অনলাইন ডেস্ক: নারী নির্যাতনের দায়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলার পর বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের অনুমোদনক্রমে অভিযুক্ত দুই শিক্ষককে সরকারি চাকুরী হতে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে অভিযুক্ত শিক্ষকরা মামলার বাদীর চরিত্রহনণ করে লেখা একটি লিফলেট ফেসবুকে পোস্ট করে এবং আলীকদম ও চকরিয়ার কাকারা এলাকায় বিভিন্ন দেওয়ালে লিফলেট লাগিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
বান্দরবান জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী ২০০৩) এর ১১(গ)/৩০ ধারায় মামলায় অভিযুক্ত হয়ে জামিনে মুক্তি লাভ করেছে আলীকদম উপজেলার থোয়াইচিং হেডম্যান পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক শফিকুল ইসলাম ও চৈক্ষ্যং ত্রিপুরা পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মনিরুল ইসলাম। এ কারণে বি.এস.আর ১ম খ-ের ৭৩ নং বিধির নোট (২) এবং সংস্থাাপন মন্ত্রণালেয়র স্মারক নং- ইডি (রগ-৬)/ ১২৩/৭৮/১১৫ (৫০০) তারিখ- ২১/১১/১৯৭৮ অনুযায়ী ০১/৩/২০১৮ইং তারিখ থেকে তাদের সরকারি চাকুরি হতে সামিয়ক বরখাস্ত করা হয়।
এদিকে, মামলা হতে জামিনে এসে অভিযুক্ত শিক্ষকরা মামলার বাদী জয়নবের ওপর পুনরায় হামলা করে। এ ঘটনায় আলীকদম থানায় জিডি নং- ২৫২ তারিখ: ০৬/০৩/২০১৮ইং রুজু হয়। এ জিডির তদন্ত শেষে অভিযুক্ত এ দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ৫০৬ ধারায় অভিযোগ দাখিল করে পুলিশ। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক শফিকুল ইসলাম মামলার বাদীর চরিত্রহনণ করে লেখা একটি লিফলেট ফেসবুকে পোস্ট করে এবং আলীকদম ও চকরিয়ার কাকারা এলাকায় বিভিন্ন দেওয়ালে লাগিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন জয়নব আরা বেগম। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত শিক্ষক শফিকুল ইসলাম বলেন, আমি বাদী জয়নব আরা বেগম ও পুলিশের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছি। সেইসব আমি ফেসবুকে পোস্ট করেছি। আর বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ ২০১৪ সালের চাকুরী বিধি লঙ্ঘন করে আমাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে।
নির্বাহী সম্পাদক