Main Menu

চালের রপ্তানি মূল্য কমাল (ভারত)   

চালের দাম প্রতি টনে ৬ থেকে ৮ ডলার কমেছে,
চালের দাম ৩৮০ থেকে ৩৯০ ডলারে পৌঁছেছে,থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনামে চালের দাম এক দিনে স্থির হয়ে গেছে।

বাজেটে চাল আমদানিতে ২৮ শতাংশ শুল্ক পুনর্বহাল করার প্রভাব দেশের বাজারে এখনো পড়তে শুরু করেনি। কিন্তু এরই মধ্যে বিশ্ববাজারে এই ঘোষণার প্রভাব পড়া শুরু করেছে। ভারতে এক দিনের ব্যবধানে চালের দাম প্রতি টনে ৬ থেকে ৮ ডলার কমে গেছে। দেশটিতে প্রতি টন চালের দাম ৩৮০ থেকে ৩৯০ ডলারে দাঁড়িয়েছে। থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনামের চালের দাম গত এক মাস ধরে বাড়ছিল। এক দিনে দাম স্থির হয়ে গেছে।’

বাংলাদেশে চাল আমদানিতে শুল্ক পুনর্বহাল করায় বিশ্ববাজারের এই প্রভাবের কারণ নিয়ে গতকাল শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের বার্তা সংস্থা রয়টার্স একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। তাতে তারা বলেছে, এক বছর ধরে বিশ্ববাজার থেকে চাল আমদানিতে বাংলাদেশ শীর্ষ স্থানে পৌঁছে গিয়েছিল। বিশেষ করে বাংলাদেশ সরকার এবং বেসরকারি খাতের ব্যবসায়ীরা মূলত ভারত থেকে ওই চাল আমদানি করতেন। ভারতে এ বছর চালের উৎপাদন ব্যাপকভাবে বেড়ে যাওয়ায় চালের দাম কমে যায়। প্রতি কেজি চালের আমদানি মূল্য ৪৫ টাকা থেকে কমে ৩৫ টাকা হয়।’

অন্যদিকে গত বছর বাংলাদেশে তিন দফা বন্যায় ১০ থেকে ২০ লাখ টন চাল উৎপাদন কমে যায়। এতে চালের দাম সর্বকালের রেকর্ড অতিক্রম করে গত বছরের আগস্টে প্রতি কেজি ৫০ টাকায় পৌঁছায়। ওই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ সরকার চালের ওপর আমদানি শুল্ক ২৮ শতাংশ থেকে কমিয়ে শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনে। এতে বেসরকারি খাতের ব্যবসায়ীরা বিপুল পরিমাণে চাল আমদানি শুরু করেন। এ ছাড়া ব্যাংকগুলো চাল আমদানির জন্য বিশেষ সুবিধা দেওয়া শুরু করে। ফলে চাল আমদানি আরও বেড়ে যায়।’

এ ব্যাপারে বাংলাদেশে উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) সম্মানিত ফেলো ও অর্থনীতিবিদ এম আসাদুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, সরকারের উচিত ছিল গত আমনে ভালো ফলনের পরপরই চালের আমদানি শুল্ক আরোপ করা।’ তবে দেরিতে হলেও সরকার শুল্ক পুনর্বহাল করেছে। যত চাপই আসুক, সরকারকে কৃষকের স্বার্থে শুল্ক পুনর্বহালের এই সিদ্ধান্তে অটল থাকতে হবে।’
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী বর্তমানে সরকারি গুদামে ১০ লাখ টনের বেশি চাল মজুত রয়েছে। এ ছাড়া এ বছরের বোরোতে ১ কোটি ৯২ লাখ টন চাল উৎপাদিত হয়েছে বলে কৃষি মন্ত্রণালয়ের হিসাবে দেখা গেছে। ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসাবে বর্তমানে বাজারে প্রতি কেজি মোটা চাল ৪০ থেকে ৪২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা এক সপ্তাহ ধরে স্থির আছে।’

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাবে বর্তমানে ভারতে প্রতি কেজি চালের আমদানি মূল্য ৩৫ টাকা, থাইল্যান্ডে ৪০ ও ভিয়েতনামে ৪১ টাকা।’ সরকারি ও বেসরকারি খাত মিলিয়ে বাংলাদেশ এ পর্যন্ত ৩৮ লাখ টন চাল আমদানি করেছে। আরও ৪৫ লাখ টন চাল আমদানির জন্য ঋণপত্র খোলা হয়েছে। এর মধ্যে ৪০ লাখ টনের ঋণপত্র নিষ্পত্তি হয়েছে।’প্রথমআলো

Leave a comment






এই বিভাগের আরো সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

shuddhobarta24
Privacy Overview

This website uses cookies so that we can provide you with the best user experience possible. Cookie information is stored in your browser and performs functions such as recognising you when you return to our website and helping our team to understand which sections of the website you find most interesting and useful.