারণেই সংক্রমণ সেপটিকের আকার নিয়েছিল বলে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার নবান্নের সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘আমার ১০-১২ দিন আইভি ইঞ্জেকশন চলেছে। কারণ ভুল ট্রিটমেন্টের জন্য আমার পায়ের ইনফেকশনটা সেপটিকের মতো হয়ে গিয়েছিল।’’
মুখ্যমন্ত্রীর পায়ের চিকিৎসা হয়েছিল এসএসকেএম হাসপাতালে। ‘ভুল চিকিৎসা’র বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানার জন্য এসএসকেএম হাসপাতালের অধিকর্তা মণিময় বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়েছিল আনন্দবাজার অনলাইনের তরফে। কিন্তু তিনি ফোন ধরেননি। পরে তাঁর প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেলে এই প্রতিবেদনে যুক্ত করা হবে।
স্পেন সফরে পায়ের পুরনো আঘাতে নতুন করে চোট পেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ২৩ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় স্পেন ও দুবাই সফর সেরে কলকাতায় ফেরেন তিনি। পরের দিন, অর্থাৎ ২৪ সেপ্টেম্বর এসএসকেএম হাসপাতালে মুখ্যমন্ত্রীর পায়ের চিকিৎসা হয়। সে দিন সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরেন তিনি। তার পর কিছু দিন বাড়িতে থেকেই প্রশাসনিক ও দলীয় কাজ সামলেছেন। গত ২৭ অক্টোবর রেড রোডে পুজো কার্নিভালের দিন তিনি বাড়ি থেকে বার হন। মঙ্গলবার গিয়েছিলেন নবান্নে।
মমতার ‘ভুল চিকিৎসা’ মন্তব্যকে হাতিয়ার করে ময়দানে নেমে পড়েছে বিরোধীরা। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী মুখ্যমন্ত্রীর সাংবাদিক বৈঠকের ক্লিপ এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে লেখেন, ‘‘এসএসকেএম হাসপাতালে মুখ্যমন্ত্রীর ভুল চিকিৎসার জন্য স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত।’’ প্রসঙ্গত, মমতার হাতেই রয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী কটাক্ষ করে বলেন, ‘‘এটাই হল রাজ্যের সেরার সেরা হাসপাতালের শ্রেষ্ঠতম বিজ্ঞাপন।’’
মুখ্যমন্ত্রী বুধবার বলেন, যে ভাবে কেউ কেউ বলার চেষ্টা করছেন, ৫৫ দিন পর তিনি নবান্নে গিয়েছিলেন মঙ্গলবার, তাঁরা ভুল তথ্য দিচ্ছেন। কারণ মুখ্যমন্ত্রী বাড়িতে থাকলেও সেটাই তাঁর অফিস। সেখান থেকেই তিনি সমস্ত কাজ পরিচালনা করেছেন। রোজ নবান্ন থেকে তাঁর বাড়ির অফিসে ফাইল গিয়েছে। কোনও ফাইল পড়ে নেই। প্রসঙ্গত, এই সময়কালে বাড়িতে রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকও করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। উত্তরবঙ্গের প্লাবন, সিকিমের বিপর্যয়ে আটকে থাকা রাজ্যের পর্যটকদের উদ্ধার করার জন্য ভার্চুয়াল মাধ্যমে প্রশাসনিক বৈঠক করা থেকে শুরু করে মহালয়ার আগে থেকে রাজ্যের হাজারের বেশি পুজো উদ্বোধন— সবই করেছিলেন বাড়ি থেকে।
নির্বাহী সম্পাদক